somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার প্রিয় স্কুল।

২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




এটা আমাদের স্কুল। আমার প্রাণের স্কুল। ভবেরচর ওয়াজীর আলী উচ্চ বিদ্যালয়। এই স্কুলে ভর্তি হই নবম শ্রেণীতে।

আমি যখন অষ্টম শ্রেণী পাশ করি তখন আমার নানা আব্বুকে বলেন “তুমারা তো সরকারি চাকরি করো। যখন তখন বদলী হতে পারো। একবার নাইনে রেজিষ্ট্রেশন হয়ে গেলে, তারপর তুমাদের যদি বদলী অর্ডার আসে তাহলে তো সমস্যা। তাই্ আমাদের এখানে ভর্তি করিয়ে দেও।” যেই ভাবা সেই কাজ। নবম শ্রেনী তে উক্ত স্কুলে ভর্তি হই। এসএসসি থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়ি থেকে কমপ্লিট করি।

নানা ভাই ব্যাংকে চাকরি করতেন। শেষের দিকে সোনালী ব্যাংক, ভবেরচর শাখা তে পোস্টিং ছিলেন। ইচ্ছে করেই আমাদের গ্রামের সেই শাখাতে ট্রন্সফার হয়েছিলেন।


কতই সুখের দিন ছিলো। আমি ক্লাশ শেষ করে আবুল হোসেন স্যারের ইংরেজী প্রাইবেট পড়তে যেতাম। প্রাইবেট শেষ শেষে বাসায় যেতে যেতে সাড়ে পাঁচটা বাজতো। নানা আমার জন্য বারান্দাতে বসে বসে অপেক্ষা করিতেন। আমার নানী আমার জন্য দুপুরের খাবার দিতেন। ভাত খেয়ে বাহিরে একটু ঘুরতে যেতাম বা একটু শুয়ে থাকতাম। ক্লাস এবং প্রইবেট শেষ করে যখন বাসায় যেতাম তখন যেই সুখ লাগতো তা এখন কোন শব্দে প্রকাশ করতে পারবো না। আর এই সুখ কে আমি খুব মিস করছি।

আমার সাথে নূরে আলম আর মেহেদী বাসায় ফিরতো। কারন তখন আমরা একই গ্রামে থাকতাম এবং একসাটে ইংরেজী প্রাইবেট পড়তাম।

শীত কালে অবশ্য বাহিরে যেতে পারতাম না। কারন সাড়ে ৫ তে সন্ধ্যা হয়ে যেতো।

ক্লাস নাইনে এবং টেইনে কাকতালীয় ভাবে প্রথম ক্লাস ছিলো ইংরেজী। শেষ ক্লাস ছিলো বাংলা ১ম পত্র। আমার তখন ঐচ্ছিক বিষয় ছিলো কম্পিউটার। প্রথম ক্লাসে ১১৫ জনের মধ্যে গড়ে ১০০ বা ৯০ জন থাকিতেন। আর শেষের বাংলা ক্লাসে ১০ থেকে ৫০ জন থাকিতেন।

ফরম ফিলাপের অনেকদিন পর আমার নানা মারা যায়। আমার এসএসসি পরীক্ষা তিনি আর দেখে যেতে পারলেন না। তিনি ডিসেম্বর ২০১০ সালে হঠাৎ হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়।

আমি আমার নানা কে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

আ‌মি আরও স্মরণ কর‌ছি সে সকল শিক্ষক‌কে, যাঁদের সহ‌যো‌গিতায় আজ আ‌মি এখা‌নে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩২
১২টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×