চুমকির চারুতা থাকে স্নানের আগে
বহতা আবেগ
জলের তোড়েই ভেসে যায়
ভেসে যায় তার সাথে
জলের নিষাদ
হিমায়িত উষ্ণতা পড়ে থাকে
পড়ে থাকে
তারাবাজির লালতপ্ত তার
বালকের হাত জুড়ে ছাই
ফুৎকারে নিভে গেছে
পরমা প্রদীপ
আমি শুধু জ্যোৎস্না জাগাই
পানকৌড়ির পথ ভুলে যাওয়া
জলদাগ ধরে ধরে
পুনর্বার রাতের ভেতর -
ভেসে গেছে ডুব সাঁতার
রাত্রিরঙিন অন্ধকার।
আশ্রয়বর্জিত শিমুলের
বেখেয়াল আর তার দীর্ঘশ্বাস
মুক্তি নিলো না
টেনে নিলো রাতরুদ্ধ গুহার বাতাস
উচ্ছন্নের জ্বেলে দেয়া
আগুন-ধোঁয়ায় দিশাহীন মধুপের
ফিলহাল পুড়ে গেছে হাওয়ার পেখম
সূর্যমুখর দিনে - মুক্তছন্দ কবিতার
বেনোজলে কৃষ্ণতিথির আগমন
লতা গুল্মের দুষমনি -
দোল দোল দোলনাও থেমে গেছে ;
স্মৃতিলেখা সমুদ্র
মৎস্যকন্যার দিল্লাগি
- চিনি, সব চিনি
নক্ষত্রমুদ্রিতা,
বুঝে নিতে এক একটা ভ্রুক্ষেপ
জ্বালিয়েছি চোখের পাতার মশাল
হাতসাফাই করে তুলে নিয়েছি
রাত্রির পোখরাজ
তারাবাজি খেলতে গিয়ে
অনভ্যস্ত হাত পুড়িয়ে ফেলেছি মীরাবাঈ,
তুই তোর
আঁখিপল্লবের তৃণে – সবুজপ্রভা,
চতুরখেয়াল
মোহিনীবিদ্যে জানা
লুকায়িত লজ্জিতা ভোর,
পদ্যমাখা বঁধুয়ার চাতুরী অথবা
গদ্য দুপুর
না কোনো ভোরের শব্দে নামা
ছু্টির বৃষ্টি -
মনমানা মুনিয়ার সুর !
প্রকৃত অর্থ বুঝে নিতে
তানতোলা বাতাস এখনও -
ঘূর্ণির নিগ্রহ বোঝে নাই;
জোনাকজ্বলা আলোর প্রতিসরণ
বিলিকাটা হাওয়ার রোমাঞ্চ
ঘনিষ্ঠতার ধারাস্নান
এই আত্মগোপন
পক্ষপাতের ধারাপাত
এইসব কানাকড়ির মূল্য
স্থির দোলনায় ঝুলে থাক –
পুড়ে যাক
পিরামিড বুকের জোনাক।