ভুমিকাঃ ভূত হল অশরীরি সম্প্রদায়। মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে যে সব অতৃপ্ত আত্মা পৃথিবীতে অস্বাভাবিকভাবে ঘুরে বেড়ায় তাদের কে ই ভূত বলে।
আকৃতিঃ এদের নির্দিষ্ট কোন আকৃতি নাই।এরা যে কোন অবস্তাতে যে কোন আকৃতি ধারন করতে পারে।
প্রকারভেদঃ বাংলা সাহিত্যে অনেক ধরনের ভূতের বিশ্বাস রয়েছে; তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো-
পেত্নী: পেত্নী হলো অবিবাহিতভাবে মেয়ে ভূত।তা ছাড়া যে সব মেয়ে আঠা,ময়দা,সুজি মেখে সভ্য সমাজে বিচরণ করে তাদের কে ও পেত্নী বলা হয়।পেত্নীরা সাধারনত ভীষণ বদমেজাজী হয়ে থাকে।
শাকচুন্নি: হিন্দু বিবাহিত মহিলা মরলে হয় শাকচুন্নি । এরা শুভ্র পোশাক,হাতে শঙ্খ বা শাঁখা পরিধান করে। শাকচুন্নিরা সাধারনত ধনী বিবাহিত মহিলাদের ভেতর ভর করে বা আক্রমণ করে যাতে করে তারা নিজেরা সেই মহিলার মত জীবন যাপন করতে পারে ও বিবাহিত জীবন উপভোগ করতে পারে।
মেছোভূত: এ ধরনের ভূতেরা মাছ খেতে পছন্দ করে তাদের কে মেছো ভূত বলে। মেছো ভূত সাধারনত গ্রামের কোন পুকুর পাড়ে বা লেকের ধারে যেখানে বেশি মাছ পাওয়া যায় সেখানে বসবাস করে। বাজার থেকে কেউ মাছ কিনে গাঁয়ের রাস্তা দিয়ে ফিরলে এটি তার পিছু নেয় এবং নির্জন বাঁশঝাঁড়ে বা বিলের ধারে ভয় দেখিয়ে আক্রমণ করে মাছ ছিনিয়ে নেয়।
মানুষ ভূতঃ এরা মানুষ রুপী ভূত।মানব সভ্যতায় বসবাস করে ও এদের আচর খুব ভয়ংকর হয়।অন্ধকারে অলিতে গলিতে এরা বিচরণ করে।এদের প্রধান খাদ্য হল ব্যাগ, টাকা- পয়সা, স্বর্ণ- গয়না,আর তাজা রক্ত।
অবস্থানঃ এরা সব জাইগায় বিরাজমান। তবে বিশেষ করে আম গাছে, তেঁতুল গাছে, পুকুর পাড়ে, বাঁশ জাড়ে, পোড়া বাড়ি তে বেশি দেখা যাই।
উপকারিতাঃ কিছু কিছু ভূত আছে তারা অত্যন্ত দয়ালু ও মানুষকে অনেক উপকার করে থাকে।তাছাড়া বাংলা লোকসাহিত্যে ভূত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।গ্রামে বাবুদের শৈশব কাটে ভুতের গল্প শুনে।
উপসংহারঃকেউ ভূত বিশ্বাস করুক বা না করুক , ভূত একটি দুর্বল মনের কল্পনা মাত্র।


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


