একটা বাড়ি ছিল আমাদের, যেমন সবারই থাকে। ওই বাড়িতেই জন্ম আমার এবং বেড়ে ওঠা। বাড়ির কাছেই ছিল পদ্মা। ভীষণ রাগী নদী এবং ভীষণ রূপসীও। প্রতি ঋতুতে তার রূপ বদলাত। শীতে শান্ত আর নির্জন, অথচ বর্ষার আগে রাগী আর গর্জনমুখর_এ রকম ছিল তার রূপ পরিবর্তনের ধরন। প্রতিটি বর্ষায় সে তার সীমানায় থাকা ভিটে, বাড়িঘর আর ফসলি জমি ভেঙে নিজের বিস্তার ঘটাত। জোয়ার আসত, স্বচ্ছ পানি ঘোলা হয়ে যেত, স্রোত ক্রমে প্রবল থেকে প্রবলতর হয়ে উঠত, আর আমরা সেই উন্মত্ত স্রোতে ঝাঁপিয়ে পড়তাম। মানিকগঞ্জের পদ্মা-তীরবর্তী ওই অঞ্চলে বর্ষার রূপ অন্য অঞ্চলগুলোর চেয়ে ভীষণ-রকম আলাদা। পানি বাড়লে পদ্মার সঙ্গে সংযুক্ত ইছামতিতে ঢুকে পড়ত জলস্রোত। এমনিতে ইছামতি মৃতপ্রায় নদী, সারা বছরই প্রায় শুকনো থাকে, কিন্তু বর্ষায় তারও ভরা যৌবন। শীর্ণ ইছামতি নদীটি গ্রামগুলোর ভেতর দিয়েই এঁকেবেঁকে চলে গেছে বলে পানি ঢুকে পড়ত খালে-বিলে, তারপর ইছামতি আর খালগুলোর দু-কূল ছাপিয়ে মাঠঘাট ভেসে যেত। ওই অঞ্চলের বর্ষা মানে তাই কেবল নদীর ভরা যৌবন নয়, বরং মাঠের পর মাঠ জলমগ্ন হয়ে থাকাও। মূল সড়ক আর বাড়িগুলো ছাড়া আদিগন্তবিস্তৃত কেবল পানি আর পানি। গ্রামের তখন অন্য রূপ। আমাদের গ্রামটিও ছিল অন্য রকম। স্কুলের বইতে পড়া গ্রামের সংজ্ঞার_কয়েকটি বাড়ি নিয়ে একটি পাড়া, কয়েকটি পাড়া মিলিয়ে একটি গ্রাম_সঙ্গে আমাদের গ্রামের কোনো মিলই ছিল না। বাড়িঘরগুলো একটু দূরে দূরে, মাঝখানে ফসলি জমি। আমাদের বাড়ির উত্তর-দক্ষিণেও আরো কিছু বাড়িঘর ছিল বটে, কিন্তু লাগোয়া নয় কোনোটিই। তো, এই গ্রামটিতে বর্ষায় যখন নদী-খাল উপচে পানি এসে পড়ত, তখন এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যেতে হতো নৌকায় করে! প্রায় প্রতিটি সচ্ছল পরিবারেরই নিজস্ব নৌকা ছিল। না থেকে উপায়ও নেই_নইলে বর্ষায় অচল হয়ে ঘরে বসে থাকতে হবে। দরিদ্র মানুষদের এই যন্ত্রণাও পোহাতে হতো। বর্ষায় কাজ নেই কারো। নিঝুম বৃষ্টিতে বাচ্চারা হয়তো ভেজাভিজি অথবা কাদা ছোড়াছুড়িতে মাতে, কিংবা নতুন আসা পানিতে মাঠে গাড়া-বড়শি দিয়ে মাছ ধরে। রান্নাঘরে ছোলা ভাজা হয় ঝিমিয়ে পড়া পুরুষরা খাবে বলে। কোনো এক ঘরে হয়তো এসে জড়ো হয় আরো কয়েক ঘরের মানুষ, শুরু হয় কেচ্ছাকাহিনী বা সুর করে পুঁথি পড়া। সমর্থ পুরুষরা বেরিয়ে পড়ে মাছ ধরার নানা সরঞ্জাম নিয়ে_বড়শি, ঝাঁকি জাল, হোচা, দুয়ারি ইত্যাদি। আষাঢ়-শ্রাবণ_এই দুই মাস মিলে বর্ষাকাল_বইতে পড়া এই সংজ্ঞাও অসম্পূর্ণ। বর্ষা শুরু হয় মধ্য আষাঢ়ে এবং শেষ হয় ভাদ্রের শেষে। অর্থাৎ শরৎকালের অর্ধেকই থাকে বর্ষার পেটে। তো, বর্ষার শুরুতে, যখন নতুন পানি এসে মাঠ ভাসিয়ে নিত, তখন পানির সঙ্গে আসত নানা রকমের মাছ, আর নানা ধরনের বড়শি দিয়ে সেই মাছ ধরার উৎসব। বৃষ্টিতে ভেজা তখন কেবল একবেলার রোমান্টিসিজম নয়, বরং নিত্যদিনের সঙ্গী। বর্ষাকালের এমন একটি দিনও বোধ হয় যায়নি, যেদিন আমরা বৃষ্টিতে ভিজে, নদীতে ঝাঁপিয়ে গোসল করিনি। শৈশব-কৈশোরের যে কয়টি জিনিসের সঙ্গে আমার প্রেম, বৃষ্টি তার একটি।
২
আমার নাকি জন্মও হয়েছিল বৃষ্টিভেজা শীতের মধ্যরাতে, মায়ের কাছে কতবার যে শুনেছি সেই গল্প! মা বলত_আমার নাকি বৃষ্টিরাশি, সব কিছুতেই নাকি বৃষ্টি জড়িয়ে থাকবেই। সেই বৃষ্টি কি কান্নার অন্য নাম? বাইরের বৃষ্টির সঙ্গে আমার বুকের ভেতরেও শুনতে পাব বৃষ্টির শব্দ, অবিরাম, আমৃত্যু? কখনো জিজ্ঞেস করা হয়নি মাকে।
কিন্তু মায়ের মুখে সেই জন্ম-বর্ণনা, আহা, কী যে মধুর লাগত শুনতে_
'তোর জন্ম তো শীতের রাতে। বাইরে ফুটফুটে জ্যোৎস্না, এমনকি জ্যোৎস্নার দাপটে কুয়াশাও পালিয়েছে'_ দারিদ্র্যপীড়িত সংসারের মধ্যবিত্ত রূপটি ধরে রাখার প্রাণান্ত চেষ্টায় রত আমার আটপৌরে মায়ের কণ্ঠে যেন কবিতা ঝরে পড়ত_'ঘরে তখন দুদুর মা (আমার দাই মা) ছাড়া আর কেউ ছিল না। আঁতুড় ঘরে তখন আর কারো থাকার নিয়মও ছিল না। হঠাৎ, কী কাণ্ড, শুনি, টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ! আমি বললাম_ও দুদুর মা, বাইরের সব কিছু মনে হয় ভিজে গ্যালো, দ্যাখো তো! বুঝিস না, মাটির চুলায় রান্না হতো, খড়ি-লাকড়ি সব বাইরেই রাখা। শীতের দিনে কি কেউ বৃষ্টির কথা চিন্তা করে ওসব ঘরে তুলে রাখে নাকি! এখন যদি সব ভিজে যায়, কালকে রান্না করতে অসুবিধা হবে। দুদুর মা বাইরে গেল, কিন্তু সব কিছু গুছিয়ে-টুছিয়ে ফেরার আগেই তোর জন্ম হলো। বুঝলি, তোর জন্মের সময় ঘরে আর কেউ ছিল না। যেন এই কাণ্ডটি ঘটানোর জন্যই শীতের রাতেই অমন খাঁ খাঁ জ্যোৎস্নার মধ্যেও বৃষ্টি এসেছিল।'
'কেন মা, শীতের রাতে বুঝি বৃষ্টি হয় না!'
'হতে পারে, তবে সাধারণত হয় না। তা ছাড়া ওই রাতে বৃষ্টির কোনো লক্ষণই ছিল না। বললাম না, ফুটফুটে জ্যোৎস্না ছিল, মেঘের ছিটেফোঁটাও ছিল না! আবার দ্যাখ, হঠাৎ যেমন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি এসেছিল, তেমনি হঠাৎই চলে গ্যালো। ওই কয়েক মিনিটের জন্য।'
মায়ের মুখে এই বর্ণনা কতবার যে শুনেছি, তার হিসাব নেই। হয়তো এ জন্যই শীতের রাত, জ্যোৎস্না, বৃষ্টি_এই বিষয়গুলো আমাকে নানাভাবে ভাবায়, এদের মধ্যে সম্পর্কসূত্র খুঁজে বেড়াই। কখনো পাই, বেশির ভাগ সময়ই পাই না। আর হয়তো তাই, আমার প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ 'দ্বিতীয় মানুষ'-এর উৎসর্গ পাতায় মায়ের এই অনবদ্য বর্ণনাকে ধরে রাখি এইভাবে_
'পৌষের কোনো এক বৃষ্টিভেজা মধ্যরাতে এ দেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম হয়েছিল আমার, মায়ের কাছে শুনেছি। হঠাৎ বৃষ্টির সেই শীতের রাতে আঁতুড় ঘরে মায়ের পাশে দাইমা নামক আমার অ-দেখা এক মহিলা ছাড়া আর কেউ ছিল না। উঠোনে রেখে দেওয়া প্রয়োজনীয় সাংসারিক অনুষঙ্গ বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে দাইমা বাইরে গেলে প্রায়ান্ধকার ঘরে জন্ম হয়েছিল আমার।
জন্মেই দেখেছিলাম, আমার চারপাশে কেউ নেই_মা ছাড়া।
আজ, এই এত দিন পর_আমার চারপাশে সহস্র মানুষের ভিড়_তবু মায়ের কাছে ফিরতেই ভালো লাগে আমার।'
সেই যে বৃষ্টির রাতে জন্ম, তার পরও জীবনের বহু বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে এমন হঠাৎ বৃষ্টি জড়িয়ে আছে। যেমন, এক নভেম্বরের রাতে বাবা চলে গেলেন, সেদিনও নেমে এলো হঠাৎ বৃষ্টি, আর সারা রাত তার কান্না থামল না।
৩
আমাদের বাড়িতে একটা বড়োসড়ো পুকুর ছিল। সেই পুকুরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাছ চাষ করার কথা কারো কখনো মনেই আসেনি। গ্রামের মানুষ, বিশেষ করে মেয়েরা, স্নান করত ওই পুকুরে এসে। আর তা ছাড়া বর্ষায় মাঠ-ঘাট ভেসে যেত বলে নদী থেকেই প্রচুর মাছ এসে বাসা বাঁধত পুকুরে, চাষ করার দরকারই হতো না। বর্ষা শেষে আর ফিরে যেতে পারত না ওরা, রয়ে যেত ওখানেই। তো, চৈত্র-বৈশাখের দিকে পুকুরের পানি যখন বেশ কমে যেত, তখন বছরের প্রথমদিকের অঝোর বৃষ্টিতে ঝাঁকে ঝাঁকে কৈ মাছ উঠে আসত পুকুর থেকে ডাঙায়। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। মাছগুলো কানকো দিয়ে ঠেলে ঠেলে এমনকি বাড়ির উঠোনেও চলে আসত। বিস্মিত কিশোর এ রকম অদ্ভুত দৃশ্য থেকে চোখ ফেরাতে পারত না। আর কোনো মাছ তো এভাবে পানি থেকে ডাঙায় উঠে আসে না, কৈ মাছ আসে কেন?_ ফিসফিসিয়ে ভয়ে ভয়ে মাকে জিজ্ঞেস করলে তাঁর সরল স্বীকারোক্তি_'জানি না, বাবা। হয়তো কিছু খোঁজে!' কী খোঁজে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছি বহু-বহু দিন। বড়ো হয়ে_এই সেদিন মাত্র_এক কৃষিবিজ্ঞানীর কাছে শুনলাম সেই ব্যাখ্যা (সত্য-মিথ্যা যাচাই করিনি)। কৈ মাছ গভীর পানিতে ডিম ছাড়ে না, ছাড়ে অল্প পানিতে_সাধারণত ফসলের মাঠে। বর্ষায় পানি নেমে গেলেও সেই ডিম মাঠেই রয়ে যায়, বছরখানেক ধরে রোদ-তাপ-আলো-বাতাস সয়ে পুষ্ট হয়, তারপর আরেক বর্ষায় মেঘের গর্জন শুনেই মা-কৈগুলো চঞ্চল হয়ে ওঠে, বৃষ্টি শুরু হলে উঠে আসে ডাঙায়, ডিমের খোঁজে, মানুষের হাতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও। ওরা যে মা, না এসে পারে?
বাংলাদেশ থেকে কৈ নামের অতি সুস্বাদু মাছটি যে প্রায় হারিয়েই গেল (জঘন্য স্বাদের বিরাটাকার চাষের কৈয়ের কথা বলছি না, বলছি দেশি কৈয়ের কথা), তার কারণও নাকি কৈয়ের এই অতি বিচিত্র প্রজনন-পদ্ধতি। ফসলের মাঠে অতিমাত্রায় সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে কৈয়ের ডিম নষ্ট হয়ে যায়। বছরের পর বছর ধরে এই ঘটনা ঘটার ফলে কৈয়ের সংখ্যা আর বাড়েনি এবং পরিণত হয়েছে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীতে! হায়, কৈয়ের এই করুণ বিলুপ্তি নিয়ে একটি কথাও বলেনি কেউ কখনো, রচিত হয়নি কোনো শোকগাথা।
৪
আমাদের সেই বাড়িটি আর নেই। যে নদীর স্নেহ-মমতার ছায়ায় বেড়ে উঠেছি, সেই নদীই তার সর্বগ্রাসী রূপ নিয়ে দেখা দিয়েছে আমার জীবনে। ভেঙে নিয়ে গেছে আমার পূর্বপুরুষের ভিটে, দাদা ও দাদির কবর, বাবা ও বাবার দাদার কবর, মায়ের সংসার, আর আমার শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিমাখা চিহ্নগুলো। ওই বাড়িতেই জন্ম আমার, আমার বাবারও জন্ম ও মৃত্যু ওই বাড়িতে, আমার দাদি এবং মা দুজনই দুই ভিন্ন সময়ে নতুন বউ হয়ে এসেছিলেন ওই বাড়িতেই, সাজিয়েছিলেন সোনার সংসার। শতবর্ষের স্মৃতি। বাড়ি মানে তো শুধু কয়েকটি ঘর নয়, নয় কয়েকটি গাছপালা বা কয়েক খণ্ড জমি, বাড়ি মানে ওই স্মৃতি ও সম্পর্ক। আমাদের সব স্মৃতি ও সম্পর্ক হারিয়ে গেছে পদ্মার গর্ভে, হয়ে পড়েছি শেকড়হীন ভাসমান মানুষ। এই হাহাকার কাউকে বোঝানো যাবে না। বাড়িতে ফেরার জন্য আমার আকাঙ্ক্ষা তাই বেদনাবিধুর হয়েই পড়ে থাকে সব সময়। বাড়িই নেই, ফিরব কোথায়?
বাড়ি নেই, মা-ও চলে গেছেন কোন অচেনার দেশে, আমার তাই আর ফেরা হয় না কোথাও। বাতাসে ভেসে বেড়ানো শিমূল তুলোর মতো_যা কোথাও থামে না এক মুহূর্তের জন্যও_আমিও ভেসে বেড়াই অনির্দিষ্টকাল ধরে, বিরামহীন, দিকচিহ্নহীন!
৫
আর অনেক দিন পর শহরে বৃষ্টি নেমে এলে ভাবি, কত দিন পর আজ বৃষ্টি হলো_'এই মনোরম মনোটোনাস শহরে অনেক দিন পর আজ সুন্দর বৃষ্টি হলো!' কত যে মুখ ভেসে ওঠে চোখে! কত স্মৃতি! তুমুল বৃষ্টিতে বাড়ির উঠোনে ভাইবোনদের সঙ্গে কাদা ছোড়াছুড়ি খেলছে অথবা টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে আর ঘরে থাকতে না পেরে উঠে গিয়ে বৃষ্টির পানি হাতে-মুখে মেখে নিচ্ছে যে কিশোর, তাকে এত চেনা লাগছে কেন? ওই জীবন কি কখনো আমার ছিল?
আর তখন দেখি, জীবনজুড়ে বৃষ্টিপাত চলছে। নাকি অশ্রুপাত? ঘরময় বৃষ্টির গান, বইজুড়ে বৃষ্টির কবিতা_
'বুকের মধ্যে বৃষ্টি নামে, নৌকা টলোমলো
কূল ছেড়ে আজ অকূলে যাই এমনও সম্বল
নেই নিকটে_হয়তো ছিল বৃষ্টি আসার আগে
চলচ্ছক্তিহীন হয়েছি, তাই কি মনে জাগে
পোড়োবাড়ির স্মৃতি ? আমার স্বপ্নে-মেশা দিনও ?
চলচ্ছক্তিহীন হয়েছি, চলচ্ছক্তিহীন।
বৃষ্টি নামল যখন আমি উঠোন-পানে একা
দৌড়ে গিয়ে ভেবেছিলাম তোমার পাব দেখা
হয়তো মেঘে-বৃষ্টিতে বা শিউলি গাছের তলে
আজানুকেশ ভিজিয়ে নিচ্ছ আকাশ-সেচা জলে
কিন্তু তুমি নেই বাহিরে_অন্তরে মেঘ করে
ভারি ব্যাপক বৃষ্টি আমার বুকের মধ্যে ঝরে।'
(যখন বৃষ্টি নামলে / শক্তি চট্টোপাধ্যায়)
চলচ্ছক্তিহীন হয়েছি বলে বন্দি হয়ে থাকি নিজেরই তৈরি করা এক পরিত্রাণহীন কারাগারে_এই শহর, এই রূঢ়-কঠিন শহর ছেড়ে আমার কোথাও যাওয়া হয় না। বাইরে বৃষ্টির শব্দ বাড়ে, আর আমি বুকের ভেতর বৃষ্টি পড়ার শব্দ শুনি।
আমার বাড়ি ফিরে যেতে ইচ্ছে করে...
আমার ব্লগে আপনাকে আমন্ত্রণ