somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রন্তু'র কালো আকাশ - ২৫ (শেষ পর্ব)

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



যে কোন গুরুত্বপূর্ণ দিনের আগের রাতে রন্তুর দু’চোখের ঘুম কোথায় যেন হারিয়ে যায়। বিশেষ করে যদি সেই গুরুত্বপূর্ণ দিনটিতে যদি খুব ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠার প্রয়োজন থাকে তাহলে যেন আরও ঘুম শূন্য হয়ে যায় ছোট্ট রন্তুর দু’নয়ন। কালও রাতে অনেক দেরীতে ঘুম এসেছে, ঠিক কখন বলতে পারছে না। কিন্তু খুব ভোরবেলা ঠিকই ঘুম ভেঙ্গে গেছে, কিন্তু চোখ দুটি যেন আগুনে জ্বলছিল। কোনমতে চোখ খুলে রন্তু পা বাড়াল বাথরুমের দিকে, চোখে বেশ কিছু সময় পানির ঝাপটা দেয়ায় জ্বলুনি অনেকটা কমে এল। দ্রুত ফ্রেশ হয়ে স্কুলের জামা-কাপড় পড়ে তৈরি হতেই দেখল নানু নাস্তা নিয়ে হাজির। গপাগপ নাস্তাটুকু খেয়ে নিয়ে বাসা থেকে বের হল স্কুলের উদ্দেশ্যে।

আজ জেলা আন্তঃ স্কুল চিত্রাঙ্কনের ফাইনাল, বেশ কয়েকদিন ধরে রন্তু ডুবে ছিল কাগজ আর রঙ পেন্সিল নিয়ে। নিত্যদিনকার নানু আর মা’র সারাক্ষণ চলমান ঝগড়া আর কথা কাটাকাটি হতে দূরে থাকার অন্যতম উপায় হয়েছিল এই প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার জন্য স্কুল থেকে ফিরে সারাদিন ছবি আঁকাআঁকি’র নিয়ে ব্যস্ত থাকা। স্কুলের টিচারেরাও সারাক্ষণ উৎসাহ দিয়ে গেছে, ড্রইং টিচার ছাড়াও অন্য টিচাররাও নিয়মিত খোঁজ নিয়েছেন প্রতিদিন বাসায় কি এঁকেছে। প্রাইমারী লেভেলে রন্তুদের স্কুল থেকে রন্তুসহ মোট পাঁচজন অংশগ্রহণ করছে। টিচারদের বিশ্বাস রন্তুরা একটা না একটা প্রাইজ জিতবেই।

(পূর্ব ঘটনা প্রবাহঃ রন্তু, শায়লা আর জাভেদের একমাত্র সন্তান। জাভেদের সাথে শায়লার প্রনয় থেকে পরিণয়, পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর শায়লা ধীরে ধীরে বুঝতে পারে জাভেদ ভয়ঙ্কর রকমের মানসিকভাবে অসুস্থ। এক সময় মানিয়ে নিতে না পেরে ছোট্ট শিশু রন্তুকে নিয়ে মায়ের বাসায় চলে আসে। তাদের মিউচুয়ালি ডিভোর্স হয়ে গেছে। মা-বাবার এই টানাপোড়নে শিশু রন্তুর মানসিক জগতের গল্প, সাথে তার নিত্যদিনকার প্যাচালি, এই হল এই গল্পের উপজীব্য। কয়েক মাস আগ পর্যন্ত জাভেদ রন্তুকে স্কুলের গেটে মাসে এক-দুইবার দেখা করতে আসতো, গত মাস ছয়েক আগে শেষবারের মত ছেলেকে দেখতে এসেছে। মানসিক সমস্যাগ্রস্থ জাভেদ পরিবার, আত্মীয় পরিজন হতে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে একাকী জীবন পথে হেঁটে চলেছে। অপর দিকে রন্তুর মা শায়লা এক প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরী করছে, যেখানে তার এক সিনিয়র পোস্টের সহকর্মী ইরফানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে গড়িয়েছে প্রণয়ের। ইদানীং রন্তুর মাঝে একটি মানসিক সমস্যা দেখা যাচ্ছে, সে বাবা-মা সহ নিজেদের একটি পরিবার খুব মিস করে। আর সেই অপ্রাপ্তি থেকে সে নিজের মনে একা একা এক কাল্পনিক জগতে বিচরন করে। এরমাঝে শায়লার প্রবাসী বড়ভাই দেশে এসেছে ছুটিতে। কিছুদিন আগে রন্তু মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়েছিল, ডাক্তাররা প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু কোন বিপদ ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠেছিল সে। কিন্তু বিপদ যখন আসে, চারিদিক দিয়েই আসে। রন্তুর বাবা জাভেদ বহুদিন পর দেখা দিয়েছিল উপন্যাসে। শায়লাকে ইরফানের সাথে বাইরে ঘোরাফেরা করতে দেখে উত্তেজিত হয়ে বাসায় এসে বাজে আচরণ করেছে এবং ফলস্বরূপ শায়লার বড় ভাই শিপলু তাকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। গত কয়েক পর্বে দেখা গেছে শায়লা'র সাথে ইরফানের প্রনয়, পরিণয়ের দিকে গড়াচ্ছে। ইরফান শায়লাকে বিয়ে করে বিদেশ নিয়ে যেতে চায়। বছরখানেকের মধ্যে রন্তুকেও তাদের কাছে নিয়ে যাবে। কিন্তু শায়লার মা আর বড় ভাই এই সম্পর্ক মেনে নিতে রাজী নয়। এই নিয়ে প্রায়ই বাক-বিতন্ডতা চলে শায়লা আর তার মা'র মাঝে। এইসব ঘটনা পরিক্রমা রন্তুর মনোজগতে ভীষণভাবে নাড়া দিয়ে গেছে। তার আচরণে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। বাবা-মায়ের সম্পর্কের এই টানাপোড়নের সাথে তার শিশু মনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া এবং পরিবারের মানুষগুলোর মিথস্ক্রিয়া’য় কেমন চলছে আমাদের রন্তুর জগত তা জানার জন্য আসুন এবার আবার শুরু করা যাক)

স্কুলে পৌঁছে দেখে ইতোমধ্যে তাদের টিমের দুজন চলে এসেছে, ছেলে দুটো রন্তুর এক ক্লাস উপরে পড়ে। ড্রইং টিচার এবং ড্রিল টিচার তাদের সাথে যাচ্ছেন, উনারাও চলে এসেছেন। মিনিট পনেরোর মধ্যে বাকী দুজনও এসে পড়লে তারা রওনা হল। জেলা ল্যাবরেটরী স্কুলে প্রতিযোগিতার এই ফাইনাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দুইটা রিকশায় রন্তুরা, আর অন্য রিকশায় ড্রইং আর ড্রিল টিচার। মিনিট পনের’র মধ্যে তারা পৌঁছে গেল জেলা ল্যাবরেটরি স্কুলে। স্কুল গেটে ছেলেমেয়েদের হাঁট বসেছে যেন। গার্জিয়ান, টিচার সব মিলে এক বিশাল মেলা। রন্তু নার্ভাস ফিল করতে লাগল।

স্কুল কম্পাউন্ডের ভেতরে ঢুঁকে দেখলে ছোট ছোট করে অনেকগুলো প্যান্ডেল ঘেরা শামিয়ানা টাঙ্গানো হল রুমের মত ঘর বানানো আছে। তারই একটিতে রন্তুকে ঢুকিয়ে দিল ড্রইং টিচার। রন্তুর সমবয়সী ছেলেমেয়েতে পুরো ঘর ভরা, সবাই দুপাশে লম্বা মাইন দিয়ে বসে পড়েছে। রন্তুও কোনার দিকে ফাঁকা জায়গা দেখে বসে পড়ল। বসার সাথে সাথে একজন ম্যাডাম একটা সাদা আর্ট পেপার দিয়ে গেলেন। রন্তু তার পেন্সিল, রংপেন্সিলের বক্স এগুলো বের করল। চারিদিকে চোখ বুলিয়ে দেখল কত রকমের রংপেন্সিল যে নিয়ে এসেছে একেকজন। ঠিক রন্তুর পাশেই মাথা ভরা কোঁকড়া চুলের যে মেয়েটি বসে আছে, তার রংপেন্সিল বক্সটা ড্রয়ার দেয়া। একেক ড্রয়ারে বুঝি একেক রকমের রংপেন্সিল। কারন রন্তু আড়চোখে দুবার মেয়েটার দিকে তাকিয়েছে, দুবারই মেয়েটা ঐ রংপেন্সিলের ড্রয়ার খুলছিল। একটাতে ছিল মোমের রংপেন্সিল, অন্যটাতে জলরঙের কৌটা। আরও দুটো ড্রয়ার রয়েছে, ওগুলোতে নিশ্চয়ই অন্য আরও দুরকমের রঙ রয়েছে। ইশ, রন্তুর যদি সেইরকম একটা রঙ এর বাক্স থাকত!

স্কুল এক্সামের মত প্রশ্ন দেয়া হল তাদের, দুটি ছবি আঁকতে হবে। প্রতিটি’র জন্য বিকল্প দেয়া আছে, সময় দুই ঘণ্টা। রন্তু প্রশ্ন পাওয়ার পর যেন অন্য কোন ভুবনে হারিয়ে গেল। তার ছবি আঁকার ক্যানভাস সাদা আর্ট পেপার আর রংপেন্সিল ছাড়া অন্যকিছু যেন চারিধার হতে উধাও হয়ে গেছে। এতো তন্ময় হয়ে ছবি আঁকতে দেখে টিচার কয়েকবার উঁকি দিয়ে গেছে রন্তুর কাগজে। কিন্তু ছবি আঁকায় মগ্ন রন্তু যেন টের পায় নাই, এমনকি পাশের মেয়েটা আড় তার বাহারি রঙ পেন্সিল, সব কিছুর কথাই যেন ভুলে গেছে সে। ঠিক দুঘণ্টা পর যখন টিচার এল ছবি জমা নিতে তখন যেন সম্বিৎ ফিরে পেল সে। দ্বিতীয় ছবিটা অসম্পূর্ণ রয়ে গেল বলে মনটা একটু খুঁতখুঁত করতে লাগল।

আঁকা শেষ করে রন্তু ঘুরে বেড়াল পুরো স্কুল কম্পাউন্ড, স্কুলটা রন্তুদের স্কুলের চেয়ে অনেক অনেক বড়। মাঠের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছতে রন্তুর বুঝি দশ মিনিট লেগে গেল। রন্তু আজ ঘড়ি পড়ে আসে নাই, খুব ইচ্ছে ছিল বাবার উপহার দেয়া সেই পুরানো ঘড়িটা আজ পড়ার। কিন্তু ঘড়িটা মা’র কাছে, তাই রন্তুর চাইতে মন চাচ্ছিল না। তাছাড়া মা বুঝি কোথাও বেড়াতে গেছে, কাল রাতে রন্তু দেখে নাই। আজ সকালেও দেখে নাই। বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর ড্রইং টিচারের সাথে দুপুরবেলার খাবার খেতে গেল। খাওয়া-দাওয়া শেষে কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে মূল মঞ্চে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হল। একজন মন্ত্রী ছাড়াও দেশের খুব নামকরা একজন আঁকিয়ে রয়েছেন, যার আঁকা নানান ছবি আর কার্টুন প্রায় দিনই জাতীয় দৈনিকে দেখা যায়।

মঞ্চ থেকে একেক করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হচ্ছিল আর চারিদিক থেকে তুমুল করতালিতে মুখরিত হচ্ছিল পুরো স্কুল কম্পাউন্ড। বিজয়ীরা মঞ্চে গিয়ে ক্রেস্ট আর সার্টিফিকেট নিয়ে অতিথিদের সাথে করমর্দন করে হাসি মুখে ছবি তুলছিল। ইস... দ্বিতীয় ছবিটা যদি পুরো কমপ্লিট করতে পারত! হয়ত রন্তুর নামও উচ্চারিত হত ঐ মঞ্চ হতে। এমনটা ভাবতে ভাবতে কিছুটা যখন অন্যমনস্ক হয়ে গিয়েছিল রন্তু, ঠিক তখনই কানে এল তার নিজের নাম, ঐ মঞ্চ হতে ঘোষণা হচ্ছে তার নাম! প্রথমে রন্তু বিশ্বাস করতে পারছিল না। কিন্তু তৃতীয়বারও যখন একই নাম ঘোষণা করা হল, তখন সে উঠে দাঁড়িয়ে মঞ্চের দিকে এগিয়ে গেল। কেন যেন পা দুটো হাঁটুর কাছে খুব বেশী কাঁপছিল। রন্তুর মনে হচ্ছিল এই বুঝি পড়ে যাবে। শেষ পর্যন্ত কোন বিপদ ছাড়াই মঞ্চে পৌঁছতে পারল।

একটা ঘোরের মধ্যে দিয়ে যেন পুরস্কার নিয়ে মঞ্চ হতে নেমে আসলো রন্তু। নেমে আসতেই ড্রইং টিচার তাকে কোলে তুলে নিল, কিন্তু কোলে তুলেই বুঝি বুঝতে পারল বড্ড ভুল হয়ে গেছে। রন্তুর বাড়ন্ত শরীরের ওজন সামলাতে না পেরে ধপ করে নামিয়ে দিলেন। এরপর সারাক্ষণ রন্তুকে ঘিরে জটলা, রন্তু বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে, দ্বিতীয় ছবিটার জন্য! ছবির নাম “আমাদের পরিবার”। ছবিতে দেখা যাচ্ছে খোলা একটা সবুজ ঘাসে ঢাকা মাঠের মাঝ দিয়ে রন্তুর বয়সী একটা ছেলে বাবা-মায়ের মাঝখানে দুজনের হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছে। বাবার অন্য হাঁতে ছাতা ধরা, কারন মাথার উপরে কালো মেঘে ঢাকা আকাশ, গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি নামবে বলে। প্রধান অতিথি ছবিটির খুব প্রশংসা করলেন, সাথে রন্তুর বাবা-মা’র। এরকম দৃঢ় পারিবারিক বন্ধন যেন প্রতিটি ঘরে ঘরে বজায় থাকে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিকেল নাগাদ রন্তুরা স্কুলে ফিরে এল। স্কুলে ফেরার পর হল আরেকদফা হৈহুল্লোড়, যদিও বিকেলের শিফটে স্কুল শেষ হয়ে বড়দের, তারপরও সকল ক্লাসের সবাই মিলে অনেক আনন্দ করল। কোন ফাঁকে ছোট মামা স্কুলে এসেছেন রন্তু খেয়ালই করে নাই। হঠাৎ দেখল ছোট মামা স্কুলের গেটের ভেতরের দিকে এক কোনে দাঁড়িয়ে আছে। দৌড়ে ছোট মামার কাছে গেল, পরে ড্রইং টিচারের সাথে কথা হল ছোট মামার। শেষ বিকেলে রন্তু ছোট মামার সাথে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হল।

সারাটা পথ রন্তু অল্প অল্প কাঁপছিল উত্তেজনায়, জীবনে প্রথম কোন জয়ের আনন্দ বুঝি এমনই তীব্র হয়। বাসায় ফিরে দেখল মা এখনো ফিরে নাই, নানু গোমড়া মুখে বসে আছে। বড় মামা ছাঁদে পায়চারী করছে। রন্তুর পুরস্কার পাওয়ার ঘটনায় ছোটমামা ছাড়া আর কেউ বুঝি খুশী হয় নাই। ছোট মামার সাথে রন্তু ছোট মামা’র চিলেকোঠার ঘরে চলে এল। মামা ঘরে এসেই রন্তুকে একটা সারপ্রাইজ গিফট দিলেন, একটা মাউথ ওয়াগন। রন্তুর অনেকদিনের শখ ছিল, কবে যেন এই কথা ছোট মামাকে বলেছিল। আহ, আজকের দিনটা এতো সুন্দর কেন...

ছোট মামা রন্তুর কাছে এসে বলল, ‘তুই তো বড় হয়ে গেলি রে রন্তু। তুই এখন থেকে সব বুঝতে শিখবি, কথায় কথায় কাঁদবি না...’ বলে কেন যেন ছোট মামা নিজেই কেঁদে দিল। আর রন্তুর হাতে দিল একটা ছোট ভাঁজ করা কাগজ। কাগজ খুলতে দেখল একটা চিঠি।

“বাবা রন্তু সোনা,
তোমাকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেলাম। কিন্তু এই যাওয়া চিরতরে নয়, খুব শীঘ্রই তোমাকে আমার কাছে নিয়ে আসব। ততদিন ভালো থেকো, আর নানুকে যন্ত্রণা দিও না।
ইতি
তোমার খুব পচা মা”

রন্তু যখন চিঠি পড়ছিল, তখন তার শরীর অজানা এক অনুভূতিতে কেঁপে কেঁপে উঠছিল। ছোট মামা রন্তুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছিল। কিন্তু জীবনে প্রথমবারের মত খুব চেষ্টা করেও রন্তু কাঁদতে পারলো না। ছোট্ট চোখ দুটি খুব জ্বালা করে লালা রক্তবর্ণ ধারণ করল মাত্র। মামার ঘরের জানালা দিয়ে চোখ মেলে সন্ধ্যার আকাশ পানে চেয়ে দেখে আকাশ জুড়ে কালো মেঘের ঘনঘনটা, এখনি বুঝি ঝরাবে শতবর্ষ জমিয়ে রাখা দুঃখস্রোতের অশ্রুজল।


'রন্তু'র কালো আকাশ' এর আগের সব পোস্টগুলোঃ
রন্তু'র কালো আকাশ - ১
রন্তু'র কালো আকাশ - ২
রন্তু'র কালো আকাশ - ৩
রন্তু'র কালো আকাশ - ৪
রন্তুর কালো আকাশ - (১-৫)
রন্তু'র কালো আকাশ - ৬
রন্তু'র কালো আকাশ - ৭
রন্তু'র কালো আকাশ - ৮
রন্তু'র কালো আকাশ - ৯
রন্তু'র কালো আকাশ - ১০
রন্তু'র কালো আকাশ - ১১
রন্তু'র কালো আকাশ - ১২
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৩
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৪
রন্তু'র কালো আকাশ (পর্ব ১-১৪ ফিরে দেখা)
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৫
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৬
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৭
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৮
রন্তু'র কালো আকাশ - ১৯
রন্তু'র কালো আকাশ - ২০
রন্তু'র কালো আকাশ - ২১
রন্তু'র কালো আকাশ - ২২
রন্তু'র কালো আকাশ - ২৩
রন্তু'র কালো আকাশ - ২৪
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫
১৪টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×