জেন্ডার মানে কি সেটার বাংলা লেখার দরকার আছে কি ? সেক্স মানে কি সেটারই বা বাংলা মানে এত বলার দরকার কি।
ইন্টারনেট ঢু মেরে কারা লেখা পড়ে ! যারা পড়তে জানে বুঝতে জানে। পেপার পত্রিকা কারা পড়ে। ওই একই যারা পড়তে পারে।
তাহলে বলা যায় শিক্ষিতরা পড়ে। অনেক কিছুর মানে খুলে বলার দরকার খুব একটা নাই। শিক্ষিতদেরকে ঝি মেরে বউকে বুঝানোর দরকারই বা কি।
তসলিমা নিশ্চয় 'ব' কলম নন। তিনি লেখিকা। লেখক যত সহজ করে লিখবেন তত পাঠকের সুবিধা হবে।
তিনি নারীদের পক্ষে লেখেন। ওয়েল। নারীদেরকে পুরুষ কি ভাবে দেখে, কিভাবে ট্রিট করে সেটা বুঝাতে অশ্লীল ভাষার দরকার নেই।
আসলে হাল আমলের অনেক লেখক লেখায় সুরসুরি না রেখে যেন শান্তি পান না। আসলে শান্তি পান বটে পাঠক টানার এটা কৌশল আর কি।
তসলিমা ঠিক তাই বটে। একজন নারীর প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ খুলে খুলে বর্ণনা দিয়ে বুঝানোর প্রয়োজন কিন্তু নেই। যদি বলা হয় শারিরিক ভাবে নারীকে নির্যাতন করা হয় তাহলে একজন প্রাইমারীর স্টুডেন্টও বুঝবে সেটা কি টাইপের নির্যাতন।
সেখানে খুলে মেলে নির্যাতনের প্রসেসটা আলোচনা অনর্থক।
কিন্তু হায় তসলিমা এমন ভাবে লেখার চেস্টা করেন যাতে শব্দে শব্দে গোপন টান অনুভব করা যায়। অশ্লীলতার গন্ধ নাকে লাগে।
মার্জিত ভাষায় সব কিছুই বুঝানো সম্ভব।
লেখায় হাত খুলে দিল খুলে অশ্লীল শব্দের- বাক্যের পাহার জুড়ে দিলেই উদার লেখক হওয়া যায়না। যদিও মিডিয়া সেগুলো অবলিলায় প্রচার করে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অল্প বয়সিদের সামনে সে লেখা পড়ার যোগ্য নয়।
ধর্ম নিয়ে আঘত মুলক লেখা ম্যাডাম কম লিখেন না। আফসোস তিনি যদি পারতেন একটা সঠিক আদর্শ দেখাতে তখন নাহয় বুঝতাম উনি সঠিক/ ে বিষয়ে পরে লেখা যাবে। শুধু এটুকোই বলি- চালাকের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। রেইপ কাহিনি বুঝাতে রেইপ প্রসেসের বর্ণনা কিন্তু নিষ্প্রয়োজন।