প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি নুতন আইন হচেছ জেনে ভাবছিলাম হয়ত এবার এমন কোন আইন হবে, যাতে করে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার পরিবেশ আরও নিশ্চিত এবং সুন্দর হবে। কিন্ত আইনের নমুনা যা পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে , তাতে UGC এর দূরদর্শিতার অভাব আবারও ফুটে উঠল।
নুতন আইন অনুসারে প্রতিটি ইউনিভার্সিটি নাকি 25 কোটি টাকা ডিপোজিট রাখতে হবে; যা সদ্যপ্রতিস্ঠিত একটি ভার্সিটি জন্য বোঝা হয়ে দেখা দেবে। 25 কোটি টাকা ডিপোজিট রাখলে ভারসিটির কন্সট্রাকসন কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
নুতন আইনে ইউনিভার্সিটি ভূমির পরিমান কমিয়ে আনার কথা বলা হচ্ছে, যেখানে ভূমির পরিমান বাড়ানো উচিত, কেননা ইউনিভার্সিটি জন্য চাই মুক্ত পরিবেশ। এখন প্রায় সব কটি ভার্সিটি ছাত্র 5,০০০ এর উপর যা কিছু দিনের মধ্যে 1০,০০০ ছাড়িয়ে যাবে। তাই ইউনিভার্সিটি ভূমির পরিমান বাড়ানো অত্যাবশ্যক হলেও আমাদের বিধি বাম। আমাদের UGC নাকি ভূমির পরিমান ৫ একর হতে কমিয়ে ২ একর করার চিন্তা ভাবনা করতেছে!!!
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি যা বর্তমানে দক্ষ জনশক্তি তৈরির পাশপাশি দেশের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচাচ্ছে, তার পরিবেশ এবং অবকাঠামোগত ঊন্নয়ন এর জন্য সরকারি ভাবে লোন এবং অনুদানের ব্যবস্থা করা হলে প্রাইভেট ইউনিভারসিটি উচচশিক্ষায় অবদানের পাশাপাশি এক সময় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের একটি অন্যতম উৎস হতে পারে।
তাই নতুন আইনে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সর্বোপরি শিক্ষার মান যাতে আরও উন্নত হয় সেদিকে নজর দেয়া এখন সময়ের দাবি।