somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কি দোষ ছিল তাদের

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সারাদিনের ক্লান্তিময় কাজ সেরে গামছার মাথায় দু কেজি চাল আর একটা লাউ নিয়ে ঘরে ফিরছে কলিম শেখ ।
রাজমিস্ত্রির যোগালি সে। কাজ তেমন একটা পারে না সে। শুধু সিমেন্ট গুলাতে পারে আর আর ইট বহন করতে পারে।
হেড মিস্ত্রী তাকে প্রতদিনের কাজের বিনিময়ে ১৫০ টাকা দেন । এতেই সে খুশি।
তিন সদস্যের পরিবার তার সুন্দর ভাবে না চললেও দিন কেটে যায়।
এই টাকার জন্য প্রতিদিন তাকে ঘুম থেকে উঠে কাজে যেতে হয় খুব ভোরে।
তার সন্তানের সাথে কখনও দেখা হয়না তার। সকালে তাকে ঘুমে রেখেই কাজে যেতে হয়, আর ফিরতে হয় ঘুমানোর পর।
প্রতিদিনের মত আজও সে বাজার থেকে ফিরছে। মাথায় নানান চিন্তা। সামনে বৈশাখ মাস। ঘরে খুটি লাগাতে হবে, বাচ্চাটার জ্বর কয়েকদিন থেকে । পথ্য নিতে হবে। বৌয়ের পরনে ছেড়া শাড়ি। অথচ একদিন বাজার না করলে না খেয়ে থাকতে হয়। এসব করবে কি দিয়ে?
১৫০ টাকা মজুরি দিয়ে একসাথে এত অভাব পুরন করা সম্ভব না। বাজারে পন্যরে যা মুল্য।
সরকারি চাকুরেদের বেতন বাড়র বলে পর পর দু বার পন্যের দাম বাড়ল। একবার বাজেটের সময়, আরেকবার বেতনের সময়।
কিন্তু কলিমের মজুরি তো বাড়ল না। ওস্তাদ কইল , বাড়ামু নে চিন্তা করিস না। কলিম তো আর নিজের জন্য চিন্তা করে না্ শুধু বউটা আর বাচ্চাটা,,,,,,,,,,,
ভাবতে ভাবতে বাড়িতে পৌছে যায় সে। বউ জানায় বাচ্চাটার ভিষন জ্বর। কিছুই খায় নি সে। না খেয়েই ঘুমিয়েছে।
কাল ডাক্তার দেখাতে হবে।

কিন্তু ডাক্তার দেখাতে গেলে কাজে যাবে কিভাবে??
কাজে না গেলে টাকা পাবে কই?
গন্জের ডাক্তার রা ৩০০ টাকা করে ভিজিট নেয়। কিন্তু তার বেতন মাত্র ১৫০ টাকা দিনে,যা প্রতিদিন বাজার করতেই শেষ। সাত পাচ ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরল সে।
কাজে গেল না আজ, হেডমিস্ত্রীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নেয়ে ডাক্তার দেখিয়ে এল । এই ধার শোধ করতে দু জনের কাজ তাকে একাই করতে হব।
পরদিন কাজ থেকে ফিরে সে জানতে পারে জ্বর কমেনি বাচ্চটার।
কি করবে? টাকা তো শেষ।
কি করবে কলিম??
বাচ্চার জন্য কি করার আছে তার?
১৫০ টাকা বেতন দিনে, চালের কেজি ২২ টাকা তেল মরিচ পিয়াাজের মুল্য গগন চুিম্ব । ডাক্তারদের ফিস ও কম না, যদিও তারা বর্ধিত হারে বেতন পান। তবে তারাই কি মানুষ?? শুধু কি তাদের বাচার অধিকার আছে?? সরকারি চাকুরেরাই মানুষ?
নাকি শুধু তারাই ভোটার , আর আপামর বাংলার কৃষক,শ্রমিক,জেলে এরা কেউ নয়?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫১
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×