ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মকালীন ছুটি পুরো এক মাস। আগে ছিল ১ জুন থেকে ৩০ জুন, পয়লা জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে পুলাপাইন পাওয়া যাইতো না বলে এখন ২৫ মে থেকে ২৫ জুন ছুটি থাকে।
এই দীর্ঘ ছুটির মূল কারন হলো ধান কাটা। একটা সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই আসতো গ্রাম থেকে(এখনো আসে)। তাদের মধ্যে যারা কৃষক পরিবারের সন্তান, ধান কাটার মৌসুমে বাড়িতে তাদের ডাকা পড়তো। জোয়ান ছেলেটাকে ছাড়া বৃদ্ধ বাবা একা কিভাবে এত কাজ সামলাবেন?
এরই সমাধান ছিল এই ছুটি।
ছুটির মধ্যে ধান কাটা,মাড়াই,শুকানোসহ যাবতীয় আনুষাঙ্গিক কাজকর্ম শেষ করে ছাত্র ছাত্রীরা ফের ঢাকায় এসে পড়াশোনায় মন দিতো। এদের মধ্য থেকেই হয়তো পরবর্তীতে কেউ হয়েছে ইঞ্জিনিয়ার, কেউ বিজ্ঞানি, কেউ অর্থনীতিবিদ কিংবা সাংবাদিক, উন্নয়নকর্মী, সচিব, রাষ্ট্রদূত, রাজনীতিবিদ....
অনেক দিন পর আজ ছুটির পেছনের ইতিহাসটা মনে পড়লো। ব্যাপারটা এখনো প্রাসঙ্গিক। যেমন আজকেই বিকালে নাস্তা করার সময় আমার পিছনে দাঁড়িয়ে একটা জুনিয়র ছেলে খুব আনন্দ নিয়ে তার এক বড় ভাইকে বলছিলো,
"ভাই, বাড়ি গিছিলাম। ধান কাটি আইসলাম। আমাগির তো শেষই, গিরামের বাকিগেরও পিরায় শেষের দিকে।"
বাহ্! কি চমত্কার!