মা দিবস একটা ইভেন্ট মাত্র কিন্তু মার স্মৃতি আছে সব সময় আমার অন্তর জুরে -
নৈশ ড্রাইভিং:
তখনও মা ওত বেশী অসুস্ত ছিলেন না, যত দুর মনে পরে তা হবে হয়ত ঈদের আগের রাত । মা কে জিগ্গাস করলাম "মা যাবা নাকি ? চল তোমাকে নিয়ে একটু ঘুড়ে আসি" মা বলে "চল যাই" । আমার মা আর ছোট দুই বোন মিলে রোওয়না দিলাম, ঘুড়লাম ঢাকা ইউনিভার্সিটির টি.এস.সি. তারপর আরো দুর, পুরানো ঢাকার দিকে । আমি আবার রাস্তা ঘাট অমন চিনি না, যা হবার তাই হলো, রাস্তা হারিয়ে ফেল্লাম । তারপর অনেক সময় ধরে খুজে খুজে বের করলাম তারপর বাসায় ফিরলাম রাত করে । মা ওই ভ্রমন টা পছন্দই করেছিলেন । আমি যদি যান্তাম এইটাই শেষ ভ্রমন ছিলো তা হইলে হয়তো মাকে আরো কয়েকবার ঘুড়ি আন্তাম ।
দুপুরের লান্চ :
আমার উইকএন্ড ছিলো, ত মা বল্লো বাবা হটেলের খাওয়া খেতে ইচ্চা করছে খাবি নাকি ? আমি ত ভজন রসিক যারা আমাদের খাদক দেখেছেন তারা জানার কথা । ত আমি আমার ছোট বোন আর মা মিলে চলে গেলাম গুলশানের ইএফএস এ দুপুরে বুফে লান্চ করে ঘুমের ডুলু ডুলু চোখ নিয়ে বাসায় ফিরলাম ।
সকালের ঘুম থেকে উঠানো :
আমি সবসময় নৈশ কেন্দ্রিক ছিলাম । ঘুমাতাম দেরি করে আর ঘুম থেকে উঠতাম দেরি করে । ত ক্লাস থাকলে তখন মা আমাকে সকাল ৭.৩০ থেকে ডাকতেন ডাকতে ডাকতে ৯ পর্যন্ত যেত । ত আমাদের পাশের ফ্লাটে থাকে আমার ছোট বেলার বন্ধু । ও একদিন বল্ল "কি রে আন্টির ডাকা ডাকিতে আমার ঘুম প্রতিদিন ভাংগে, তুই ঘুমাস কিভাবে তোর যে ঘুম ভাংগে না ?"
মায়ের হাতে খাওয়া :
আমি কাজ করতে থাকলে মা লোকমা করে খাওয়াবে এইটাই ছিলো নিয়ম । আমি যেহেতু মেহেদির গন্ধ পছন্দ করি না তাই মা সহজে মেহেদি দিত না ।
নৈশ রাতে রুমে উকি মারা :
আমি যখন রাত যেগে কাজ করতাম, মা রাতে এসে আমার রুমে উকি মারত আর বলত - "বাবা এত্ত রাত হইচে এখনও ঘুমাবি না ?"
মার সবচেয়ে আদুরে ছিলাম আমি, আমার বোন রা এজন্য আমার উপড় খেপা থাকত । আমি কিছু খেতে চাইলে যত সমস্যাই হউক না কেন বানানোর জন্য উড়ে যেতে ।
আজ এই মা দিবসে মাকে অনেক মিস করছি -
.......
মা ও মা তুমি কি শুনতে পাও ? তুমি কি দেখতে পাও ?
তুমি কি অনুভব করতে পারো ? আমার চোখের কোনে লুকিয়ে থাকা অশ্রু জলের উপচিয়ে পরা স্রোত ?
......
আজ না হয় নয়ন কূলে বন্যা বয়ে যাক, এই বন্যা যদি তোমায় ভাসিয়ে নিয়ে ফিরে এই কূলে তবে না হয় সার্থক নয়ন ওই জল ত্যগে ।
.....
মাকে মিস করি অনেক বেশী মা আমার প্রতিটা মুহর্তে আছে আমার সার্ব অস্তিত্ত জুরে ।
ভালোবাসি আমার মা কে অনেক বেশী ।
আলোচিত ব্লগ
আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা
২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন
যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!
এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন
নিউ ইয়র্কের পথে.... ২
Almost at half distance, on flight CX830.
পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১
হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন
সামুতে আপনার হিট কত?
প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন
ল অব অ্যাট্রাকশন
জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন