somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিলয় হত্যায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য শ্রম প্রতিমন্ত্রী চুন্নুর ভাতিজা গ্রেপ্তার.....!!!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



.পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সন্দেহভাজন কয়েক জন সদস্যকে ব্লগার নিলাদ্রী চট্টোপাধ্যায় ওরফে নিলয় হত্যাকাণ্ডে নজরদারির আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। আর এ হত্যাকাণ্ডে এবিটির সংশ্লিষ্টরাই করেছে বলে অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত সংস্থাগুলো। নিলয় হত্যাকাণ্ডের পর সন্দেহভাজন হিসেবে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সরকারের একজন প্রতিমন্ত্রীর ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পাশাপাশি তার দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে অভিযানও চলছে বলে জানা গেছে। তবে প্রতিমন্ত্রীর ভাতিজা নিলয় হত্যায় জড়িত কিনা তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।

.আইনশৃংখলা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের খুনিদের একজন হলেন সাদ আল নাহিন। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এই নাহিন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর ভাতিজা বলে জানা যায়। সাদ আল নাহিন এর আগেও ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন হত্যা প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিল। তাকে ওই সময় গ্রেফতারও করা হয়েছিল। পরে আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিতে সাদ আল নাহিন এবিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার আদ্যোপান্ত সব তথ্য দেয়।

.এদিকে আটক এই সাদ আল নাহিন শ্রম প্রতিমন্ত্রীর ভাতিজা কিনা তা জানার জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি অসুস্থ বলে ফোন রিসিভ করেনি। পরে তার পিএস আমিরুল ইসলাম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নজরুল হক নান্নু প্রতিমন্ত্রীর ছোট ভাই বলে জানেন তিনি। সে হিসেবে নাহিন তার ভাতিজা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি বলেন, প্রতিমন্ত্রী অসুস্থ তাই বিশ্রামে আছেন। এ জন্য হয়তো ফোন রিসিভ করছেন না।

.তদন্ত সংস্থার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সাদ আল নাহিন আসারুল্লাহ বাংলা টিমে যোগদানের পর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে থাকে। সে ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনকে হত্যা চেষ্টায় জড়িত ছিল। পরে আদালতে জবানবন্দি দেয়। এ মামলায় সে জামিনের পর আবার পুরনো বৃত্তে জড়িয়ে ‘তথাকথিত জিহাদি চেতনায়’ উদ্বুদ্ধ হয়।

.সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্র জানায়, শুক্রবার রাজধানীর পূর্ব গোড়ানের ৮ নম্বর রোডের ১৬৭ নম্বর বাসায় ব্লগার নিলয় খুনে যে চারজন খুনিরা বর্ণনা তারা পেয়েছেন, তাদের মধ্যে সন্দেহভাজন বাঁ-হাতি আবদুল করিম ওরফে জাবেরের বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া যায়। এমনকি এবিটির খুনি দলে যারা আছে তার মধ্যে নাহিনও অন্যতম। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে। তবে ডিবি পুলিশের কোনো কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিক এ সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।

.পরে নাহিনকে আটকের বিষয়ে তার বাবা নজরুল হক নান্নুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি স্বীকার করে বলেন, ‘ডিবি পুলিশ তার ছেলে নাহিনকে আটক করেছে। নিলয় হত্যায়কা-ে সে জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে ডিবি পুলিশ সন্দেহজনকভাবে তাকে আটক করে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘আমি দাবি করছি আমার ছেলে জড়িত নয়।’ আসিফ মহিউদ্দিনকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফোনে এ বিষয়ে কিছু বলব না। তিনি সাক্ষাতে এ বিষয়ে কথা বলতে চান।’ নিলয় হত্যার পর সাদ আল নাহিনকে আটকের বিষয়ে তার বাবা নজরুল হক বলেন, ‘শুনেছি জিজ্ঞাবাদের জন্য আটক করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ডিবি পুলিশ ছেড়ে দিতে চেয়েছে কিনা এ বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো জানি না। আমি কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসেছি। দেখি কী হয়।’

.জানা যায়, নজরুল হক নান্নু কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের দাহিয়া ইউনিয়ের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি দু’বার এ ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। পাশাপাশি একজন শিক্ষকও। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, সাদ আল নাহিনের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার মুন্সীবাড়িতে। নাহিন ঢাকায় পশ্চিম মিরপুরের কাফরুলের একটি বাসায় থাকতেন। তার জম্ম ১৯৯১ সালের ১৩ ডিসেম্বর। এই নাহিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী। ২০১২ সালের মে মাসে সে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ শুরু করে।

.গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গেছে, কাফরুলের ওই বাসায় থাকাকালীন মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর মসজিদে নামাজ পড়ার সময় পরিচয় হয় কাওসার হোসেন, কামাল হোসেন, কামাল সর্দার, কাওসারের ভাই নবীর হোসেনের সঙ্গে। পরে তাদের সঙ্গে সাদ আল নাহিনের খুব ঘনিষ্ঠশুরু হয়। একপর্যায় তারা সবাই ধর্মীয় নানা বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে স্বীকার করা তথ্যে নাহিন বলেছে, ধর্মীয় আলোচনা দিনের পর দিনে করার পর নবীর হোসেনের হাত ধরে আবদ করিম ওরফে জাবেরের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এই জাবের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। তার মাধ্যমেই সে উগ্রপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায় সে খুন করার মতো অপরাধেও নিজেকে জড়ায়।

সূত্র-নিউজ অর্গান টোয়েন্টিফোর.কম :
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:২১
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×