ইসলামের শত্রুদের জন্য এপ্রিল মাস হল বিজয়ের মাস। পয়লা এপ্রিলে ‘বোকা দিবস’ পালনের অনেকগুলো থিউরির মাঝে একটি হচ্ছে স্পেন হতে মুসলমানদের উচ্ছেদ করে ইউরোপে খ্রিস্টানদের আধিপত্য নিশ্চিত করা। বলা হয়ে থাকে হাজার হাজার মুসলমানকে মসজিদে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে পরে চারদিক হতে আটকে দিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়।
শত শত বছর পেরিয়ে আবারো কি এপ্রিল মাসে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে?
- প্রথমে হেফাজতে ইসলামের লং মার্চ প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দূত বনমন্ত্রী আল্লামা শফির কাছে অনুরোধ নিয়ে গেলেন।
- হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের শর্তে শাপলা চত্বর বরাদ্দ করা হল।
- চারজন ইসলাম বিদ্বেষীকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে ইসলামকে খুশি করা হল।
- সরকারের মন্ত্রীসভা অবিলম্বে শাহবাগ বন্ধ করে দেবার দাবী জানাল।
শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনের লক্ষে হেফাজতে ইসলাম যখন সব প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে, আল্লামা শফি ঢাকায় এসে পড়েছে তখনি সরকারের খেলা বদলে গেল।
- ঘাদানিককে দিয়ে দিন রাত মিলিয়ে সারা দেশে হরতাল পালন করানো হল। সরকারের পুলিশ দিয়ে রাজপথে গাড়ি চলাচল বন্ধ করানো হল।
- ঢাকা অভিমুখে সকল দূরপাল্লার বাস, ফেরী, লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হল।
- সরকারকে স্পর্ধা দেখানো গণজাগরণ মঞ্চকে হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়া হল।
- লং মার্চ প্রতিরোধের জন্য ঢাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ছাত্র লীগ, যুব লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের নামিয়ে দেওয়া হল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিমধ্যে কঠোর পদক্ষেপ নেবার ঘোষণা দিয়েছে।
এপ্রিল মাসে আবারও বোকা বানানো হল কোটি মুসলমানদের। ৫০ লক্ষ মানুষের লং মার্চকে তারা ৫ লক্ষে নামিয়ে আনতে চাইছে। পুলিশ প্রহরায় থাকা গুটিকয়েক বাম নাস্তিককে দিয়ে তারা হেফাজতে ইসলাম প্রতিহত করার মিথ্যা সংবাদ মিডিয়ার ছড়াচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হুমকি বাস্তবায়িত হলে কি পরিমাণ রক্ত ঝরবে জানা নেই, তবে লাখো কোটি মুসলিমের চেতনা নষ্ট করতে সরকার আবারও একটি এপ্রিল ফুল উপহার দিল এদেশে।