আজ বেশ কটা দিন হয়ে গেল ব্লগ থেকে দূরে।ফেসবুক বন্ধ করে রেখেছি,অনলাইনে আর পত্রিকা পড়া হয় না।আর ব্লগে আসলে তো এখন সারা বিশ্বের খবর পাওয়া যায়।আসলে আমি কাপুরুষ।আমার প্রতিবাদ করা মানেই হলো কিবোর্ডে আঙ্গুল চালানো।জনা কিছু মানুষের মন্তব্য বা কিছু লাইক।আমি কাপুরুষ আর তাই ভয়ে কোন কিছু পড়তে বা দেখতে সাহস হয় না।যখন কথা হয় পরিবারের সাথে কেবল এটাই বলি ভাল থাকবেন আর সাবধানে।যে কথাটা আমার পরিবার আমাকে বলার কথা।দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে পরে আছি।তারা আমার চিন্তায় অস্হির থাকার কথা কিন্তু পরিবেশটা ঠিক উলটো।আমি তাদের চিন্তায় অস্হির থাকি।কারন আমি বাংলাদেশী।আর আমার পরিবার বাংলাদেশে থাকে।সমসাময়িক বাংলাদেশের কিছু চিত্র নিচে তুলে ধরলাম:
০১.আইসিসি এখন যে ভারতের পা-চাটা গোলাম এটা মনে হয় দিন দিন আরও পরিস্কার হয়ে যাচ্চে।আমরা আমাদের ছেলেদের নিয়ে গর্ব করতে পারি।দিন দিন বিশ্ব সেরা খেলোয়াড় বেরিয়ে আসতেছে।সেই সাথে দিন কে দিন চিন্তা ও বাড়ে যদি তাকে নিষিদ্ধ করা হয়।একজন খেলোয়াড়ের মনোবল নষ্ট করার জন্য এটাই যথেষ্ট।আজ নাকি তাসকিন খেলবে।আমার তো সন্দেহ আছে আজ তাসকিন তার মন মতো বোলিং করতে পারবে কিনা।সবসময় ভয়ে থাকবে কারন দালালদের সবগুলো চোঁখ যে আজ তার উপর কড়া নজর রাখবে।
০২.বাংলাদেশ ব্যাংকের নাকি ৮০০ কোটি টাকা নাই।রাখালের ছেলে সব অপবাদ মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করলেন।সরকার এই অপবাদ থেকে মুক্তি পেলেন।বিশ্ব বিখ্যাত সোনার ছেলে জয় বাবা পারলেন না তার কেরামতি দেখাতে।রাবিশ আবুল মাল পারলেন না সাহস করে পদত্যাগ করতে।রাখালের ছেলের পদত্যাগে বিশ্ব বিখ্যাত অভিনেত্রী সালমা হায়েক কে হার মানানো আমাদের নায়িকা হাসিনা কিছু চোঁখের জল ফেললেন।যে কাজটা দুনিয়ার সব মানুষ থেকে তিনি ভাল পারেন।এতো দিনে মনে হয় দেশের মানুষ সব ভূলে গিয়েছে।কারন আমরা খুব দ্রুত ভূলে যাওয়া জাতি।
০৩.দেশের সংবিধান থেকে নাকি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেয়া হবে।আর তাহলেই নাকি বাংলাদেশীরা বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে।আমরা এখন ইসলাম নিয়ে মারামারি করি।হানাহানি করি।আর তাই এটা তুলে দিতে হবে।আর এটা তুলতে পারলেই আমরা মুক্ত।দেশে আর মারামারি কাটাকাটি হবে না।ধর্মের দোহাই দিয়ে কোন অত্যাচার হবে না।ইস!হাসিনার সরকার কেন আর ও আগে এটা করলো না তাহলে আমাদের ক্লাশের রিতা দেবকে সাহস করে বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়ে দিতে পারতাম।আমি মুসলিম এটা আমার সব থেকে বড় পরিচয়।আমি এক আল্লাহকে মানি।আর সারা জীবন তাই মানবো।আর এটা ও পড়ে বা জেনে এসেছি যে জনসংখ্যার অনুপাতে বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ।আর তাই যে যাই করুক না কেন,মুসলমান আর ইসলাম বাংলাদেশে থেকেই যাবে।সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বাস করবে।আমরা হানাহানি করি না,কিন্তু সরকারই আমাদের মাঝে হানাহানির জন্ম দেয় আর সেটা ও কেবল নিজের লাভের জন্য।
০৪.সোহাগী জাহান তনু।আমার মতো কিছু কাপুরুষের লালসার শিকার।যারা নিজেদের চেতনার দন্ডটাকে ঠিক রাখতে পারে না।যাদের লালসার চোঁখ থেকে তাদের মা-বোনরা নিরাপদ কিনা আমি জানি না।আমার তো মনে হয় তারা তাদের মা-বোনদের দিকে ও কামনার বাঁকা চোঁখে তাকায়।না,আমি সেই হায়েনা গুলোকে দোষ দেব না।আর কোন দিন দেই ও না।যেদিন আমার চেতনার দন্ড প্রথম গরম হয়েছিল,যেদিন আমি আমার বাসার কাজের মেয়ের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিলাম।সেদিন এ দেশের সরকার আর তার নোংড়া বিচার বিভাগ আমাকে বাঁচিয়ে ছিল।তারপর যেদিন আমি আমার সহ-পাঠির উপর হানা দিলাম সেদিন ও আমি কোন না কোন সরকার দলের নেতা হিসেবে মুক্তি পেলাম।আমার আজকের হায়েনা হয়ে উঠার পিছনে যাদের হাত তা হলো এ অভাগা বাংলার বিচার বিভাগ।যখনি আমার মতো কোন কুত্তা ধরা পড়বে।প্লিজ আমাকে ঝুলিয়ে দিন আর না হয় আমার দন্ডটাকে কেটে রাস্তার কোন কুকুরকে খেতে দিন।আমাকে রক্ষা করবেন না।আর তা না হলে আমাকে দেখে এ দেশে লাখো হায়েনার জন্ম নেবে।আজ তনু গেল,কাল আপনি যাবেন পরশু হয়তো আমার বোন।
আমি আমার মনে কথা বলছি,সত্য বলছি।আমি নিজের দেশটার উপর আর কোন ভরসা করতে পারি না।দিনকে দিন দেশটা কি সত্যই এগিয়ে যাচ্ছে?বড় বড় দালান কোঠা আর পাতাল রেল বা ডিজিটাল বাংলাদেশ হলেই কি দেশ এগিয়ে যাবে?আমার তো মনে হয় দেশ এগিয়ে যাবার আগে নিজের মন-মানসিকতা বদলাতে হবে।আমার মতো হায়েনাদের ধরা মাত্র বিচার করে ঝুলিয়ে দিতে হবে।বিচার নামের প্রহসন আমি চাই।আমি চাই আমার আসল বিচার।যেন আমার শাস্তি দেখে সোনার বাংলায় মানুষ নামের পশুদের জন্ম কমে যায়।
বরাবরের মতো আমার সাহস আর প্রতিবাদের জায়গা এ ব্লগপাড়া বা সামাজিক সাইটগুলো।আমি পারি না ১৯৭১ এর বীর সেনাদের মতো ঝাপিয়ে পড়তে।কারন সোনার বাংলা দিন কে দিন আমার মতো মেরুদন্ডহীন সন্তান জন্ম দিচ্ছে।