আমার দেশের মানুষের ইসলামের প্রতি ভালাবাসা দেখে মনের অজান্তেই কেমন জানি খুশি খুশি ভাব এসে যায়,তবে এটাও সত্য যে আমাদের দেশের মানুষের ভালবাসা অনেকটা মুষরেকদের মত ।মুষরেকরা যেটার মধ্যে একটু ব্যতিক্রম কিছু দেখে তাকেই পূজা করা শুরু করে আর আমার দেশের মুসলীমরা যাকেই দেখবে অন্য দশজন থেকে একটু বেশী পরহেজগার তাকেই অতিরিক্ত সম্মান করা শুরু করে দেয়, এমনই করতে থাকে যে কখন যে তার সেই সম্মান ( শিরক ) তাকে ইসলাম থেকে বের করে দিয়েছে তা সেই টেরই পায় না ।যার প্রমান বিভিন্ন ভন্ড পীর আর মাযার ভক্তদের মাধ্যমে সহজেই দেখতে পাবেন ।ইসলাম ওটা নয় যেটাকে আপনি ভাল মনে করেন বা যেটা আপনার পছন্দ, ইসলাম হচ্ছে ওটা যেটা আল্লাহ পছন্দ । আল্লাহর পছন্দ যে কি, তা একমাত্র জানা যায় কুরআন থেকে কিন্তু আপছোচ আমরা বেশীর ভাগই চেষ্টা করি না বা গুরত্ব দিই না কুরআনকে জানতে ও বুঝতে । আর এই এক ভুলের কারনে আমরা অনেকেই ভাল আমল মনে করে বিদয়াতকে এবং দ্বীনকে একটা সীমার মধ্যে ( নামাজ,রোজা ….. ) পালন করে সন্তুষ্ট অথচ মনে রাখবেন এমন দ্বীন পালন কারী কখনো জান্নাতে যাবে না ।মুসলীমদেরকে এই একটা ভুল করানোর জন্য কাফের মুষরেক ও তাদের দালাল আলেম নামক কিছু নর পিশাচ চেষ্টায় রত কারন এই ভুল না করলে আপনি সহজেই জেনে যাবেন সত্য আসলে কি ?? যাই হোক আমার আজকেই বিষয় , হিন্দু ছেলের কাবা ঘরকে নিয়ে ব্যঙ্গ আর স্থানীয়দের প্রতিবাদ ।
এইভাবে ব্যঙ্গ করাটা কোন বিচ্ছিন্ন বিষয় নয় বরং এটা পরিকল্পিত, এই হিন্দুরা আস্তে আস্তে আমার সোনার বাংলাকে গ্রাস করতে চাচ্ছে, যার কিছু এখান থেকে দেখে নিবেন goo.gl/TnXpAS । আশ্চার্য হচ্ছে এই হিন্দুদেরকে সমর্থন এবং সহযোগীতা করতেছে এক ধরনের নামধারী মুসলীমরা । আর মনে রাখবেন এই হিন্দুদের এইসব থেকে বিরত রাখার জন্য আপনি যতই কঠোর শাস্তির আবেদন করেন কোন লাভ হবে না কারন বর্তমান প্রশাসন স্পষ্ট মুসলীম বিদ্বেষী তার স্পষ্ট প্রমান হলো পুরো বিশ্ব মুসলীম যখন কাশ্মীরের সহিংসতা বিষয়ে কশ্মীরের পহ্ম নিল সেই সময় আমাদের এই প্রসাশন কার পহ্ম নিল তা কি জানেন ?? এতে আপনি কি বুঝলেন ?? মুসলীমরা আবেগী হবে না , হবে আনুগত্যশীল ।বাংলার বুকে যখন কতিপয় নাস্তিকরা প্রান প্রিয় রাসূলকে নিয়ে কুটক্তি করল তখন আমরা কি দেখলাম ? কিছু স্বার্থলোভী আলেম ঘটা করে সভা সমাবেশ করল বিভিন্ন ধরনের বিনা পয়সার বুলি ছোড়ল যদিও ইসলামের বিধানে এমন করার কোন ইতিহাস নেই ।এরপরেও বলুনতো এমন করে কি পেল , তাদের সভা সমাবেশ কি পেরেছে কোন নাস্তিককে শাস্তি দিতে, না বরং বিপরীতে শাহবাগে নাস্তিকদের বিরয়ানীর আড্ডা বসেছে , বলুনতো এদেরকে সহযোগীতা করেছে কোন প্রশাসন ?? লতিফ সিদ্দিক ইসলামকে কটাক্য করেছে এর বিপরীতেও অনেক নামীদামী আলেমদের মুখেও অনেক বড় বড় কথা শুনেছেন কিন্তু কি হয়েছে তা অবশ্যই আপনি জানেন, লতিফ সিদ্দিককে নিরাপত্তা দিয়েছে কোন প্রশাসন ? নাস্তিক বিরুধী হেফাজতের সমাবেসে লাশের স্তুপ পড়েছিল এর বিনিময়ে সরকার কিসাস দিয়েছে ৪০ কোটি টাকার জায়গা তাও অন্য ব্যক্তিকে কিন্তু হ্মতিগ্রস্থ পরিবার কানা কড়িও পায়নি ।কোন প্রশাসন হেফাজতের নিরীহ মানুষগুলোকে মেরেছে ?? এতকিছুর পরেরও আপনি বিচার দাবী করতেছেন কোন প্রশাসন কাছে ?? নির্বোধ আপনি, আপনার হুশ নেই, লজ্জা থাকা ধরকার । অথচ নাস্তিকদের ব্যপারে স্পষ্ট রাসূলের আদর্শ হচ্ছে তাদের যেখানে পাও হত্যা কর । প্রমান মক্কা বিজয়ের পরে ইসলামের শত্রু সবাইকে রাসূল হ্মমা করেছেন এমনকি তাকেও যে নামাজরত অবস্থায় রাসূলের ঘাড়ে গোবর দিয়েছে কিন্তু ১০ ব্যক্তিকে হ্মমা করেনি এমনকি আরো কঠোরভাবে বলেছে এই ১০ ব্যক্তিকে যদি কাবার গিলাফ জড়ানো অবস্থায়ও পাবে হত্যা করবে যদিও কাবার গিলাফে নিচে নিরাপত্তার ঘোষনা ছিল ।এই ১০ জনের অপরাধ কি জানেন ?? এরা রাসূলকে ব্যঙ্গ করত ।নাস্তিকদের ব্যাপারে আমরা রাসূলের এই আদর্শ গ্রহন করিনি করেছি সভা সমাবেশ । রাসূলের ভাষ্য মতে পুরো মুসলীম জাতী একটা দেহের মত ,তাই যদি পৃথিবীর কোন প্রান্তে যদি একজন মুসলীমও আহত হয় তাহলে পুরো দুনিয়ার মুসলীম দাবীদাররা ব্যথিত হবে । আজ পুরো বিশ্বের মুসলীমদের নির্যাতনের চিত্র দেখে আমি অন্ধ আর বধিরের অভিনয় করতেছি ।এমনকি আমার নিজের মাতৃভূমির মধ্যেও একটু ইসলামী গ্রুপের লোককে বাতীল নির্যাতন করলে অন্য সব ইসলামী সংঘঠনগুলো দেখেও চুপ থাকে এরপরেও তারা নাকি মুসলীম ?? এরা কোন পর্যায়ের মুসলীম তা আমার জানা নেই । অথচ যারা ইসলামের ইতিহাস জানেন তারা অবশ্যই অবগত যে হুদায়বিয়া সন্ধির আগে এক উসমানের ( রাঃ) মৃত্যুর গুজব শুনে ১৪০০ তরবারী নাঙ্গা করে রাসূলের হাতে সাহাবীর বাইয়াত নিল এই বলে “ আমরা উসমান হত্যার প্রতিশোধ না নিয়ে মদীনায় ফিরব না, আমি যদি হত্যার প্রতিশোধ নিতে গিয়ে আমাদের সবাইকে শহীদ হতে হয় তাহলে এখানেই শহীদ হয়ে যাব ” । কই আমার দেশের নামীদামী আলেমরা কেন রাসূলের এইসব সু্ন্নাত পালন করে না অথচ কোন লোক যদি ইসলামের কথা বলে তাহলে তার পোশাকের দোষ আরো নানান দোষ খুজে বের করতে তাদের দেরি হয় না ।আমি ঐসব নামধারী আলেমদেরকে আলেম বলি না বরং তাদেরকে যালেম, জানোয়ার, নরপিশাচ, স্বার্থলোভী, হায়েনা এমন সব নাম দিলেও তা কম হবে বলে মনে করি ।
কাবা ঘরের উপর মূর্তির ছবি নিয়ে যারা বেশী আবেগ তাড়িত (শুধু মাত্র মিছিল মিটিং এর মধ্যে) তাদেরকে বলব সূরা ফীলের তাফসীর পড়ুন । আবরাহা যখন কাবা ঘর ধ্বংস করার জন্য সৈন্য নিয়ে আসল তখন আব্দুল মুত্তালীবকে আবরাহার দিকে আসতে দেখে আবরাহা খুশি এই বুঝি তারা কাবা ঘরকে আমার কাছে ভিহ্মা চাইতে এসেছে, না আব্দুল মুত্তালীব এসে যখন বলল হে আবরাহা তোমার সৈন্যরা আমার কিছু ভেড়া ও উট নিয়ে এসেছে তা ফিরত দিতে বল । তখন আবরাহা আশ্চার্য হয়ে বলল, বড়ই আজবতো আমি কাবা ধ্বংস করতে এসেছি এটা জানার পরও আপনি তা না বলে সামান্য কিছু পশুর কথা বলতে এসেছেন ?? তখন আব্দুল মুত্তালীব দ্বীপ্ত কন্ঠে বলল , ঐ পশুগুলোর মালিক আমি তাই পশুর কথা বলেছি আর কাবা ঘরের মালিক মহান রব্বুল আলামীন ,তিনিই তার ঘর হেফাজতের জন্য যথেষ্ঠ । আমার এই লেখা থেকে আপনি এটা বুঝবেন না , যে তাহলে আমাদের কিছুই কি করার নেই ?? হা অবশ্যই আছে কারন ইতিহাস বলে কাবা ঘরকে ভাঙ্গার জন্য আবরাহা সহ তার সৈন্য বাহীনিকে যেভাবে আল্লাহ অপমানের সহিত মৃত্যুদন্ড দিয়েছে , তাই কোন সভা সমাবেশ নয় অপমানের সহিত মৃত্যুই হচ্ছে ঐ কুলাঙ্গারের একমাত্র শাস্তি । কিন্তু তা না করে আপনি সুবিধাবাদী পথে হাটতেছেন কোন স্বার্থে ?? একটা কথা মনে রাখবেন বর্তমানে যা দেখতেছেন তা সবই পরিকল্পনা করে করা তাই সাবধান ।মুসলীমের জন্য জান্নাতের পথ একটা (কুরআন )এবং সেই পথ চলার নিয়মও একটা (রাসূলের সুন্নাত) ।রাসূল যেসব বিষয়ে সভা সমাবেশ করেনি সেই সব বিষয় নিয়ে সভা সমাবেশ, মিটিং মিছিল করার কোন অধিকার কোন মুসলীমের নেই , এরপরেও যে করবে সেই স্পষ্ট ইসলামের শত্রু । তাই আসুন আমরা আর ভুল না করে কুরআনকে জানার চেষ্টা করি এবং সকল আমলের আগে জেনে নিই রাসূলের সুন্নাত কি ছিল ? আল্লাহ যেন সবাইকে সত্য বুঝার তওফিক দান করেন ।আমীন
বিঃদ্রঃ – আমি মানুষ মাত্র ভুল হতেই পারে তাই কোন ভাই যদি দলীলসহ আমার ভুল ধরিয়ে দিতে পারেন তাহলে আমি বড়ই লাভবান হব । জাযাক আল্লাহ
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১