ইংল্যান্ড থেকে ফিরে শেখ হাসিনা সাংবাদিক সন্মেলন ডেকেছেন; কি বলবে কে জানে; তবে, 'ইংলয়ান্ড বিজয়' বললে হতবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আমি ভাবছিলাম উনি ওখানে গেছেন ইংল্যান্ডের আওয়ামী লীগের সাথে ইফতার করতে; অন্তত সুশান্তের পোস্ট থেকে তাই মনে হচ্ছিল; পরে জানলাম, উনি 'গার্ল সামিটে' গিয়েছেন। দেশের প্রাইম মিনিস্টার যাচ্ছে কোন এক গার্ল সামিটে; উনি কি আসলে প্রাইম মিনিস্টার হয়ে একেবারে বেকার হয়ে গেছেন?
ওখানে এক বাংগালী সাংবাদিক উনাকে বিএনপি'র সাথে 'আলোচনার' ব্যাপারে প্রশ্ন করেছেন; উনি উল্টো প্রশ্ন করেছেন, "আলোচনা নিয়ে এত ব্যস্ততা কেন"? এই মনোভাব একেবারে অপ্রত্যাশিত নয়; যিনি ২০১৩ সালে খালেদা-জামাত-শিবিরের তান্ডব থামায়ে দিয়েছেন, যিনি খালেদা-জামাত-হেফাজতের যড়যন্ত্রকে বালিতে মিশায়ে দিয়েছেন, যিনি খালেদা বেগমকে ভোটের বাক্স বসাতে দেননি, তিনি এ ধরণের প্রশ্ন করতেই পারেন।
তবে, সামান্য একটু সমস্যা আছে, বাংলাদেশ বিশ্ব একা নয়; বিশ্বে সবাই খেয়াল রাখছে, কোথায় কি হচ্ছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত নতুন আমেরিকান এ্যামবেসেডর বলেছে যে, গত নির্বাচন 'খুব একটা পরিস্কার' নির্বাচন নয়; এসব কথার অর্থ আছে, এগুলো রাজনৈতিক টার্ম; এগুলো খালেদার মুখ থেকে আসেনি, তাই এগুলোকে রাজনৈতিকভাবে গ্রহন করে সঠিকভাবে তৈরি কারা ও গ্রহনযোগ্য উত্তর দিতে হবে। মতিয়া বেগম দরিদ্রদের মাঝে রিলিফ দেয়ার সময় নতুন এ্যামবেসেডরের মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন যে, বাংলাদেশ কারো মুখপেক্ষী নয়; দরিদ্রদের রিলিফ দেয়ার সময় এই ধরণের রাজনৈতিক আলাপ? অগ্নিকন্যার মুখ দিয়ে কি ছাই বের হচ্ছে?
শেখ হাসিনা ভালো করছে না; ক্ষমতাকে ধাওয়া করে ধরে টিকা সঠিক নয়; ক্ষমতা যদি উনাকে অনুসরণ করে, তবে সঠিক হবে। খালেদার তান্ডব ঠকানো, হেফাজতের তান্ডর ঠেকানো, ১৫২ সীটে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় জিতা প্রতিবার সম্ভব হবে না; উনাকে রাজনীতিতে ফিরতে হবে; তান্ডব ঠেকানো ও ক্ষমতায় টিকা নিয়ে ব্যস্ত থাকলে জাতির জন্য কাজ করার সময় হবে না; জাতি নিজের ভারেই উনার গায়ের উপর পড়বে।
এখন খালেদা বেগমের সাথে উনার সংলাপে যাওয়া উচিত, এবং সংলাপে উনি জয়ী হবেন; সংলাপে উনি যদি দেশের সামগ্রিক সমস্যা আসবে, তাতে খালেদা বেগমের অংশ গ্রহন দরকার; এ ধরণের সংলাপ হলে খালেদা বেগম নিজেই সংলাপ ফেলে পালাবে; শুধু ভোট নিয়ে যে সংলাপ হবে তা নয়, সংলাপ হবে যাতে রাজনৈতিক মিটিং এ যেন কেহ গ্রেনেড মারতে না পারে, কেহ যেন ভোটারদের পোড়াতে না পারে, কেহ যেন রেল পোড়াতে না পারে, কেহ যেন গাছ কাটতে না পারে, সবাই যেন ভোট দিতে পারে, ভোটের পর যেন হিন্দু বাড়ী না পোড়ে; এগুলোকে সংলাপে আনলে খালেদা বেগমের ছোট মগজ গলে যাবে, সংলাপ থেকে পালিয়ে যাবে, হয়তো রাজনীতিই ছেড়ে দেবে। খালেদা বেগমকে বুঝাতে হবে যে, তত্বাবধায়ক সমসয়া অনেক সমস্যার সাথে যুক্ত, সবগুলোর সমাধান খুঁজতে হবে।