somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিচ্ছে এইচএসবিসি!

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক ব্যাংক হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি)। গত বছর জুলাইয়ে ব্যাংকটির বিরুদ্ধে অর্থের অবৈধ লেনদেন ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগ ওঠে। বড় অংকের জরিমানা দিয়ে শেষ রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করে এইচএসবিসি। তবে এ ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশে এর কার্যক্রম অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়ায় সংকটে পড়ে যায় ব্যাংকটি।

অনেক গ্রাহকই আতঙ্কে তাদের হিসাব বন্ধ করে দিচ্ছেন। অবশেষে হোচট খেয়ে বাংলাদেশে এর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার পায়তারা করছে এইচএসবিসি। ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া অনেক দূর চুড়ান্ত করেছে আন্তজার্তিক এ ব্যাংকটি।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

অপর একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বাংলাদেশে এইচএসবিসি রিটেইল ব্যাংকিং কার্যক্রম আরেকটি বিদেশি ব্যাংক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এর কাছে বিক্রি করে দেওয়ার ব্যাপারেও আলোচনা চলছে।

তবে জানতে চাইলে ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, এটি নিছক গুজব। এমন কোন সিদ্ধান্ত আপাতত নেই এইচএসবিসির।
সূত্র মতে, গত বছরের ১৭ জুলাই সন্ত্রাসে অর্থায়নের অপরাধের সঙ্গে বাংলাদেশের দুটি ব্যাংকের সাথে এইচএসবিসির সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে যুক্তরাষ্ট্রে।

জানা গেছে, বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে প্রথম শাখা খোলে এইচএসবিসি। সর্বশেষ তথ্য মতে, এখন বাংলাদেশে মোট ১৩ টি শাখা রয়েছে। এছাড়া প্রায় অর্ধশত বুথ রয়েছে। এর বাইরে বেশ কিছু গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ কেন্দ্র এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকাগুলোতে সেবা কার্যক্রম চালাচ্ছে বিদেশি এই ব্যাংক।

এইচএসবিসির অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র দাবি করেছে, সংকটের কারণে তারা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে তাদের বাজার নিয়ে খুব বেশি আশাবাদী হতে পারছে না। তবে এখান থেকে গুটিয়ে নিয়ে ব্যাংকটি ভিন্নরকম অজুহাত সামনে নিয়ে আসছে। তারা বলতে চাইছে, আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত সঙ্কটে পড়বে। এ নিয়ে তারা একটি গবেষণা করেছে। এসব বিবেচনা করে তারা মূলতঃ এদেশ থেকে চলে যেতে চাইছে।

অন্যদিকে ব্যাংকটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, মূলত সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগের পরই তারা সঙ্কটে পড়ে যায়। এবং ঘটনার প্রায় ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও সঙ্কট থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি। গ্রাহকরা ধীরে ধীরে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় ভালো ব্যবসাও করতে পারছে না। এর ফলে ব্যবসা বন্ধ না করে প্রতিষ্ঠানটির সামনে আর কোন বিকল্প থাকছে না।

সূত্র মতে, এই ব্যাংকের দুর্বল নিয়ন্ত্রণ-ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের দুটি ব্যাংক মেক্সিকোর মাদক ব্যবসার অবৈধ অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থবাজারে ঢুকিয়ে দেওয়ার সুযোগ পায়। ঘটনা অনুসন্ধানে গঠিত মার্কিন সিনেটের একটি উপকমিটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে এমন একটি প্রতিবেদন দেয়। এরপর শুনানি শেষে এর সত্যতা নিশ্চিত হয়। যার পথ ধরে সড়ে দাড়ান এর তৎকালীন প্রধান নির্বাহী। মানিলন্ডারিং বিরোধী আইন পালনে শৈথিল্য দেখানোর অভিযোগে ইউরোপের বৃহত্তম ব্যাংক এইচএসবিসিকে ২ কোটি ৭৫ লাখ ডলার জরিমানা করে মেক্সিকো।

অন্যদিকে, অর্থ পাচারের আরেকটি অভিযোগে বিট্রিশ এইচএসবিসি ব্যাংক পিএলসি ১৮০ কোটি ডলার জরিমানা করে যুক্তরাষ্ট্র।

সিনেটের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের আল রাজি ব্যাংক, বাংলাদেশের দুটি শরীয়াহভিত্তিক ব্যাংকের মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন পরিচালনার পথ করে দিয়েছে এইচএসবিসি। এইচএসবিসির যুক্তরাষ্ট্র শাখা (এইচবিইউএস) এ ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এইচএসবিসির ২৪টি শাখায় বাংলাদেশের একটি ব্যাংকের হিসাব আছে। ২০০০ সালে ওই ব্যাংকটির জন্য এই হিসাব খোলার অনুমতি চাওয়ার পরপরই অর্থের অবৈধ ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশ্ন ওঠে।

সূত্র জানায়, এনিয়ে মার্কিন সিনেটে ব্যাপক নিন্দা শুরুর পর ২৬ জুলাই মেক্সিকো ব্যাংকির বিরুদ্ধে জরিমানা করে।

বাংলাদেশের অনেক আমদানি-রফতানিকারক সরাসরি বহুজাতিক এ ব্যাংকটির সঙ্গে জড়িত।

বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, ২০ মার্চ, ২০১৩।
এসএআর/এমএমকে

এখানে দেখুন
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা সকলের দায়িত্ব।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৮



এগুলো আমার একান্ত মতামত। এই ব্লগ কাউকে ছোট করার জন্য লেখি নাই। শুধু আমার মনে জমে থাকা দুঃখ প্রকাশ করলাম। এতে আপনারা কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি দায়ী না। এখনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেতনার সময় জামায়াত বদ্ধ ইসলামী আন্দোলন ফরজ নয়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৮



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×