somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বন্ধু তুই

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বন্ধু কি লিখবো তোকে। গত রাতে তোর সব কথা শুনে মনে হয়েছে পৃথিবীতে অসংখ্য বন্ধুর চেয়ে তোর মতো একজন নিঃস্বার্থ বন্ধুই যথেষ্ট। মাহি তুই এত ভালো কেনরে? তোর এমন নিঃস্বার্থ ভালোবাসার মূল্যায়ন তুই কি এ জগতে পাবি। আগে নিজেকে অসহায় ভাবতাম, ভাবতাম আমার দুখের, আমার অসহায়ত্বের দিনে এমন কোন মানুষ নেই যে আমাকে সান্ত¡না দেবে, কিন্তু তোর কথা শূনে আনন্দে আমার দুচোখে জল এসেছিল। মাহি, তুই বলেছিলি তোর সুখের দিনে আমাকে পাশে রাখবি। বন্ধু সেদিন হয়তো বেশি দূরে নয়, আমার সহস্র বছরের কামনা যে তুই একদিন বড় হবি অনেক প্রাচুর্য্য থাকবে তোর। তবে বিধাতা যেন কখনো তোর ওই সরল মনটাকে পরিবর্তন না করে সত্যবাদীতে সহমর্মিতা ও ধৈর্যের বৌদলতে আজীবন যেন সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারিস। এতটুকুর জন্য যেন তোর মনে ক্রোধের জন্ম না হয়। তোর সুখের যেদিন আমাকে তোর পাশে রাখতে চেয়েছিস বন্ধু, বিশ্বাস কর কত বড় ভালোবাসায় যে এ শূন্য বুকটা ভরিয়ে দিয়েছিস তা তোকে বোঝাতে পারবো না। মাহি আমি হতে পারি দরিদ্র আর আমার অসাহয়ত্ব থাকতেই পারে; কিন্তু আমার দরিদ্রতাকে পুঁজি করে মানুষকে ব্যবহার করবো এমন লোভী আমি নই বন্ধু, এমন স্বার্থপর আমি নই। তুই তো বলেছিস সুখের কথা, শুধু সুখের কথাই কেন বললি বন্ধু, তোর দুঃখের দিনে কি আমার মতো নগণ্য বন্ধুর কোনোই প্রয়োজন নেই। বল উত্তর দে? তুই বলেছিলি বিশ্বাসের কথা যে আমি তোকে প্রাচুর্য্য দেব, বিনিময়ে তুই শুধু আমাকে বিশ্বাসটুকু দিবি; কিন্তু বন্ধু তোর ওই সরল বিশ্বাসের ঘরে যদি অবিশ্বাসের জন্ম হয় তখন কি করবি বল?। অবশেষে অনুতাপ অনুশোচনা ...
পৃথিবীতে এমন নিঃস্বার্থভাবে পথ চলতে নেই বন্ধু? তোর অসুস্থতার কথা শুনে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি যেন তোর বিপদ কেটে যায়। বন্ধু আমি বড়লোকের সন্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে অপারগ এই কারণে যে, আমার উপস্থিতিতে কেউ বিব্রতকর অবস্থায় পড়–ক আমি তা চাই না। তাই তো সবার চেয়ে আমার এ একাকী আত্মগোপন তারপরও সবার এবং সবকিছুর ঊর্ধ্বে আমি তোকে ভালোবাসি এবং বিশ্বাস করি। বিনিময়ে প্রত্যাশীশূন্য, কারণ প্রতিদানের অপেক্ষায় থাকে বোকারা, স্বার্থপরের দল। আমি তোকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসি যেখানে প্রতিদান শব্দের অস্তিত্ব নেই। মাহি বন্ধু আমার, তোকে আমি বিশ্বাস করি বলেই আমার কষ্টের কথাগুলো অকপটে বললাম। তোকে যদি ভালোই না বাসতাম তাহলে কখনো এসব জানাতাম না বা বলতাম না। মাহি একদিন এমন হবে, যেদিন হাজার মানুষের ভালোবাসা তোকে ঘিরে থাকবে অথচ আমি নগণ্য সেদিন তোকে একটু দেখতেও পাবো না। তোর কি মনে থাকবে সেদিন আমার কথা। তোকে দেখতে পাই বা না পাই তাতে তোর প্রতি বিন্দুমাত্র অভিমান থাকবে না আমার। আমি তোকে স্মৃতির মাঝে খুঁজবো সকাল-সন্ধ্যায়। তোর স্মৃতিটুকু কখনো এখন থেকে হারিয়ে যাবে না বন্ধু। আমি বড়লোকের ছেলেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাই না। বলেই তাদের থেকে গুটিয়ে রাখি এ
আমার অহংকার নয় বন্ধু, এ আমার ব্যর্থতা গোপন রাখার পন্থা। ধর, বড়লোকের সন্তানের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হলো অথচ তার সামাজিকতায় আমি চলতে পারলাম না। ওই বন্ধু আমাকে অবহেলা করতে শুরু করলো এ কষ্ট কি সহ্য করার মতো হবে তুই বল? তারচেয়ে কি এই ভালো নয়, কারো বন্ধুত্বে নিজেকে নতুন করে না জড়ানো। কারণ আমাদের মতো মানুষের ভালোবাসা বিলাসিতা এসবের কোনো অধিকার নেই। তুই আমাকে বারবার আপন করে কাছে টেনেছিস, বলিস যে আমি তোর আপন; কিন্তু বন্ধু কি এমন বিশ্বাসের জন্ম তোর মনে দিলাম, আমাকে তুই এতবড় সম্মানের আসনে বসালি। তোর সরল ভালোবাসার মূল্য কি আমি কোনোদিন দিতে পারবো। জানি পারবো না। যদি সেটাই হয় তাহলে তোর ভালোবাসায় বন্ধুত্বে জড়ানোর কোনো অধিকার আমার নেই। বন্ধু এই রাতটি শুধু তোর জন্য। আমি তোকে লিখছি ভাবছি এভাবে ভাবতে ভাবতে ক্লান্তি এসে ভিড় করবে অবসাদময় এ দেহে। তবুও তোকে নিয়ে আমার ভাবনা শেষ হবে না। তোকে লিখছি আর বুকের পাশ থেকে যে কান্নার সুর বাজছে, তা তোকে বলতে পারবো না। শুধু আমি এটুকু জানি, আমার বন্ধু আমার অসহায়ত্বকে নয় ভালোবাসুক একান্ত আমাকে। যেখানে আমার সব ব্যর্থতা একান্তই আমার। আর আমার ক্ষুদ্র মনের ভালোবাসা শুধু তোর জন্য জমা। ভালোবাসার অজস্রতায় কাটুক তোর সহস্র বছর। ভালো থাকিস, নিরন্তর ...।


সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪০
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×