somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অন্তঃসত্তা জেনি এবং আমরা অবাক মানুষেরা!

৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :














মাঝে মাঝে ভাবি, জীবন নিয়ে কিছু লিখি। একেবারে কাছের মানুষের হারিয়ে যাওয়া বা প্রেম, শরীর ও সময়ের সংঘাত নিয়ে কিছু। বোধ ও মন এক সাথে কাজ করে। মাথার ভেতর নানা থিম ঘোরপাক খায়, থিম খুজে বের করি। লেখার জন্য ব্লগ খুলি।

কিন্তু চলমান সময় এবং দেশ বার বার ভাবায়, গুলিয়ে দেয় থিম দের। প্রতারিত এই আমরা যারা জনগন, তাদের পক্ষ হয়ে দাড়াই। কিন্তু হয়না। মনে যে সার্থপরের বসবাস সে ভাব উদয় করে, "আমার কিসের এত ঠ্যাকা", ঠ্যাকা হীন এই আমি এক সময় ভাবি - পালিয়ে গেলে হয় না। দেশ ছেড়ে। যে আমি এক সময় সাম্রাজ্যবাদের গুষ্টি কিলিয়েছি বা মুষ্ঠি মেরেছি দেশ ত্যাগিদের মুখে। সেই আমি আর দেশে থাকতে চাইনা। ভাবনার আড়ালে হারিয়ে যায় দেশপ্রেম। চরম বাস্তবতার মধ্যবিত্ব সংসার বা জীবনের এক মায়াময় বন্ধন আমাকে তাড়া করে বলে "চলো পালিয়ে যাই"। নচিকেতার একটা গান মাথার ভেতরে গুন গুন করে" চলে যাবো তোকে নিয়ে, এই নরকে অনেক দুরে, এই মিথ্যে কথার মেকি শহরের সীমানা ছাড়িয়ে।" কিন্তু হায় কোথায় এলাম আমি! বড় চাচার আমেরিকায় বাড়ী গাড়ী এবং কিন্চিত প্রতিপত্যির প্রভাবে প্রেমময় বাংলার-শ্যামল প্রকৃতি আর নির্মল সাধারন মানুষ গুলো কে ছেড়ে পালিয়ে এসে আমি তো এক বড় "সঙ্খ নীল" নয়, "সঙ্খের কংকৃটের জংগলে" ফেসে গেলাম। স্বপ্নের দেশ আমেরিকা! মনের ভেতর কত পুলক নিয়ে প্লেনে উঠে ছিলাম। ছিম ছাম দেশ, ২১ ইন্চি টিভির মনিটরের মধ্যে দেখা দেশটা যখন চোখের সামনে বাস্তব হয়ে গেলো তখন আমার কল্পনার বাইরের ঘটনা ও ধিরে ধিরে প্রকাশ পেতে থাকলো চোখের সামনে সিনেমার মতন। সাভারের রানা প্লাজায় উধ্বারে আমি যে মমতা দেখেছি, সাধারনের মানুষের মাঝে। যে পরম মমতায় আমি হাত বুলাতে পেরেছি এনামের বিছানায় শুয়ে থাকা আহাতদের মাথায়, সেই মমতা আমি মিস করছি এই ভিন দেশে। চরম অবহেলীত আমাদের মতন তৃতীয় বিশ্বের মানুষ গুলো এই আমেরীকায়। তবুও থাকা এই দেশে, পরে থাকার মতন। পালিয়ে এসেছি তো মায়ের কোল ছেড়ে, অনেক বড় কথা বলেছি- হ্যান করে গা বা ত্যান। কিছুই করার হয়নি, বলতে গেলে। আমাদের যা করতে হয় এখানে, সেটা দেশের ম্যাথররাও করেনা। যে আমরা এক সময় বিশ্ববিদ্যালয় কাপিয়েছি, মধুর ক্যান্টিনে অম্ল মধুর বক্তৃতা শুনেছি বা দিয়েছিও, দেয়ালে লাল কালিতে লিখেছি "সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক " সেই আমি এখন দেশথেকে নিপাত হয়ে সাম্রাজ্যবাদীদের গোলাম। এখন বলতে হয় "আহারে সেলুকাস!"। যাহোক গল্প বলা শুরু হোক।

আমেরিকার বিমান বন্দরে নেমে নিজেকে আমার কিছুটা একলা লাগে। মনের ভেতর পুলক যুক্ত অসহায়ত্ব বা একটা এতিম এতিম ভাব। মাথার ভেতর ভোতা দেশ প্রেম এবং একলা আমির জীবন আরম্ভের এক ধরনের কাপা, কাপা অনুভুতি। আজীবন পাশ্চাত্য সভ্যতাকে নাকসিটকে ভাগ্যের নির্মমতায় যখন আমেরিকার মাটিতে পা রাখলাম তখনই নিজেই নিজের কাছে কুকরে গেলাম, অনেক খানি।

এয়ার পোর্টের মুখে দ্বড়িয়ে আছে টেলুক। পেশায় ডাক্তার, আমার চাচাতো ভাই পুরো নাম "এনামুল কবির তালুকদার" এখানকার সাদা চামড়ারা ওর তালুকদারকে ছোট করে টেলুক বানিয়েদিয়েছে। আবার ছোট বেলার বন্ধু ও এক পুকুরে সাতার কাটতাম আমরা। একবার মনে আছে অংক স্যারের মেয়ের প্রেমে পরেছিলাম দুজনে এক সাথেই। পরে অবশ্য সেই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছিলো টেলুকের বড় ভাইয়ের সাথে।

টেলুক মাঝে মাঝে ফেইসবুকে উকি-ঝুকি দিতো। এখান কার সাহেব মেম দের পাশে দাড়িয়ে ছবি তুলে আপলোড দিতো ও। আমিও টুক টাক লাইক দিতাম। যাহোক পুরানো সম্পর্কটা ঘনিভুতো হলো এখানে আসার পর। প্রথম আমি যখন ওর কাধে হাত দিয়ে হাটছিলাম রাস্তা দিয়ে সবাই কেমন যেনো আড় চোখে তাকাচ্ছিলো ও কেমন যেনো উসখুশ করছিলো। কিন্তু হায় মাথা মোটা, এই আমার। মাথাই আসছিলোনা, শ্যামল বাংলায় দুই ভাই বা বন্ধু এক খাটে গলা-গলি ধরে শুয়ে থাকলেও কেউ কিছু মনে করবেনা। কিন্তু এখানে তো পুরুষই নাকি পুরুষের বীপরিত লিঙ্গ আবার মেয়েরা নাকি মেয়েদের। এখানে নাকি পুরুষে পুরুষে বিয়ে হয়। ভিষন ডেপো আমি টেলুক কে বলেছিলাম- "কিরে করবি নাকি আমাকে বিয়ে? আমি লাল শাড়ী পরে বধু সাজে বসে থাকবো, আর তুই ঘোমটা উঠাবি।" ও শুনে বেদম হাসলো, হাসতে-হাসতে বলল বহুদিন পরে প্রান খুলে হাসলাম। এই দেখ চোখে পানি এসে গেলো। কতদিন এই জংগলে হাসা হয় না প্রান খুলে। তুই বদলাস নি এখনো । তবে বদলে যাবি, আরো কিছু দেখলেই বদলে যাবি। আমি সেই আরো কিছু দেখার অপেক্ষায় রইলাম, আমিতো বদলাতেই এসেছি।

একটা চাকুরি জুটে গেলো আমার, টেলুকের ক্লিনিকে। কিসের সেটা আর না বলি। ইজ্জত বলেওতো একটা শব্দ আছে, নাকি? যাহোক এবার একটা মোবাইল কিনতে হবে, দেশ হাহ্ দেশইতো সেখানেও তো যোগা যোগ করা লাগবে আর তা ছাড়া অফিসেও যোগা যোগের একটা নাম্বার দেয়া লাগবে। টেলুক কিনে দিলো মোবাইলটা। নতুন একটা সিম হলো আমার, আমেরিকান নাম্বার হোল্ডার হয়ে নিজেকে গর্ব বোধকরার চেয়ে কেমন যেনো এতিম এতিম লাগছিলো। দেশের ০১৭ অথবা ০১৯ কে খুব মিস করছিলাম। কিন্তু কে জানতো এই নতুন নাম্বার আমাকে নতুন এক বাস্তবের সামনে দ্বাড় করি দেবে!

উইক এন্ডে একটু ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ গুলির শব্দ, যুদ্ব লেগে গেলো নাকি! ধরমর করে উঠে বসেছি, দেখি আমার মোবাইলে একটা টেক্স এসেছে টেলুকটার কাজ। গুলির শব্দ সেট করে রেখেছে আমার মোবাইলের ম্যাসেজ টোন। মনে মনে ওকে একটা গলি দিয়ে ম্যাসেজটা পড়ি। যার বাংলা করলে দ্বাড়া। "আমরা অতি আনন্দের সাথে যানাচ্ছি যে, আমারা আমাদের ছোট মেয়ে 'জেনি' এবং শহরের আর এক অভিজাত পরিবারের পালিত পুত্র 'জেমসের' বিয়ে অনুষ্ঠানে আপনাকে আম্ত্রন জানাতে পেরে আনন্দিত। পরবর্তিতে আপনার সাথে যোগা যোগ করা হবে।" আমি চাচার বাসায়ই থাকি, ও এসে বললো কিরে কি পরিস এত মনোযোগ নিয়ে? আমি ম্যাসেজ টা দেখাই। ও বলে খাইসে তোর কপাল আছে, শহরের সবচেয়ে বড় ধনকুবের মেয়ের বিয়েতে দাওয়াত পেছিস। আমি বলি আরে যা ফাজলামি করিস না। আমি তাদের চিনিনা জানিনা তারা কেনো আমাকে দাওয়াত দিবে?!

আরে দিবে কিরে দিয়ে ফেলেছে। বাবা এই বিয়েতে যেতে পারবেনা, অথচ তুই কোথাকার কে? সালা দাও মেরেছিস। এদের দাওয়াত পাওয়া মানে ভাগ্য খুলে যাওয়া। আমি বলি কিভাবে? ও মৃদু হেসে বলে টের পাবি।

একদিন অফিসে ভীষন ব্যাস্ত মোবাইলটা বেজে উঠল। কল রিসিভ করলাম ও পাস থেক যথারীতি ম্যারেজ এরেন্জ কম্পানীর পক্ষ থেকে তাদের পরিচয় দিয়ে আমাকে জানালো, শহরের বড় ধনকুবের এর মেয়ের বিয়েতে আমাকে হাজির থাকতে হবে। যাওয়া আসার সকল ব্যাবস্হা তারা করবে। ড্রেস কোডও বলে দেয়া হলো। আমি যে তারিখে আমার মোবাইল সিমটা কিনেছি, সেই তারিখটা নাকি তাদের মেয়ের জন্ম দিন। তাই সেই দিন যারা যারা মোবাইল সিম কিনেছে তাদের মধ্য থেকে একশ জনকে লটারীর মাধ্যমে বেছে বের করা হয়েছে। এর মধ্যে আমার মতন হতভাগার নামও আছে। তারা চায় আমি যেনো তাদের মেয়ের বিয়েতে হাজির হই।

টেলুককে বললাম- কি করি এখন বলতো, হাতে টাকা পয়সা নেই, ড্রেস কোড ধরিয়ে দিলো। কালো স্যুট, লাল টাই, কালো জুতা। মহাফ্যাসদে পরা গেলো। এদিকে তুই যেভাবে প্রমোট করছিস ব্যাপারটা, তাতে তো মনে হয় নাগেলে জীবনে অনেক বড় মিস হয়ে যাবে। টেলুক বলল চিন্তা করিস না আমার সুট প্যান্ট সবই আছে কেবল তোর একটু ঢোলা হবে, এই যা। তুই এক জোড়া জুতা কেন। ওর কথায় উৎসাহ বেড়ে গেলো। অতি আগ্রহে জুতা কিনলাম। মনের ভেতর খুত-খুত করতে লাগলো আবার ফ্রড নাতো! দেশে থাকতে একবার আমার ফোনে "জ্বিনের বাদশা" ফোন করেছিলো।

অবশেষে চলে এলো বিয়ের দিন। চাচার বাসার সামনে লিমুজিন দ্বাড়িয়ে আছে। এই গাড়ি আমাকে নিতে এসেছে। এরা সাথে করে আমার জন্য সুট, টাই, জুতা, সবই নিয়ে এসেছে। সব ফিট হয়েছে। মনজুর হেসে বললো বলেছিলাম না এসব বিয়েতে যাওয়া কপালের ব্যাপার। দেখ সবচেয়ে দামি ব্রান্ডের কাপড়-জুতা দিয়েছে। ডেভিড ব্যাকহ্যাম এই সব জামা কাপর পরে। আমি বললাম- একবার ভাব এত বড়লোক মানুষের মেয়ে, না জানি কত সুন্দর হবে?!

বিয়ে বাড়ীর বর্ননা এক কথায় দিয়ে ফেলি "এলাহী কারবার"।

বিয়ের মঞ্চ করা হয়েছে, লেকের পারে। লাল কার্পেটে মুড়ে দেয়া হয়েছে পুরোটা যায়গা। যাহোক এবার কয়েকটা গুন্জনের কথা বলি। আমার মতন আরো একজন ভাগ্যবান হচ্ছেন ওপার বংলার। মানে কোলকাতার এক দাদা, স্হুলো কায় দেহো আমাকে দেখে জানতে চাইলেন বাঙ্গালী কি না? আমি মাথা নাড়তেই উনি বললেন আমি এস গাংগুলী। জানেন যে মেয়েকে নিয়ে এত ঢং করছে এরা। সেই মেয়ে ২ মাসের অনঃ সত্বা। পেটে ৩ টা বাচ্চা দেরি করলে পেট বড় হয়ে যাবে ভেবে সালারা তারা হুড়ো করে বিয়ে দিচ্ছে। আমি বলি আপনি এসব জানলেন কোথা থেকে। আরে জানবনা মানে এরা পোষাকের ডিজাইন কারার দায়িত্ব দিয়েছিলো আমার এক পরিচিত ডিজাইনারের উপর। সালার মেয়ের কি ভাব! ও ডিজাইনে যে কাপর দিয়েছিলো তাতে নাকি মেয়ের এলার্জি হয়েছিলো, পা-টা চুলকে একাকার। ওকে ডিস-মিস করে দিয়ে সালারা ওর্ল্ডের নাম্বার ওয়ান ডিজাইনারের কাছ থেকে ডিজাইন করিয়েছে পোশাক।

সালার মেয়ে যে পেট বাধিয়েছে, তা কি এই ছেলের কি না, কে জানে? কোথাকার কোন অনাথ ছেলেকে ধরে এনে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। সবার সামনে মদের বোতল আর গ্লাস নিয়ে ঘুরছে বেয়ারা। গাংগুলী আকন্ঠ মদ গিলছে আর বলছে ও দাদা চেখে নিন, একেবারে খাসা মাল। আমি মুসলমানের ছেলে মদ ছোয়া হারাম ভাই। আমি গ্লাস ভরে সফট ড্রিংকস নেই। এমন সময় বর কনে এগিয়ে যাচ্ছিলো বিয়ের স্টেইজের দিকে। কনের চেহারা দেখে আমার চক্ষু চড়ক গাছ আর গাংগুলী সাহেব সবে একটা চুমুকদিয়েছিলেন মদের গ্লাসে সেটা ফুচ করে বের করে দিলো মুখ থেকে। এমা সালা আমার ডিজেইনাোর দোসত সালা আসলেই ফ্রড। এই মেয়ের কথা আমাকে সালা বলেই নি। মেয়ে নাকি কি রুপবতি। উনি মাতাল হয়ে গেছেন, টের পাচ্ছি। উনি বললেন আমাকে ১০০ কোটি টকা দিলেও একে বিয়ে করবোনা। আমি আলতো করে বলি আমিও না। এ রকম একটা মেয়ের জন্য এত টাকা খরচ?!

যা হোক বিয়ের কাজ আরম্ভ হয়ে গেছে। ফাদার ধর্মের রীতি অনুজায়ী মন্ত্র পড়া শেষে ছেলেকে জিগ্যেস করলো জেমস কি এই বিয়েতে হা বলছো, তুমি কি জেনীকে আনন্দে রাখবে? পুরা জায়গাটা নিরব সবাই জেমসের মুখের কথা টা শুনতে চায়। জেমস তখন "খেউ" করে একটা শব্দ করলো। জেনীও ঠিক একি রকম আওয়াজ তুলে চার পায়ে ভর দিয়ে বিয়ের মঞ্চ ছেড়ে বেড়িয়ে আসে। জেমস তাদের সম গোত্রিয় দের সাথে খেলা করতে লাগলো, জেনি ততটা দৌড়োতে পারলো না। তার পেট সত্যিই ভাড়ি ভাড়ি লাগছে।

শেষ কথাঃ কারো বুঝতে বাকি নেই বিয়েটা কিসের, তবুও বলি, এটা ছিলো অভিজাত এক পরিবারের কুকুরের বিয়ে। আগেই বলেছিলাম টেলুক আমাকে বার বার বলেছিলো আমার কপাল খুলে যাবে। খুলেও গেলো, এরা আমার সকল বায়ডাটা আগেই নিয়েছিলো। টেলুকের হাসপাতালে আমি যে পশুর বিষ্ঠা পরিস্কার করি, এটা এরা আগেই জানতো। এবং সেই কাজে আমি নিষ্ঠার সাথে করছি এতে তারা খুশি হয়ে আমার চাকরি দিয়েদিলো, মোটা টাকায়। এদের কুত্তার বাচ্চার গু পরিষ্কারের। ও ভালো কথা টেলুক ছিলো পশুর ডাক্তার। আর একটা কথা নিজেকে আজকাল কেমন যেন কুকুরের মনে হয়। নিজ দেশ ছেড়ে মনে হয় কুকুরের চেয় খারাপ গোত্রর প্রানী মতন কাজ হয়ে গেছে। ক্ষমা করো বাংলাদেশ, প্রিয় মাতৃভুমি আমার। ক্ষমা করো বাড়ীর পাশের ছোট্ট নদী, যার নাম "সন্ধ্যা"।

মুখ বন্ধঃ এই গল্পের প্রায় প্রত্যেকটা চরিত্র কাল্পনিক কেবল কুকুরের চরিত্র গুলো ছাড়া। তবে কাহিনী সত্য। ন্যশনাল জিওগ্রাফির "ট্যাবু" দেখে থাকলে এই গল্পের কাছা কাছি একটা ঘটনা অনেকের দেখে থাকার কথা। আমেরিকা ফেরোত এক বন্ধুর জীবনি থেকে নিয়ে লেখা। গল্পটা লেখার পর ছোট বেলার বহুবার উচ্চারন করা একটা ছড়া মনে পরে গেলো। "রোদ হচ্ছে বৃষ্টি হচ্ছে শৃগালের বিয়ে হচ্ছে"। বড় হয়ে ভাবতাম আরে যাহ্ পশুর আবার বিয়ে কিসের?! হেসেছি তখন, যে আমেরিকনারা নিজেরা বিয়ে করতে চায়ানা। লিভ-টুগেদার, সমকামিতা, বহুগামিতা দিয়ে যারা কাম বাসনা মিটায় তারা বিয়েদেয় পশুর। আর কিভাবে উপহাস করবে এই আদিম বোধের সভ্য ভেক ধারীরা, মানব সভ্যতাকে কে জানে?

অনেক দিন পর লিখেছি, সত্যিই অনেক দিন পর। অনেকে হয়তো ভুলেই গেছে আমার কথা। হয়না, এখন আর লেখা, তেমন একটা। মন খারাপ থাকে। হতাস হই কাকে নিয়ে লিখবো, কেনো লিখবো? ভালো থাকবেন সাবাই। বেচে থাকবেন সবাই।


ফেইস বুকে আমার পেইজ দেখতে চাইলে নিচের লিংকে যানঃ

View this link

আমার রিসেন্ট একটি লেখাঃ
একজন মৌসুমি এবং একটি ব্রেকিং নিউজ বা আমরা পথ হারা মানুষেরা।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৪৩
২৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×