অনেকদিন পর ব্লগে আসলাম।ব্লগ আর ভালো লাগেনা কেন জানি।
আর আগের মত সুস্থ্য ও তো নাই।তাই ফেসবুকেই বসে বসে টাইমপাস করি।মন খারাপ থাকলে ফেবু বন্ধুদের সাথে দুঃখ কষ্ট শেয়ার করি।
হাসপাতাল থেকে ফেরত আসার পরেই ভাবছিলাম ক্রনিক কিডনি ডিজিজ নিয়া কিছু লিখুম।কিন্তু ঐ যে বলাম মনের কথা।
গতবছর জুন মাসে আমার প্রথম কিডনিতে সমস্যা ধরা পরে।বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পরে ডাক্তারেরা কনফার্ম হন আমার দুটো কিডনীর প্রায় ৭০ ভাগ ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে।
যখন কিডনি নষ্ট হয়ে যায় জীবন তো অর্ধেক থেমেই যায় তাইনা?মনের অবস্থা তখন কেমন হয় এটা সবাই নাও বুঝতে পারে।যে ভুক্তভুগি সেই কেবল জানে।আর জানে তার পরিবার।
আমার থেকে বেশী কষ্টে আছে আমার বৌ আর আমার ভাই বেরাদর!
তারপরে বায়োপ্সি করে আরো শিউর হয়ে চিকিৎসা করা হল কিছুদিন।
ক্রিয়েটিনিন৩ থেকে বাড়তে বাড়তে একসময় ৯ এর উপরেই চলে গেল।
তারপরে জানুয়ারির শেষের দিকে প্যারাকেথেড্রাল লাগিয়ে ডায়ালাইসিস শুরু করে দিল।এখন ডায়ালাইসিস করে চলতেছি।
আমরা আসলে কতটুকু সচেতন এই রোগের ব্যাপারে???
না।আশেপাশের এমন কাউরে দেখলামনা যারা কিডনি রোগের ব্যাপারে ধারনা রাখেন।
যখন বমি বমি ভাব ছিল তখন বমির ট্যাবলেট দিয়ে আমাকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।দূর্বলতার কারনে আমাকে ভিটামিন দিয়েই চিকিৎসা করা হয়েছে।সমস্যা তো দূর হয়েছিল প্রাথমিকভাবে কিন্তু ভিতরে ভিতরে কি যে বার্তেছিল সেটা সম্পর্কে আমরা কেউ ই অবগত ছিলাম বলা যায়না।
এর ফলাফল ৭০% এ গিয়ে ধরা খাইলাম।
নেশাপানি করিনাই।অভ্যাস ও নাই।তারপরেও এই রোগে আক্রান্ত হইছি।ভাগ্যের ফের!
পুরো বাংলাদেশেই মনে হয় এই অবস্থা।আমি প্রবাসে ভালো চিকিৎসা করাতে পার্ছি।কিন্তু দেশের কি অবস্থা??
যতটুকু খবর নিয়েছি তাতে খুব আশাবাদি হওয়া যায়না।বাইরের দেশগুলিতে বিভিন্ন ফান্ডের মাধ্যমে এই চিকিৎসাকে ফ্রি রাখার ব্যাবস্থা করা হয়।আমরা গরীব দেশ।সেই হিসেবে আমাদের কতটুকু কি করা দরকার আমাদের সরকার ই ভালো বলতে পারবেন।
আশা করব এই বিষয়ে জনসচেতনতার জন্য কিডনি ফাউন্ডেশন থেকে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হইবে।
সেই আশায় এক ভুক্তভুগি!