Media should be one, one news, one fact just presentation (by word) may different...
দুঃখিত এটি কোন বিশেষ জ্ঞানীগুণীর কথা।একেবারে নিজের কথা। আমার কথা। আপনার কথা। রিকশাচালকের কথা। ধান চাষির কথা।
কিন্তু হায় এদেশে সবার একই প্রশ্ন ‘মিডিয়া তুমি কার’ । ছোট্ট একটা দেশ। জনসংখ্যার চেয়ে সমস্যা বেশী। ভাতের কষ্ট হলে পারা যায়। কাপড়ের কষ্টে নাহয় উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় নামা যায়। কিন্তু মিডিয়ার অন্তর্ভুক্ত পত্রিকা, চ্যানেলের খবরের ভিন্নতা কি আর মানা যায়।
পত্রিকায় বলেছে- ম্যাঙ্গো মানে আম – আমরা চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করি হ্যা ম্যাঙ্গো মানেই আম।
পরীক্ষা বানান ঈ নাকি ই সেটা পত্রিকায় যা বলবে তাই ঠিক। মিডিয়ার প্রতি আমাদের এতই অগাধ বিশ্বাস। কারন মিডিয়াতো সমাজের আয়না। দেশের আয়না। যা সঠিক তাই তুলে ধরবে। বাদ যাবেনা একটা চুলও।
কিন্তু একি হাল দেশের। একি হাল সময়ের।
একেক চ্যানেলে একেক পত্রিকায় একই খবর একেক রকম । কোথাও খুন হয়েছে।
এক পত্রিকা লিখবে এক রকম। আরেক পত্রিকা আরেক রকম। কেউ এই খুনকে বানাবে জায়েজ, কেউ বানাবে নাজায়েজ, কেউ বানাবে ক্ষমতাসীন দলকে খুনি, কেউ বানাবে নাম না জানা কাউকে, কেউ বানাবে বিরোধী দলের কাউকে।
এই হাল দেখে নিশ্চিত খুনিরা আড়ালে হাসে আর বলে আহা খুনটা কে করলো...
ঘটনা একটাই। অথচ তার বর্ণনা হাজারটা। আমরা সাংবাদিক না। আমরা পুলিশ না। আমরা র্যাব না। আমারা ঘটনার রাজসাক্ষী না। পত্রিকায় , চ্যানেলে যা পাবো তাইতো বিশ্বাস করবো। কিন্তু ধাঁধাঁ লাগে চোখে । কোনটা আসলে ঠিক। এই যখন অবস্থা তখন
নিজেকে নির্দোষ প্রমানে সবাই নিজস্ব চ্যানেল বানাবে, পত্রিকা ছাপাবে এটাইতো স্বাভাবিক।
অথচ – এমনটি হওয়ার কথা ছিল- মিডিয়ার সবার ভাষা হবে এক।
এতে মিডিয়া হবে শক্তিশালি। মিডিয়া ফর পাবলিক নট অনলি পাবলিসিটি।
এ গেলো একদিক। চারিদিকে টুয়েন্টিফোর ডট কম এর মেলা বসেছে । ফেসবুককেও পারলে নিউজসাইট বানায় ফেলে। ব্লগকে বানায় অনলাইন পত্রিকা। কপি পেস্টতো আছেই। বিচিত্রতা এখানেই। কপি পেস্ট করে ঠিকই। জাস্ট ঘটনাকে একটু উলট পালট করে।
এদের ভিরে দেশে যে কয়েকটা ভালো মানের চ্যানেল আছে, পত্রিকা আছে তাদের গায়েও লাগছে কালিমা। হায় মিডিয়া তুমি কার । কান্দো কার লাগিয়া