দুপুর বেলা শুয়ে আছি এলোমেলো
অলস দেহে ভাতঘুমটা সেরেই ফেলি,
এই না ভেবে চোখ বুজে দেই গড়াগড়ি
বাইরে কাকে কা করে যায় চোখ না মেলি।
দুটি চড়ুই উড়ে বেড়ায় ফুড়ুৎ ফুড়ুৎ
রুমে ঢোকে জানালাটার ফাঁক গলিয়ে,
শিকে বসে কিসব যেন খুঁটে বেড়ায়
একটু পরেই সুড়ুত করে যায় পালিয়ে।
টিকটিকিটা দেয়াল ধরে ঝিমিয়ে থাকে
লক্ষ্য যে তার ঝুলে থাকা মাকড়শার জাল,
নীরব –নিথর স্থির হয়ে চায় শিকারপানে
বাগে পেলেই জিব বাড়িয়ে দেয় যে সে ফাল।
পাশে রাখা চেয়ারটিতে টেবিল ফ্যান টি
ঘুরে চলে একটানা সে শোঁশোঁ করে,
তার বাতাসে চুল হয়ে যায় এলোমেলো
ক্যালেন্ডার টি নড়তে থাকে দেয়াল জুড়ে।
পাশে দেখি কাঁঠাল শাখে কাঠবিড়ালি,
এ ডাল ও ডাল লাফায় যেন চরকিবাজি।
আমায় দেখে কিছকিছিয়ে ভেংচি কাটে,
গাব-পেয়ারা মুখে দেখায় ভেল্কিবাজি।
এসব কিছু দেখে শুনে ঘুম কি থাকে?
গড়ান দিয়ে উঠে পড়ি বিছানা থেকে।
মনের মাঝে কি জানি এক ভাব খেলে যায়
টাইপ করে ছড়া লিখি কীবোর্ডে চেপে।