নিচের লেখাটি আমার ফেসবুক বন্ধু জাহিদুর রহমানের। টিএসসিতে নামাজ পড়া নিয়ে একটি ঘটনা ঘটেছে, তাঁর প্রেক্ষিতে তিনি এটা লিখেছেন। আমি তার বক্তব্যের সাথে একমত। তাই তাঁর লেখাটাই আমার নিজের মতামত বলে চালিয়ে দিচ্ছি।
টিএসসি নামাজ, পূজা কিংবা অন্য কোন ধর্মীয় চর্চার জায়গা না। কেউ যদি যেখানে সেখানে নামাজে দাঁড়িয়ে যায়, সেটি একান্তই তার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছেলে মেয়ে কারোর জন্যই এখানে নামাজের স্থান নির্ধারণ করে দেয়া উচিত না। যদি ছেলেদের নামাজের ব্যবস্থা থাকে তাহলে আপনি কোন যুক্তিতেই মেয়েদের নামাজ পড়ায় বাধা দিতে পারেন না। শুধুমাত্র আশপাশে মসজিদ না থাকলেই টিএসসিতে ব্যবস্থা করার কথা বিবেচনা করা যেত। অথচ টিএসসির একদম পাশেই মসজিদ। সেখানে মেয়েদের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা নির্ধারণ করে দিন।
বিড়াল বাসর ঘরেই মারতে হয়। মেরুদণ্ড সোজা করে এখনি সিদ্ধান্ত নিন। জামাত শিবির টিএসসিতে নামাজ পড়ার জায়গা চায় না, রাজনীতি করার জায়গা চায়। আমরা সারা জীবন বিচ্ছিন্নভাবে টিএসসির ভিতরে কাউকে কাউকে নামাজ পড়তে দেখেছি, এতদিন তো এসব নিয়ে কোন বিতর্ক হয়নি। এখন কেন হয় বুঝেন না? ফিডার খান? সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেই আজকে মৌলবাদীরা এরকম দাবি করতে পারছে। কোন সুস্থ চিন্তা ভাবনার মুসুল্লি পাশে মসজিদ থাকার পরও গান বাজনা কবিতা আবৃত্তির মধ্যে নামাজ পড়তে চাইতে পারে?
জামাত শিবির নিপাত যাক।