ইহুদীরা মনে করে যে, তারা সৃস্টিকর্তার নির্বাচিত মানুষ; ইসরায়েল তাদের প্রতি বিধাতার প্রতিশ্রুত ভুমি। মুসলমানেরা শেষ নবীর উম্মত, তাদের নবীই আল্লাহের ঘনিস্ট বন্ধু, সে হিসেবে তারাই সব সঠিক মানুষ। এগুলো হলো ধর্মীয় ভাবনা।
দেশ, মানুষ, সম্পদ এগুলো ধর্মীয় ভাবনা নয়, এগুলো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবনা। ইসরায়েল ও প্যালেস্টানী আরবদের মাঝে ভুমি নিয়ে যুদ্ধ হচ্ছে, অর্থনীতি নিয়ে যুদ্ধ হচ্ছে; তাই এর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমাধান দরকার।
আরবেরা ৬৬ বছর যুদ্ধ করেছে, সমাধান হয়নি, সমাধান হবে না; ইহুদীরা গণতান্ত্রিক মানুষ, আরবেরা অগণতান্ত্রিক; ইসরায়েলীরা শিক্ষিত, প্যালেস্টাইনীরা অশিক্ষিত; ইসরায়েলীরা আমেরিকার সহানুভুতি পেয়ে আসছে, প্যালেস্টাইনীরা তা পাচ্ছে না, বা পেলেও কাজে লাগাতে পারছে না।
প্যালেস্টাইনী স্বাধীনতা যুদ্ধে সবচেয়ে বড় নাম হচ্ছে পিএলও; গত ২০ বছরে প্রমাণিত হয়েছে যে পিএলও দুর্নীতিগ্রস্ত ও প্যালেস্টাইন দেশ গঠনে তাদের সঠিক প্ল্যান নেই। পিএলও'কে দুর্বল করার জন্য ইসরায়েল হামাস গঠনে সাহায্য করে; হামাস প্রথমদিকে মানুষের মন জয় করে; কিন্তু তারা শান্তিতে বিশ্বাসী নয়, বরং সন্ত্রাসে বিশ্বাসী; সন্ত্রাস দ্বারা প্যালেস্টাইন দেশ গঠন সম্ভব নয়।
ইসরায়েলের সাধারণ মানুষ শান্তির বিনিময়ে প্যালেস্টাইন রাস্ট্র গঠনে বিশ্বাস করে, এবং তা সম্ভব। কিন্তু প্যালেস্টাইনী পক্ষ এতে প্রস্তুত নয়।
প্যালেস্টাইন রাস্ট্র করতে হলে, ইসরায়েলকে 'বিনা রক্তপাতে' গাজা দখল করে নিতে হবে; বা কমপক্ষে গাজাকে ঘেরাও করে, হামাসকে মরক্কো বা জর্দানে চলে যেতে বাধ্য করে, গাজাতে স্কুল শিক্ষক ও সাধারণ আরবদের স হায়তায় সরকার গঠন করে, তাকে স্বীকৃতি দিয়ে 'ওয়েস্ট ব্যাংক'কে সেই প্যালেস্টাইনে যোগ করতে হবে। ইসরায়েলের তত্বাবধানে নির্বাচন দিয়ে পার্লামেন্ট গঠন, পুলিশ বাহিনী গঠন, অর্থনীতি গঠন করে ১০ বছর ইসরায়েলের সাহায্য চালু রেখে তারপর প্যালেস্টাইনীদের হাতে ছেড়ে দেয়া দরকার।
প্যালেস্টাইনীরা ৬৬ বছর দেশ পায়নি, শান্তি পায়নি, সব হারায়েছে; এখন দেশ পেলে, শান্তির মুখ দেখলে তারা প্রতিশোধ ভুলে নিজের দেশ গড়ায় মন দেবে।