একজন ইপিআর, বা একজন বেংগল রেজিমেন্ট মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকের গড় বয়স এখন ৭৭ বছর; তাঁদের মাঝে কেহ যদি ব্লগিং করতেন, তাঁদের পোস্টগুলো কি নিয়ে হতো? ভাবতে অবাক লাগে, তাঁরা কি নিয়ে আজ কথা বলতেন! দু:খের বিষয়, উনাদের কেহ আজ ব্লগিং করছেন, তার সম্ভাবনা প্রায় শুন্য: ১৯৭১ সালের সেই বীর পুরুষদের বয়স, অর্থনৈতিক অবস্হা, প্রাতিস্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা ভাবলে, মনে হয় না যে, উনাদের কেহ কম্প্যুটার শেখার সুযোগ পেয়েছিলেন, বা কেনার সুযোগ পেয়েছিলেন।
অফিসারদের মাঝে জেনারেল জিয়া, কর্ণেল মাহফুজ, ক্যাপটেন শামসু ইন্টারনেট দেখার সুযোগ পাননি। আমার জানামত, ভাইস এয়ার মার্শাল খোন্দকার, ক্যাপটেন ভুঁইয়া, মেজর রফিক, ক্যাপটেন ওলি, ক্যাপটেন হামিদ, লে: খালিদ, জেনারেল হারুন ব্লগিং করেন না।
সবচেয়ে কম বয়সী মুক্তিযোদ্ধার বয়স এখন ৬০ বছর; বাংলাদেশের ৬০ বছর বয়সী মানুষের জন্য অনেক কিছুই নাগালের বাহিরে।
ব্লগে পেয়েছিলম 'ভুমিহীন জমিদার', 'মুক্তিযোদ্ধা-৭১' ও 'বিপরিত করতল' নিকে ৩ মহান মুক্তিযোদ্ধাকে; সম্প্রতি তাঁদের দেখছি না, তাঁদের ব্যাপারে চিন্তিত। এঁরা ৩ জনই যু্দ্ধের সময়ে ছাত্র ছিলেন; যুদ্ধশেষে 'ভুমিহীন জমিদার' কিছুদিন শেখ সাহেবের অফিসে চাকুরী করেছিলেন; পৃথিবীতে যদি একজন মাত্র শেখ সাহেবের সঠিক অনুসারী থাকেন, উনিই সেইজন; আজকাল লিখেন না, শারীরিক খুবই বড় ধরণের সমস্যা আছে উনার। 'মুক্তিযোদ্ধা-৭১' খুবই কম লিখতেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও টেকনোলোজিক্যাল পোস্টে কমেন্ট করতেন; আজকাল দেখছি না উনাকে ব্লগে। 'বিপরিত করতল' সরকারী চাকুরী থেকে অবসর নিয়েছেন; একবার যুদ্ধের উপর নিজের স্মৃতি নিয়ে লিখেছিলেন; আজকাল ব্লগে দেখা যাচ্ছে না উনাকে। আশাকরি, উনারা সবাই ভালো আছেন।
মনে হয়, ৪০/৪৫ হাজার মুক্তিযোদ্ধা জীবিত আছেন; এঁদের মাঝে যাঁরা ছাত্র ছিলেন, তাঁদের থেকে হয়তো কেহ কেহ কোথায়ও লিখছেন; জানলে ভালো হতো। এ ব্লগে যদি কেহ থেকে থাকেন জানাবেন। ব্লগিং করুক, বা না করুক, সব জীবিত মুক্তিযো্দ্ধারা ভালো থাকুক, এই কামনা রলো।