অনিশ্চিত ভবিষ্যতের বোঝা মাথায় নিয়ে অবশেষে মুক্ত হলো লিমন। জেল থেকে মুক্তি মিললেও হাসপাতালের শয্যা থেকে কবে মুক্তি মেলবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। গতকাল বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল থেকে বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে লিমনকে মুক্তি দেয়া হয়। লিমনের বিরুদ্ধে র্যাবের দায়ের করা দুটি মামলার একটিতে জামিন পেলেও অস্ত্র মামলায় সে এতদিন আটক ছিল। লিমনের পক্ষে আইন ও সালিশ কেন্দ্র হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার লিমনের ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। ২৪ এপ্রিল রাজাপুর থানা পুলিশ লিমনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় চার্জশিট দিয়েছিল।
লিমনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মানিক আচার্য্য আমার দেশকে জানান, গতকাল দুপুরে আদালতের নির্দেশে এর কপি ঝালকাঠি পৌঁছায়। সেখান থেকে তা বরিশাল কারাগারে পাঠানো হয়। আজ তাকে উন্নত চিকিত্সার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হবে।
জেল থেকে মুক্ত হলেও পা হারানো লিমনের বাকি জীবন কীভাবে কাটবে তা নিয়ে অনিশ্চতায় আছে লিমন ও দরিদ্র বাবা এবং মা। সুস্থ অবস্থায়ই যেখানে লিমনকে তার লেখাপড়ার খরচ চালাতে ইটভাটায় কাজ করতে হয়েছে, সেখানে পা হারিয়ে কীভাবে সে জীবিকা নির্বাহ করবে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে লিমনসহ তার স্বজনদের। লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম মিডিয়ার মাধ্যমে লিমনকে পুনর্বাসন করার জন্য দেশের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। লিমনকে
সাহায্য করার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে রাজাপুর সোনালী ব্যাংক শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এরই মধ্যে রাজাপুরের ডা. শাহ আলম নামের একজন আমেরিকা প্রবাসী চিকিত্সক লিমনকে একটি হুইল চেয়ার ও লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ দেয়ার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
লিমনের মা হেনোয়ারা বেগম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন, র্যাবের বিরুদ্ধে দায়ের করা তার মামলার কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। এ ব্যপারে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রসঙ্গত, প্রথমে একই তদন্ত কর্মকর্তা দিয়ে লিমনের বিরুদ্ধে র্যাবের দায়ের করা মামলা ও র্যাবের বিরুদ্ধে করা লিমনের মায়ের দায়ের করা মামলা তদন্ত করানো হলেও পরে লিমনের মায়ের দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে রাজাপুর থানার এসআই আঃ হালিমকে দায়িত্ব দেয়া হয়।