উনার শৈশব ও বাল্যকাল কাটে জার্মানী ও ইতালীতে।সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরস্থ ফেডারেল পলিটেকনিক একাডেমিতে উনি পদার্থবিদ্যা ও গনিত শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন।সুইজারল্যান্ডের বার্নে সুইস প্যাটেন্ট অফিসে কর্মরত অবস্থায়,১৯০৫ সালে উনি জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় হতে পি এইচ ডি ডিগ্রী লাভ করেন।ওই বছরই পাচটি তাত্বিক গবেষনা পত্র (Theoretical Paper) প্রকাশ করেন,যা আধুনিক পদার্থবিদ্যার উন্নয়নে ব্যপক ভুমিকা পালন করে।আইনস্টাইনের জীবন নিয়ে কাজ করা ঐতিহাসিকেরা ১৯০৫ বছরটিকে আখ্যা দেন annus mirabilis (Miracle Year).
উনার প্রথম গবেষনা পত্রের শিরোনাম ছিল ”On a Heuristic Viewpoint Concerning the Production and Transformation of Light”(আলোক উৎপাদন ও রুপান্তর প্রসঙে আবিস্করনীয় দৃষ্টিভংগি) ।এখানে আইনস্টাইন তাত্বিকভাবে দেখান যে আলো আলাদা আলাদা কোয়ান্টা’র সমন্বয়ে গঠিত,যা পার্টিকেলের মত বৈশিষ্ঠ্যধর্মী কিন্তু সমষ্ঠিগতভাবে তরঙধর্ম প্রকাশ করে।ফটো তড়িৎক্রিয়ার উপর ব্যাপক গবেষনার পর উনি এই তত্বে উপনীত হন।কিছু কিছু ধাতু আছে যাদের উপর আলো পড়লে তা হতে চার্জড পার্টিকেল নিসঃরিত হয়,এই ঘটনাকে বলা হয় ফটো তড়িৎক্রিয়া। উনার এই গবেষনা ছিল কোয়ান্টাম তত্বের উন্নয়নে একটি বড় ধাপ।এই গবেষনার জন্য উনি ১৯০৫ সালে মর্যাদাপূর্ন নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
দ্বিতীয় গবেষনাপত্রে উনি একটি নির্দিষ্ট জায়গায় অনূ ও পরমানুর সংখ্যা ও আকার নির্নয়ের একটি নতুন পদ্ধতি’র পরিকল্পনা করেন।ওই সময়ে কতিপয় বিজ্ঞানীর মাঝে পরমানুর অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ ছিল।এই দুটি গবেষনা পত্র ওই সন্দেহ সম্পুর্ন দুরীভুত করে।
লেখাটি একই সাথে আমার বাংলা ব্লগে প্রকাশিত।
বিঃদ্রঃ আগামী ১৪ই মার্চ এই মহান বিজ্ঞানীর জন্মদিন।এই উপলক্ষে শ্রদ্ধামুলক পোস্ট
আগামী পর্ব আগামীকাল ১২ই মার্চ প্রকাশিত হবে
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:১৩