somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহাপ্রলয় :কেয়ামতের বৃহত্তম নিদর্শনসমূহ (১ম খন্ড )

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

''দাজ্জালের আবির্ভাব''

জাবের রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “দ্বীনের দুরবস্থা এবং চরম মূর্খতা-যুগে দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবে। পৃথিবীতে তার অবস্থান-মেয়াদ হবে চল্লিশ দিন। প্রথম দিনটি এক বৎসর, দ্বিতীয় দিনটি এক মাস, তৃতীয় দিনটি এক সপ্তাহ এবং অবশিষ্ট (৩৭) দিনগুলো স্বাভাবিক দিনের মত হবে। দুই কানের মাঝে চল্লিশ গজের ব্যবধান- এমন গাঁধায় সে আরোহণ করবে। মানুষের কাছে এসে বলবে- “আমি তোমাদের পালনকর্তা!” (অথচ আল্লাহ -কানা নন!) তার দুই চোখের মাঝে ك ف ر (কাফের) লেখা থাকবে। শিক্ষিত অশিক্ষিত সকল মুমিন সেটি পড়তে পারবে। মক্কা-মদীনা ছাড়া প্রতিটি শহরে-প্রান্তরে সে পৌঁছুবে। মক্কা-মদীনার প্রতিটি দরজায় সেদিন আল্লাহ পাক ফেরেশতাদের সমন্বয়ে প্রহরী নিযুক্ত করবেন।-” (মুসনাদে আহমদ)

যে সকল স্থানে দাজ্জালের আগমন ঘটবে
আনাছ রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “মক্কা-মদীনা ব্যতীত পৃথিবীর এমন কোন শহর নেই, যেখানে দাজ্জাল গিয়ে পৌঁছবে না।-” (বুখারী-মুসলিম)
অপর বর্ণনায়- “মদীনার দরজায় সবসময় ফেরেশতা নিযুক্ত থাকে। দাজ্জাল এবং মহামারী মদীনায় প্রবেশ করতে পারবে না।-” (বুখারী-মুসলিম)
নবী করীম সা. বলেন- “মদীনার উদ্দেশ্যে পূর্বদিক থেকে দাজ্জাল আসবে, এমনকি উহুদ পাহাড়ের অপর প্রান্তে সে অবস্থান নেবে।-” (বুখারী)

যে সকল হাদিসে দাজ্জাল আবির্ভাবকে কেয়ামতের বৃহত্তম নিদর্শনরূপে চিহ্নিত করা হয়েছেঃ
হুযাইফা বিন উছাইদ গিফারী রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “দশটি (বৃহৎ) নিদর্শন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত কেয়ামত সংঘটিত হবে নাঃ ধূম্র, দাজ্জাল, অদ্ভুত প্রাণী, পশ্চিম দিগন্তে প্রভাতের সূর্যোদয়...” (মুসলিম)
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “কেয়ামতের তিনটি নিদর্শন- প্রকাশের পর নতুন কারো ঈমান গ্রাহ্য হবে না, যদি না পূর্বে থেকে ঈমান এনে সৎকর্ম করে থাকে।-” (মুসলিম)

কে এই দাজ্জাল?
সে আদম সন্তানের-ই একজন। মুমিনদের পরীক্ষার জন্য আল্লাহ পাক তাকে অলৌকিক কিছু বৈশিষ্ট্য দেবেন। তার দৈহিক ও চরিত্রগত গুণাবলী বর্ণনা করে নবী করীম সা. স্বীয় উম্মতকে তার থেকে বেঁচে থাকার আদেশ করেছেন।

প্রকাশ-স্থল
আবু বকর রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “নিশ্চয় দাজ্জাল প্রাচ্যের খোরাছান এলাকা থেকে আত্মপ্রকাশ করবে। স্থূল বর্ম সদৃশ চেহারা-ধারী কিছু প্রজাতি তার অনুসারী হবে।-” (তিরমিযী, মুসনাদে আহমদ)
দাজ্জালের প্রাথমিক প্রকাশ ও প্রসিদ্ধি (আল্লাহই ভাল জানেন) শাম ও ইরাকের মধ্যবর্তী কোন স্থান থেকে হবে।
নাওয়াছ বিন ছামআন রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সা. বলেন- “সে (দাজ্জাল) শাম এবং ইরাকের মধ্যবর্তী একটি সড়ক থেকে আত্মপ্রকাশ করবে।-” (মুসলিম)

এক কথায় দাজ্জাল খাট, বিশাল দেহ, বিশাল মাথা, উভয় চোখে ত্রুটিযুক্ত, ডান চোখটি ভাসমান আঙ্গুর সদৃশ (কানা), বাম চোখে চামড়া, ঘন কুকড়ো ও অগোছালো চুল, সাদা চামড়ার দেহ, দুই নলার মধ্যবর্তী স্থানে যথেষ্ট ফাক এবং দুই চোখের মাঝে ك ف ر (কাফের) লেখা বিশিষ্ট হবে।

দাজ্জাল কিসের দাবী করবে?
মহা-দুর্ভিক্ষের কালে দাজ্জাল খাদ্যদ্রব্য নিয়ে এসে বলবে, “আমি হচ্ছি সমগ্র জগতের পালনকর্তা। হে লোকসকল! তোমরা আমার প্রতি ঈমান আন! আমি তোমাদের খাদ্য দেব, পানীয় দেব, সম্পদ দেব, যা চাও- সব দেব”। নবী করীম সা. বলেছেন- “স্মরণ রেখো! দাজ্জাল কিন্তু একচোখে কানা হবে। আর তোমাদের প্রকৃত পালনকর্তা কানা নন!!” (বুখারী)

সামনে আরো বিস্তারিত বিবরণ আসছে ইনশাল্লাহ..।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৪৮
৭টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×