আজকাল লিখতে ইচ্ছে করে না।বাকিদের লেখাগুলো লগইন না করেই পড়ি।কমেন্ট করতে ও ভয় হয়।গালাগালি শোনার ভয়ে।অনেক ব্লগারের মুখের ভাষা বা কমেন্টের ভাষা পাকিদের রাইফেলের থেকে কোন অংশে কম না।আশা করি সব ব্লগারেরা ভাল আছেন।সবাই তাদের স্বপ্ন,মনের ক্ষোভ ভাল করেই সামুতে প্রকাশ করতে পারতেছেন।যদি ও জানি অনেকের লেখাতেই মাঝে মাঝে সামুর কর্তারা ছুড়ি চালান।
দুদিন ধরে মায়ানমারদের মুসলিম হত্যার ছবি আর পোস্ট এ ফেবু ভরে যাচ্ছে।পুরো বিশ্ব নীরব।ছবি গুলো দেখার মতো কলিজা এখন ও আমার হয়নি।তাই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি পোস্টগুলো না পড়ে বা না দেখে। এটাই স্বাভাবিক কারন মুসলমানরা পৃথিবীতে সংখ্যালঘু নয় আর তাই পাইকারি হারে মুসলমান হত্যা করলে বিশ্ববাসী সহ মুসলমানদের কিছু যায় আসে না।সব মুসলিম দেশগুলোতে মানুষ হত্যা লেগেই আছে।জন্মের পর থেকেই শুনে আসতেছি।আচ্ছা,মায়ানমারে মুসলিমরা কি সংখ্যালঘু?
মায়ানমারের এক মহিলা নাকি শান্তির জন্য নোবেল পেয়েছিলেন।মন থেকে সেই মহিলাকে সম্মান জানাতে পারলাম না।না,আমি মুসলিম বলে নয়,আমি মানুষ বলে।নিজের জায়গা থেকে অনেক চেষ্টা করেছি এই হত্যা নিয়ে সেই মহিলার কোন ভাষন বা শান্তির বানী পড়ার জন্য।কিন্তু খুঁজে পেলাম না। কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের ৮০% বন্ধু হিন্দু।দেশে যখন হামলা হয়,তারা যখন কালো ছবি দিয়ে ফেবুতে প্রো পিক দেয়।তখন নিজের কাছে অনেক কষ্ট লাগে।দেশ থেকে হাজার মাইল দূরে থেকে ও বন্ধুদের খবর নিয়েছি।তাদের বলেছি,বন্ধু এটা মুসলমানদের কাজ নয়।একজন কুরআন জানা মুসলমান কোন দিন ও একটা করতে পারে না।এটা নামদারী আর ক্ষমতালোভীদের কাজ।আমরা সবাই তোদের পাশে আছি ভাল বন্ধু হয়ে।এ দেশটা আমাদের সবার।কেবল সবাইকে যার যার ধর্মের প্রতি সম্মান করাটা শিখতে হবে।কারন কারো ধর্মকে নিয়ে তামাশা করলে সেটা হিন্দু বা মুসলিম সবারই খারাপ লাগে।
মায়ানমারে ইস্যুতে বিশ্ববাসী অনেকটাই নীরব।নীরব হলুদ সাংবাদিকরা ও।কেবল সামাজিক সাইটগুলোতে আমাদের মতো কিছু মগজ ছাড়া মানুষ কিবোর্ডে হাত রাখি।কাজ শেষ আমাদের।মুসলমানরা পৃথিবীতে সংখ্যালঘু নয় আর তাই পাইকারি হারে মুসলমান হত্যা করলে বিশ্ববাসী সহ মুসলমানদের কিছু যায় আসে না।
পত্রিকায় বা টিভিতে প্রচারিত বিভিন্ন চ্যানেলের ক্রাইম রিপোর্ট এ পড়ে বা দেখে জানতে পারলাম রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশী জাতীয়তা নিয়ে নানা রকম অবৈধ কাজে জড়িত।বেশির ভাগই নানা রকম মাদক ব্যবসায় জড়িত।এটা আমার থেকে ভাল বলতে পারবেন সদ্য জামিন পাওয়া রোহিঙ্গা বদি ভাই।যেহেতু তিনি এটার সাথে অনেকটা জড়িত।তাই ধরে নিলাম তিনি ও রোহিঙ্গা।আমার মতে আসলে রোহিঙ্গাদের মগজ নাই।থাকলে তারা সব ছেড়ে অস্ত্র ব্যবসায় নামতো।তাহলে আজকের এই দিনে তাদেরকে বাংলাদেশের সীলগালা করা বর্ডারের দিকে প্রানের ভয়ে দুধের শিশুদের নিয়ে দৌড়াতে হতো না।তারা প্রতিরোধ গড়তে পাড়তো।আর না হলে বাংলাদেশের প্রিন্স মুসার মতো ধনী ব্যক্তি হতে পারতো।আসলেই তাদের এখন সময় এসেছে মাদক ছেড়ে অস্ত্র হাতে নেবার।কিন্তু ভয় সেই একজায়গাতেই।তারা যে মুসলিম, তাদের হাতে অস্ত্র আসলে তো তারা আবার সারা বিশ্বে মায়ানমারের ইসলামী জঙ্গি গোষ্ঠীর তালিকায় চলে আসবে!!!আসলে তাদের নীরবে জান দেয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই।
পরিশেষে এটাই চাই,মহান আল্লাহ আমাদের বিবেক দিবেন এবং এ রক্তের বিনিময়ে নিরীহ(মহান আল্লাহ ভাল জানেন) মানুষগুলোকে জান্নাত দান করবেন।
আর না হলে আসুন মায়ানমারের পক্ষে আওয়াজ তুলে বিশ্বের জনসংখ্যা কমাতে তাদের সাহায্য করি।