somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ই-বুক এর ইতিবৃত্ত (১ম পর্ব)

১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতি মূহুর্তে বেড়ে চলেছে পৃথিবীর জ্ঞান-ভান্ডার, এগিয়ে যাচ্ছে সভ্যতা। বাড়ছে মানুষ কিন্তু বাড়ছে না পৃথিবীর আয়তন; বাড়ছে চাহিদা বাড়ছেনা সম্পদ। ফলে ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে মানুষের অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার অতন্দ্র প্রহরী আমাদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।
প্রযুক্তির কল্যাণে আমাদের যে অভ্যাসগুলো আজ বদলে যাচ্ছে তা হল বই পড়ার অভ্যাস। কাগজে মুদ্রিত যে বইকে দেখে আমরা অভ্যস্ত কিছুদিনের মধ্যে যে তা ইতিহাসেই লেখা থাকবে তাতে সন্দেহ নেই। কাগজ আজ ক্লান্ত জ্ঞানের বিরাট বোঝা(!) বয়ে বেড়াতে ও অসংখ্য মানুষের কাছে অতি দ্রুত পৌঁছে দিতে। সে তার দায়ীত্ব ধীরে ধীরে যে উত্তরসূরীকে বুঝিয়ে দিচ্ছে তার নাম- “ই-বুক” ।
একটি জরিপে দেখা যায়- যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর ই-বুক পাঠকের তুলনায় এ বছর পাঠকের হার ৭ শতাংশ বেড়ে ২৩ শতাংশে পৌঁছেছে। এদিকে ছাপা বইয়ের পাঠক কমেছে ৫ শতাংশ। বর্তমানে ৬৭ শতাংশ পাঠক ছাপা বই পড়ছেন। (তথ্যসূত্র )।
গবেষণাটি যুক্তরাষ্ট্রের হলেও ঘটনাটি একইভাবে সত্য বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও। কম্পিউটার বা আধুনিক স্মার্ট ফোন ও ইন্টারনেট বাঁচিয়ে দিচ্ছে আমাদের মুদ্রিত বই কেনার টাকা, দূর করছে বহন ও সংরক্ষণ করার ঝামেলা।

১৯৪৫ সালের ১লা জুলাই Vannevar Bush এমন একটি ডিভাইস আবিষ্কার করেন যাতে তিনি তার সব বই, দলিলপত্র ও চিঠিপত্র সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। এই যন্ত্রটি তিনি যথেষ্ট গতিসম্পন্ন ও ফ্লেক্সিবল করে তৈরী করেন। সেখান তিনি বিশেষভাবে তৈরী একটি ডেস্ক ব্যবহার করেন যাতে একটি স্বচ্ছ পর্দার মধ্য দিয়ে বইয়ের পেজগুলো দেখঅ যেত।

পরবর্তিতে ১৯৬৭ সালে Brown University ‘র Andries van Dam “hypertext editing” পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন যার মাধ্যমে বইয়ের পাতার বদলে লেখা তথা সরাসরি টেক্সট্ সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল।
পরিবর্তিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে Project Gutenberg (এর হিস্ট্রী ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আরো জানতে visit করুন: http://www.gutenberg.us/, এখান বএ খুঁজতে চলে যান এখানে-http://www.gutenberg.org/ এবং এখানে http://archive.org/details/gutenberg)। “ eBook তৈরী করা ও বিতরন ও প্রচারের” জন্য এটি ছিল একটি ঐতিহাসিক সেচ্ছাসেবী প্রচেষ্টা। Michael S. Hart ছিলেন এই প্রজেক্টের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃথিবীর প্রথম ডিজিটাল লাইব্রেরীর জনক।১৯৭১ সালে নেয়া উদ্দোগের ফল হিসেবে সর্বপ্রথম তৈরী করা ঐ লাইব্রেরীটি ছিল সকলের জন্য উন্মুক্ত দীর্ঘস্থায়ী একটি জ্ঞানভান্ডার।
২০০০ সালের মাঝে ১০,০০০ ই-বই বের করার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা করলেও ১৯৯৬ সালে মাত্র ১০০০ টি বই প্রকাশ করে। অবশ্য ১৯৯০ সালের পর থেকেই উন্নত সফটওয়্যার এর বদৌলতে নতুন উদ্দমে সমৃদ্ধ হতে থাকে লাইব্রেরী। ২০০৪ সালে ব্রাউজিং ও বই প্রাপ্তি আরো সহজলভ্য করা হয়। Project Gutenberg এর বর্তমান হোস্ট University of North Carolina এর ibiblio.
২০০৩ সালের আগস্টে তারা একটি CD প্রকাশ করে যেখানে ৬০০ টি "best" e-books সংরকক্ষণ করা থাকে। একই সালের ডিসেম্বর এ প্রকাশ করা DVD তে 10,000 বইয়ের সংগ্রহ থাকে। ২০০৭ সালে প্রকাশ করা DVD টির নতুন ভার্সনে থাকে ১৭০০০ বই। বর্তমানে উক্ত প্রজেক্টের আওতায় অনলাইনে সংগৃহীত আছে প্রায় ৭৫০০০ ই-বই ও ই-ডকুমেন্টস।
প্রজক্টটির মাত্র ১৪ বছরের Growth Curve নির্দেশ করে ই-বুক এর বর্তমান পাঠকপ্রিযতার হার, ই-বুকের উন্নতি ও অগ্রগতির মাত্রা ।

১৯৯১, ২০০৪ ও ২০০৭ সালে যথাক্রমে Microsoft, Google ও Amazon তাদের ই-বুক কর্মসূচী শুরু করে। এছাড়াও ১৯৯০সালে Sony Discman অডিও বুক, ১৯৯৮ সালে NuvoMedia আবিষ্কার করে ‘first hand held ebook reader: The Rocket’ ।


ই-বুক তথা ‘ইলকট্রনিক বুক’ বর্তমানে প্রধানত জনপ্রিয় অনলাইনে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশের ও প্রধান সব ভাষারই রয়েছে ই-বুক সাইট। বাংলা ভাষার ই-বুক পাওয়া যাবে এমন কয়েকটি সাইট হল- http://www.ebook.gov.bd, http://www.allbdbooks.com, freebanglapdfdownload.blogspot.com , http://www.banglaebook.net, http://www.banglainternet.com, banglabooks4free.blogspot.com, banglaebookscollection.blogspot.com, http://www.banglabook.org ইত্যাদি।
তবে for fully self-dependent book publishing একমাত্র যে সুযোগটি সৃষ্টি হয়েছে তার নাম “গ্রীণ নেট পাবলিশার্স” (http://greennetpub.com/)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×