সৌভাগ্যবাণ হও,
ঈমাণ এবং নেক কাজ হলো তোমার পবিএ জীবণের রহস্য।তা অর্জনে স্পৃহাবান বা লালায়িত হও।ইলেম ও মারে'ফাত অণ্ণেষন কর,সাথে সাথে অধ্যায়ণকে আবশ্যক করে নাও এটা তোমার উতকন্ঠা বা উদ্দেগ দূর করে দিবে।নতুন নতুন তওবা কর ও অন্যায়-পাপাচারকে পরিহার কর, নইলে এগুলো তোমার জীবণকে বিঘ্নিত করে দিবে।গভীর মনযোগ ও চিন্তা-গবেষনার সাথে কোরআন তেলোয়াত কর এবং সার্বক্ষনিক বেশী বেশী আল্লাহর যিকির কর।মানুষের প্রতি যথাসম্ভব ইহসান কর তাতে তোমার বক্ষ প্রসারিত হবে।বীর ও সাহসী হও ভীতু-কাপূরুষ হইওনা।কারন বীর্যশালী লোক বিস্তৃর্ন বক্ষের অধিকারী হয়ে থাকে।হিংসা-বিদ্বেষ,প্রতারনা,পরশ্রীকাতরতা এবং সবধরনের ত্রুটিবিচ্যূতি ও রোগসমুহ থেকে হ্রদয়কে পবিত্র কর।অধিক আহার,নিদ্রা ও বেশী বেশী সংমিশ্রন বা মেলামেশা থেকে বিরত থাক এবং অপ্রোয়জণীয় বলা,শোনা ও দেখা পরিহার কর।ফলপ্রদ কীংবা লাভজনক কাজে লিপ্ত হও আর দুখ-কস্ট ও চিন্তা-উদ্দেগকে ভুলে যাও।অতীত-ভবীষ্যাৎকে বিস্মৃত হয়ে আজকের জন্য জীবিকা নির্বাহ কর।ধন-সম্পদ,আকার-আকৃতি ও সুস্থতা প্রভৃতি বিসয়ে যারা তোমার চেয়ে নিম্নে তাদের দিকে দৃস্টি দাও।সবচেয়ে মন্দতর সম্ভাবনাকে নির্ধারন করে তা সম্পাদনে বিব্রত হও যদি তা সংঘটিত হয়।তোমার মন-মগজকে ভীতিপ্রদ কল্পনা ও মন্দ চিন্তা-চেতনার পিছু ছুটতে দিওনা।রাগ করোনা,ধৈর্য ধারন কর ও ক্ষমা কর।সদয় ও সহনসীল হতে শিখ,জীবনকাল ক্ষুবই সংক্ষিপ্ত।(কারো) অনুগ্রহ বা নেয়ামতরাজি দূর হওয়া কিংবা প্রতিশোধ বা শাস্তি আপতিত হওয়ার প্রত্যাশা করোনা বরং আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল কর।যে কোন সমস্যাকে তার স্বাভাবিকরুপে কল্পনা করার চেস্টা কর।কোণ ঘটনাবলীকেই(তার নিজস্বরুপের চেয়ে)বড় করে দেখনা।ষড়যন্ত্রের জটিলতা এবং অপছন্দনীয় কোন কিছুর প্রতিক্ষা করা থেকে বেঁচে থাক।বিলাসিতা বর্জন করে জীবনকে সহজ- সরল কর।কারন জীবিকার বর্ধিতাংশ ব্যাস্ততা বাড়িয়ে দেয় এবং শরীরের শৌখিনতা রুহের জন্য শাস্তিস্বরুপ।তোমাকে ঘিরে যে নেয়ামতরাজী রয়েছে তার মধ্যে এবং তোমার বিপদ-আপদ ও বালা-মুছিবতের মধ্যে তুলনা করে দেখ,যাতে লোকসানের চেয়ে লাভকে বৃহৎ আকারে পেতে পার।তোমাকে উদ্দেশ্য করে যে মন্দ উক্তি করা হয়েছে তা কষ্মিনকালেও তোমার কোণ ক্ষতি করতে পারবেনা বরং তা উহার বক্তাকেই ক্ষতিগ্রস্থ করবে।অতএব তা নিয়ে চিন্তা করনা।তোমার ধ্যান-ধারনা,চিন্তা-চেতনা ঠিক কর।নিয়ামত,সফলতা ও ফযিলত নিয়ে ভাব।কারো কৃ্তজ্ঞতা পাওয়ার প্রতিক্ষায় থেকনা,কারন কারো কাছেই তোমার কোন পাওনা বা অধিকার নেই।একমাত্র আল্লাহর সন্তুস্টি অর্জনের জন্য ইহসান বা অনুগ্রহ করে যাও।এটাই তোমার জন্য যথেস্ট।তোমার জন্য হিতকর পরিকল্পনাধীন কাজসমূহকে নির্দিস্ট করে সেগুলোতেই চিন্তা-ফিকর কর এবং ঐগূলো সম্পাদনেই ব্যাস্ত থাক।যখনের কাজ তখনি সেরে ফেল।আজকের কাজ কালকের জন্য ফেলে রেখনা।তোমার অনূকুল হয় এমন কল্যানকর কাজ শিক্ষা কর এবং এমন লাভজনক কাজ কর যাতে তুমি প্রফুল্ল হও বা আনন্দ পাও।তোমার উপর আল্লাহ পাকের দান ও অনুগ্রহের কথা স্মরন কর এবং তা আলোচনা ও পর্যালোচনা করার সাথে সাথে উহার জন্য আল্লাহ তা'লার দরবারে শুকরিয়া আদায় কর।আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তোমাকে যে স্বাস্থ-সম্পদ, পরিবার-পরিজন ও কাজ-কর্ম দিয়েছেন তা নিয়েই তুস্ট থাক বা সন্তুস্ট হও।লেখকঃ ইব্রাহীম আযহারী।বি এ অনার্স।আল্-আয্হার ইউনিভার্সিটী।মিসর