একজন বন্ধুর আমন্ত্রণে গেলাম রেস্ট্রুরেন্টে খেতে।আমি ছাড়াও তিন জন উপস্থিত।তিন জনই ইঞ্জিনিয়ার। সকলেই ভাল অবস্থানে আছে, অন্তত আমার মতে এই বয়সে যে টুকু হওয়া দরকার। সবার গল্পের মাঝখানে একজন বলল " ইশ, যদি আরেকটু ভাল একটা চাকরি পেতাম।"
আমার খুবই কাছের এক পরিচিত বড় ভাই যিনি বাংলাদেশের এক স্বনামখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে একটা টেক্সটাইল কোম্পানীতে ডেপুটি ম্যানেজারের চাকরি করেন। কিন্তু দেখা হলেই বলেন মনে সুখ নেই রে। একটা সুখের অসুধ দে।
সবখানে কেন আমাদের এমন হতাশা?
কারণ বহুবিধ একথা অনস্বীকার্য। কিন্ত আমার ধারণা বিশ্বাস এর জায়গা টা সবচেয়ে বড় স্থান দখল করে আছে।
ঈশ্বরের প্রতি অগাধ বিশ্বাস মানুষের অভ্যন্তরে এক অন্তর্নীহিত্ত শক্তি তৈরী করে। তার উপর এক সার্বভৌম সর্বশক্তিমান সত্ত্বা রয়েছে যিনি তার নিজস্ব প্লান মতই চালাচ্ছেন সকল সৃষ্টিকে। আমাদের এই খারাপ সময় আসলে খারাপ নয় বরং তারই মহাপরিকল্পনার অংশ। দুর্দিনের কঠিন কালো সময়ে তিনি আছেন আবার আবার আনন্দের হাস্যরস ময় দিনেও তিনি আমাদের সাথে আছেন স্বমহিমায় উজ্জ্বল।
ঠিক এই আত্মবিশ্বাসকেই ভাংতে চাই নাস্তিক শক্তি। তাদের সুন্দর সাজানো বৈজ্ঞানিক ব্যাখার অন্তরালে মূল লক্ষ মানুষ কে ঐশী শক্তি বিহীন শুধুমাত্র রক্ত মাংসের রোবটে পরিণত করা।
কিন্তু আমি মানুষ, আমার দেহ আছে মন আছে। দেহ কে সোজা রাখতে হলে যেমন লাগে মেরুদন্ড তেমনি মনকে সোজা রাখতে লাগে ঐশী শক্তি।
আপনি আপনার কিতাব খুলে দেখুন না কি অসাধারণ শক্তি ঠাসা আছে প্রতিটি পাতায়।
তখন পচা গোবরে ছুড়ে ফেলতে মন চাইবে নাস্তিকদের যুক্তি।