বাংলাদেশ থেকে ঘুরে এলাম।কোন এককালে ইতিহাসে যে দেশটি সোনার বাংলা নামে পরিচিত ছিল।সে দেশ থেকে চল্লিশটা দিন ঘুরে এলাম।দেশ ছাড়ার আগে যেমনটা ছিল,দেশটা এখন আর সেই আগের মতো নেই।বদলে গিয়েছে অনেক কিছু,রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে দালান কোঠা।চারিদিকে উন্নয়নের ছড়াছড়ি।ভালই লাগলো দেখে।
কিছু দিন আগে গুলশানে ঘটে গেল দেশের ইতিহাসের সব থেকে বড় জঙ্গি হামলা বা নাটক।ভূল বুঝবেন না।দেশের সরকার প্রধান থেকে শুরু করে তার নেতারা ও যেরকম ভাষন দিলেন শুনে মনে হলো এসব তারা আগেই জানতেন।সব তথ্য ও নাকি ছিল।তারপর ও তারা একটা প্রতিরোধ করার চিন্তা করলেন না।ভাবতেই অবাক হলাম।আর তাই হামলা না লিখে নাটক শব্দটা ব্যবহার করলাম।আর দেশের মিডিয়া!!তাদের থেকে বড় দালাল মনে হয় আর দেশে নাই।যা মনে চায় তাই বলে দেয়।আর ও অবাক হলাম বিটিভির প্রচার দেখে।ভদ্রতটুকু দেখিয়ে তারা কম করে হলেও ব্রেকিং নিউজটা দেখাতে পারতো।তারা সেটা ও করে নাই।পরে আবার জানলাম দেশের ভিআইপি জায়গায় নাকি রেস্টুরেন্টটা ও অবৈধ ছিল।যেমন অবৈধ এ দেশের সরকার।জাতি আবার একটা হামলা দেখলো ঈদের দিন।থাক,আর প্যাচাল বাদ দিলাম।
এতিম মাদ্রাসার ছাত্রগুলোকে মহান আল্লাহ রক্ষা করেছেন।এটাই বিশাল পাওনা।এখন আর জয় বাবা বা তার দলের পা চাটা পুলিশগুলো এতিম মাদ্রাসায় না গিয়ে দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জঙ্গি খুঁজতে যাবে।এতিম পোলাপাইনগুলো হয়তো সরকারের কাছ থেকে কিছুটা সম্মান পেল।
এ ৪০ দিন আমি গ্রামিন ফোনের একটা সিম ব্যবহার করেছি।মোবাইলের দোকান থেকে ১৩০ টাকায় নেয়া।কার নামে সিম সেটা জানি না।দোকানদার পরিচিত ছিল।তাকে সোজা বলেছিলাম প্রয়োজনে হাতের আঙ্গুল কেটে ফেলবো কিন্তু আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে সিম তুলবো না।ধন্যবাদ তাদের যারা আমাদের মতো পাগল আর এক রোখাদের জন্য আগেই অবৈধ সিম তৈরি করে রাখছে।তার মানে এটাই বাংলাদেশে সবই পাওয়া যায়।
আমরা সিলেটিরা সবসময় আমাদের সিলেট নিয়ে গর্ব করি।আমরা ফগা(অন্য জেলার মানুষদের মতে) ছিলাম,আর ছিলাম সরলমনা।কিন্তু এ চল্লিশ দিনে দেখলাম আমাদের দালান কোঠার সাথে সাথে আমাদের মন-মানসিকতায় ও অনেক পরিবর্তন চলে এসেছে।এখন আমরা ও অনেকটা হিংস্র হয়ে যাচ্ছি।যা আমরা আমাদের সাথে মানানসই মনে করি না এখন আমরা সেগুলোই বেশি করি।
sujalam suphalam malayaja
sheetalam
shasyashyaamalam maataram
vande maataram.....
না হলে আসুন
Jana Gana Mana Adhinayaka Jaya He
Bharat Bhagya Vidhata...
আসুন আমরা বেশি বেশি করে এ দুটি গান শুনি।আগস্টের মাস এ জাতির আনন্দের মাস।এ জাতির স্বাধীনতার মাস।সুন্দরবন,যা নিয়ে ছোট বেলায় অনেক গল্প শুনেছি।এটা নিয়ে গর্ব ও করেছি।সেটা এখন আমরা বিলিয়ে দিচ্ছি বন্ধুর জন্য।এ বন্ধুর খুশির জন্য আমরা সব পারি।সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে রেলওয়ে সব জায়গায় তাদের নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করতে পারি।বন্ধুর দেশের লোকগুলো বেকার ঘুরবে এটা মেনে নেয়া যায় না।যদি আমরা বন্ধুর জন্য সব পারি তাহলে কেন এ মাসে শোক পালনের নাটক করবো??এতে যদি বন্ধু আবার রাগ করে ফেলে!!তাই আসুন এ মাসে শোক পালন না করে ১৫ তারিখে বন্ধুর স্বাধীনতা দিবসে পটকা ফুটাই।মনের খুশিতে নাচি।আর জোরে জোরে গাই বন্দে মাতারাম না হয় ভারত ভাগ্য বিধাতা(আওয়ামীদের)।
অলিম্পিকের মশাল বহন করবেন বাংলার গর্ব ড:মুহাম্মদ ইউনুস।তার এ সম্মানে ছাত্রলীগসহ আওয়ামীদের চেতনায় আঘাত লেগে গিয়েছে।তারা নাকি তার ছবিতে আগুন ও দিচ্ছে!!হায়রে জাতি।এর থেকে বেকুব জাতি মনে হয় বিশ্বে আর কোথাও নাই।
নিজের দেশটাই নিজের কাছে কেমন যেন পর পর মনে হয়।সবাই নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত।দেশটা রসাতলে যাক,নিজের পকেটে টাকা আসলেই চলে।অনেক বড় করে ফেললাম লেখাটা।শেষ টানা দরকার.................
ছোট বেলায় বন্যা নিয়ে পড়া রচনায় বন্যার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো দিকই লেখা ছিল।সেটাই আমাদের দেশে পাগল এক নেত্রী মনে করিয়ে দিল,বন্যার উপকারিতার উপর ভাষন দিয়ে।ম্যাডাম তাহলে কিন্তু ১৫ই আগস্টের ও উপকারিতা আছে।আর সেটা আমাদের ইনু চাচার থেকে ভাল আর কে জানে।১৫ই আগস্টের ঘটনাটা হলো বলেই তো তিনি আজ ক্ষমতায়।তারমানে তার জন্য ১৫ই আগস্ট উপকারি দিন।জানতে খুব ইচ্ছে করে এ দিনে তিনি কি করেন,শোক পালন করেন নাকি রুমের দরজা বন্ধ করে নৃত্য করেন??
তাকে কে ক্ষমতায় বসিয়েছেন জানেন??যে ১৫ই আগস্টে মায়া কান্নার নাটক করবে,যার চোখের পানি দেখে আপনার মনটা নরম হয়ে যাবে।আর মনে মনে শপথ নিবেন,নিজের জীবন গেলে যাবে,দেশটা রসাতলে গেলে যাবে তবু এ চোঁখের পানি বৃথা যেতে দেব না।নেত্রী তোমার ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই.......
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:২৪