সব প্রানীই রাগে। মানুষ আরো রাগে। তবে একেকজনের রাগের বহিঃপ্রকাশ একেকরকম। কেউ রাগলে সাপের মত ফোঁস ফোঁস করে। কেউ ঘুমিয়ে পড়ে, কেয়ামত লাগলেও সে ঘুম ভাঙ্গেনা রাগ যতক্ষণ না ভাঙ্গে, কেউ রাগলে মুখটা বিষণ্ণ করে রাখে, কেউ রাগলে সামনে যা পায় ছুড়ে ফেলে দেয়। কেউ রাগলে চোখের রঙ লাল হয়ে যায়।
আরো অনেক কিছুই হতে পারে। ব্যক্তি বিশেষে রাগের প্রকাশ বিশেষ রকম। আমাদের রাজনীতিবিদরা রাগলে প্রতিপক্ষের পাকা ধানে মই জুড়ে দেয়, শিক্ষক রাগলে ছাত্রের পিঠে বেতের দাগ বসিয়ে দেয়।
প্রেমিকা রাগলে চোখের পানি ঝরে(সঠিক জানিনা) , প্রেমিক রাগলে হাতে সিগারেটও শোভা পায়। সিগারেট খাওয়া না শিখলেও মুখ দিয়ে ধোয়া বের করার আপ্রাণ চেস্টা চলে। সে ধোঁয়ায় পুরো দুনিয়া অন্ধকার করতে পারলে বাজিমাত। বন্ধু রাগলে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ পড়ে অনেক বন্ধু। মুখে অভিমানের রেখা। সবাই ব্যস্ত যার যার রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে।
কিন্তু চারিপাশে আগ বাড়িয়ে নিজেকে দমিয়ে কেউ আসেনা আমাদের রাগ ভাঙ্গাতে। সবাই সবার জায়গায় অটুট। সবাই নিজেকে নির্ভেজাল প্রমানে শত মার্কস দিতে প্রস্তুত। সেটা আমি হই, আপনি হন আর যেই হোন।
পশুপাখি একসময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে, গাছও ঝিমিয়ে পড়ে, কিন্তু আমরা ঝিমিয়ে পরিনা। ভেতরে রাগ পুষে রাখি।
চারিদিকে এতো শান্তনা, এত আয়োজন। কিন্তু হায় আগ বাড়িয়ে আমরা কেউ নিজের রাগ কমিয়ে নিজেও স্বাভাবিক হইনা, অন্যদেরকেও স্বাভাবিক করতে দেইনা। রাগই ধর্ম, রাগই কম্ম...