সবাই নিজেদের অপারগতার কথা বলে বেচে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বাঙালীর মত খারাপ জগতে দেখিনা। আমি যদি টুপি ওয়ালা হয়ে ফেলানির পক্ষে অস্ত্র হাতে নেই তবে আমি জঙ্গি। আমি যদি পান্ট-শার্ট পড়ে অস্ত্র হাতে নেই তবে আমি জামাত-শিবির। আমাদের উচিৎ ছিল ফেলানি হত্যার প্রতিবাদে ঘর থেকে সকলের বের হয়ে আসা। আমরা আসলে সকলেই সার্থপর। আমরা বিদেশীদের প্রভু মানি। গোলামির জিঞ্জির থেকে আমরা কখনো বের হতে পাওলামনা। সার্থের খাতিরে আমরা পালতু কুকুর হয়ে তাদের পা চাটতেও কুন্ঠিত হইনা।
মালালা নিয়ে কত চিৎকার - চেচামেচি কত কী। কই ফেলানি নিয়ে কিছু হল? বিচিত্র প্রজাতির মানুষ আমরা। মুখের উপর লাত্থি দিলেও তাদের পা চাটার জন্য আবার আগে বারি।
আমারা আমাদের দেশের উন্নতির কথা চিন্তা করি। কিন্তু ফেলানির অভিশাপ !
আমাদের আগে বাড়তে দেবে ? কখনোই না।
এ দেশ কি ফেলানির না ? এ বিশ্ব কি ফেলানির না ?
ভূ-পৃষ্ঠের এক ইঞ্চি মাটি কি আমরা ফেলানিদের জন্য ব্যবস্থা করতে পারলাম ?
আমরা তার ঠিকানা করে দিলাম মাটির নিচে। তার বাচার কোন অধিকার দিলামনা।
আমি বলিনা হাসিনা-খালেদা খারাপ। তাদের অপসারণ করলেই এসব হত্যা বন্ধ হবে।
জনগণ যখন খারাপ হয় তাদের শাসকও সেরকম হবে।
কেউ বলতে পারেন , ভালো তো কেউ আছে। আমি বলব, ভালোরাও খারাপ। তারা খারাপের প্রতি ভরসা করে তাদের হাতে সব দায়িত্ব দিয়ে রেখেছে।
বড়দের ভুলের খেসারত কখনো ছোট হয়না। দেশ-কে দেশ ধ্বংস করে দেয়।
তবে আমি আশাবাদি একদিন না একদিন পিপাসার্থ ফেলানির রক্তের বদলা তারাই নিবে যারা জগতের মঙ্গল কামনা করে।