আর খুব একটা বেশিদিন নাই যখন বাংলাদেশের বিমানবন্দর গুলোতে ঘন্টায় ঘন্টায় লর্ডস, মেলবোর্ন, জোহানসবার্গের উদ্দেশ্যে ফ্লাইট ছাড়বে। ঢাকা শহরে ট্রাফিক জ্যাম বলতে থাকবে ফ্লাইট জ্যাম আর শহরের বড় বড় বিলবোর্ড গুলোতে কোনো মডেল কিংবা অভিনেতা-অভিনেত্রী থাকবে না, থাকবে ব্যাট-বল হাতে বাংলা মায়ের দামাল ছেলেদের ছবি।
গাবতলি-সদরঘাট-কমলাপুরের মতো উপচে পড়া ভিড় থাকবে বিমানবন্দর গুলোতে। অবসর আর বিনোদনের জন্য সময় কাটাতে কেউ আর পার্ক-উদ্যানে যাবে না, যাবে স্টেডিয়াম গুলোতে।
ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তা আটকিয়ে, স্কুল কলেজ বন্ধ করে রাজনৈতিক মিছিল বা জনসভায় কেউ যাবে না, যাবে খেলা দেখতে। ম্যাশ-মুশি-সাকিব-নাসির-তামিম-সৌমের খেলা।
বিগত কয়েকবছর গুলোর দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাব বাংলাদেশের ক্রিকেটের সমর্থক কিভাবে হু হু করে বেড়েই চলছে। দলের অগ্রগতির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সমর্থকদের উদ্দীপনা।
আজকাল আর বাসায় কেউ হিন্দি সিরিয়ালের জন্য পেরা দেয় না। খেলা আছে শুনলেই জানতে চায় কত রান করল, কে কত করল, কে কয়টা উইকেট পেল, টার্গেট কত??? সাকিব-তামিম-ম্যাশ তো বটেই রুবেল-তাসকিন-সৌমকে উদ্দেশ্য করেও আজ গ্যালারীতে "মেরী মি" প্লাকোডের কমতি নেই।
সত্য কথা বলতে, বিশ্বাস ছিলো তবে আমরা এতো দ্রুত এভাবে এতোটা উন্নতি করছি ভাবতেই অবাক লাগে। এখন আমাদের কোনো মোড়ল দমাতে পারবে না। এখন আমরাও চোখে চোখ রেখে বুকের বোতাম খুলে জোর গলায় বলতে পারি আমরা "হোয়াইট ওয়াশ" করি না আমরা করি "বাংলা_ওয়াশ"। আমাদের জাতিগত ওয়াশ, ইনপুটে যাই দেও আউটপুটে বাংলা_ওয়াশ। ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, ওয়েষ্ট ইন্ডিজ, সাউথ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড'কে বলি আয় #ধরে_দিবানে।
সত্যিই ভাবা যায় না কি ছিলাম আর কি হলাম।
[[বিঃদ্রঃ অনেকদিন আগের লিখা।।
০৭/০৭/২০১৫ইং রাত ২টা ৫৯মিনিট
কাল এপ্লাইড মেকানিক্স পরিক্ষা। একটু রিস্ক নিয়েই লিখতে বসলাম। (খেয়াল নাই সেদিন কি হইছিলো, ডাইরীতে শেষ লেখা এটা। বাংলাদেশ-সাউথ আফ্রিকা সিরিজ চলাকালীন সময়ে লিখছিলাম।)]]