আমাদের দেশে সরকার প্রধানের কান্না।সামাজিক সাইটগুলোতে অনেক আলোচনা আর সমালোচনা দেখলাম।আমরা বারবার রাজনীতির সাথে খেলাটাকে গুলিয়ে ফেলি।কেউ কি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন তিনি কেবল পাকিস্তানকে হাঁরানোর জন্য কাঁদলেন?আমার মনে হয় তার কান্না জয়ের কান্না।সেখানে পাকিস্তান না হয়ে ভারত বা অস্ট্রেলিয়া হলেও তিনি কাঁদতেন।এ কান্না আবেগের কান্না।এ কান্না ভালবাসার কান্না,এ কান্না বাংলাদেশ দলের বিজয়ের কান্না।তিনি ও একজন মানুষ।আপনি আমি যেমন আবেগে কাঁদতে পারি তেমনি তিনি ও পারেন।কিন্তু আমাদের মন-মানসিকতা আমাদের সেটা বুঝতে দেয় না।আমরা সব কিছুতে রাজনীতি খুঁজি।ফেবু থেকে দুইটা মন্তব্য দিয়ে এ ছবির গল্প শেষ করলাম।
মন্তব্য ০১:তিনি মনে হয় পাকিস্তানের প্রতি তার ভালবাসা ভূলতে পারেন নি।যুদ্ধের সময় তো এই পাকিরাই তাদের দেখাশোনা করেছে,খাবার দিয়েছে,যত্ন নিয়েছে।আর তাই পাকিস্তানের প্রতি ভালবাসা দেখানোর জন্যই তিনি সবসময় তাদের খেলা দেখতে যান।
মন্তব্য ০২:তিনি আবার প্রমান করলেন তিনি ভারতের দালাল।ভারতের খেলা তিনি দেখতে যান না।ভারতের সাথে জিতলে তিনি কাঁদেন না।
ছবি#০২
এসময়ের বা এ যুগের রাজনৈতিক নেতাদের মাঝে আমি মন থেকে দুজন মানুষকে সম্মান করি।এক মরহুম জনাব সাইফুর রহমান।কারন তার দ্বারা আমাদের সিলেটবাসীর যা উন্নয়ন হয়েছে আর কেউ করেনি।মানুষটা ও ছিল মাটির মানুষ।আর ২য় মানুষটার তো ছবিই দিলাম।অনেক সাহসী একজন মানুষ।অন্যায়কে অন্যায় বলতে জানেন সেটা নিজের দলের কেউ করলে ও।যেটা সাধারনত আমাদের বাকি নেতাদের মাঝে খুবই কম দেখা যায়।আমার কেবলি মনে হয় তিনি বলিউডের ছবি নায়কের অনিল কাপুর না হয় টালিউডের ফাটাকেস্ট।দেশের আর সব নেতাদের থেকে তিনি মন-মানসিকতায় ও অনেক অনেক এগিয়ে।তার প্রমান আজ আবার পেলাম।যেটা মনে হয় তাঁর আগে আর কেউ স্বীকার করেছেন কিনা আমি জানি না।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মরহুম জিয়াউর রহমান নিজেই বলেছিলেন, আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি বাংলাদেশের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষ থেকে। ওটা মরহুম এম এ হান্নানও ঘোষণা দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের ঘোষণা ওই সময় তাৎপর্য ছিল না, এটা আমরা অস্বীকার করব না। তবে তিনি ছিলেন ঘোষণার পাঠক।’আজ শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ সফল করতে মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।(সূত্র:প্রথম আলো)
মরহুম জিয়াউর রহমান কেবল মাত্র একজন ঘোষনার পাঠক,আমার মনে হয় এটাই অনেক বড় কিছু।এই সামান্য জিনিসটা ও জানি সরকার দলের শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে ও বাকিরা মানতে চায় না।যদি চাইতো তাহলে উন্নয়নটা বাংলাদেশেরই হতো।স্যার আপনানে স্যালুট,আপনি সত্যকে সত্য বলে স্বীকার করতে জানেন।
ছবি গল্প#০৩
আমাদের এই চাচাকে নিয়ে ও আমাদের সামাজিক সাইটগুলো গরম।পক্ষে আর বিপক্ষে চলছে কথার লড়াই।এক একজন তর্কে জেতার জন্য অন্য জনের মা-বোনকে অনায়াসে পাকিদের হাতে তুলে দিচ্ছে।মনে হয় তাদের দ্বারা নির্যাতিত হতে পারলেই সে খুশি বা এই তর্কে জিতে যাবে।অথচ কারো মা,বোনকে নিয়ে গালি দেবার আগে আপনি ভূলে জান আপনার ও মা-বোন আছে।তাদেরকে ও পাল্টা গালি দিতে পারে।আর সেদিন চাচা নিজের ইচ্ছেতে পতাকা হাতে নিয়েছেন নাকি তাকে কেউ জোড় করে দিয়েছেন তা একমাত্র চাচাই ভাল বলতে পারেন।যদি ও এ নিয়ে চাচার একটা নিউজ অনলাইন একটা পত্রিকায় পড়লাম।কিন্তু অনলাইন পোর্টাল গুলোর নিউজ বেশির ভাগই আমার কাছে ভূয়া মনে হয়।তবে নিজের মতে বলতে গেলে এটা বলতে পারি খেলাতে হেরে যাবার পর পাকিস্তানের মানুষ যেমন করে ক্রিকেটের জানাযা পড়েছে আর টিভি ভাঙ্গলো তাতে যদি মনের দুঃখ আর ক্ষোভে চাচা বাংলাদেশের পতাকা হাতে নেন তাহলে আমি খুব একটা অবাক হবো না।
আমার মনে হয় আমাদের দেশের মানুষের একটাই দোষ।আমাদের নিম্ন মন-মানসিকতা আর নোংড়া রাজনীতি।আমাদের সবাইকে এটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।সবাই সবাইকে সম্মান করতে হবে।সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে।আর সবার মত যে একই রকম হবে সেটা ও আশা করা বোকামি।আমরা সবাই মিলে যার,যার যতটুকু সম্মান তাকে ততটুকু সম্মান দেখাবো,আমরা আমাদের মন-মানসিকতা বদলে বাংলাদেশটাকে একটি স্বপ্নের দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।এখন যেমন সারা বিশ্ব আমাদের ক্রিকেট দলকে সম্মান করে তেমনি ভাবে একদিন এ বাংলাদেশটাকে ও,এ দেশের মানুষগুলোকে ও তারা মন থেকে ভালবাসবে সম্মান করবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯