রুমানা মঞ্জুরের নির্যাতক স্বামী হাসান সাইদের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (পিজি) হিমঘরে রাখা হয়েছে।
সোমবার রাতে সাইদের ছোট ভাই ফারুক সাইদ বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় সাইদের লাশ পিজি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।
আগামী বুধবার সাইদের বড় বোন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার পর লাশ দাফন করা হবে বলে জানান ফারুক।
তিনি বলেন, তবে কোথায় তাকে দাফন করা হবে তা এখনও ঠিক করা হয়নি।
এর আগে বিকেল তিনটার দিকে ঢামেক হাসপাতালের ফরনেসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. আখম শফিউজ্জামান লাশের ময়নাতদন্ত করেন।
ময়নাতদন্ত শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। নিশ্চিত হওয়ার জন্য রাসায়নকি পরীক্ষা করতে ভিসেরা মহাখালীতে পাঠানো হয়েছে। আর হার্ট পরীক্ষা করা হবে হিস্টোপ্যাথলজি বিভাগে।’
সোমবার ভোরে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলের বাথরুম থেকে সাইদের মৃতদেহ উদ্ধার করে কারারক্ষীরা।
এ সময় সাইদের দু’হাতে রশির দাগ পাওয়া যায়।
সাইদের মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউ। তবে কারা কর্তৃপক্ষ সাইদের মৃত্যুকে স্বাভাবিক বললেও সাইদের পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
উল্লখ্যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুমানা মনজুরকে নির্যাতনের ঘটনায় তার স্বামী হাসান সাইদকে গত ১৫ জুন রাজধানীর উত্তর মুগদার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়ন্দো পুলিশ।
এর আগে গত ৫ জুন ধানমণ্ডির বাসায় স্বামী হাসান সাইদের নির্যাতনের শিকার হন আর্ন্তজাতিক সর্ম্পক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা। সাইদের অমানুষিক নির্যাতনে রুমানা তার দৃষ্টিশক্তি হারান।
ঘটনার পরদিন রুমানার বাবা মঞ্জুর হোসেন ধানমণ্ডি থানায় হাসান সাইদকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
সূত্র:কপি-পেস্ট ফ্রম
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৯