এই ব্লগ এর পূর্বসূরী। এটা না পড়লে বর্তমান ব্লগ বুঝবেন না।
বর্তমানে জাতীয় পরিচয় পত্র একজন নাগরিকের জন্য গুরুত্বপূর্ন দলিল। এই জাতীয় পরিচয় পত্র সিস্টেম চালুন করেন ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবাধায়ক সরকার।
এখন, আমার নানা এসএসসি পাশ করেছে ১৯৬৯ সালে। আর আমার মামা এসএসসি পাশ করেছে মনে করেন ১৯৮৮ সালে। সে সময় তো জাতীয় পরিচয় পত্র ছিলো না। এখন আমার মামা যদি তখন বুদ্ধি করে আমার নানার এসএসসি সার্টিফিকেটে যেভাবে তার নাম লিখেছেন, আমার মামাও যদি পিতার নাম সেভাবে লিখতেন তাহলে আজ আমার মামার জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুল হতো না। আমি বলতে চাচ্ছি কিছু ক্ষেত্রে আমাদের সচেতনতার অভাব আছে।
যেভাবে জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুল এরানো যায়ঃ
০১। বাপ মা তাদের নাম জাতীয় পরিচয় পত্রে লিখেছেন, সেভাবেই আমার জাতীয় লিখতে হবে। অনেকে বলবেন “আমার জাতীয় পরিচয় পত্র ও এসএসসি সার্টিফিকেটে আমার আম্মুর নাম খাদিজা আক্তার। আর আমার আম্মার ন্যাশনাল আইডি কার্ডে খাদিজা খাতুন। আমার তো সব ঠিক আছে। আমি কেন ঠিক করবো?”
আপনি যেহেতু এসএসসি রেজিস্ট্রেশন এর সময় আপনার বাপ মা এর জাতীয় পরিচয় পত্র দেখে বাপ মা এর নাম যেহেতু ফিলাপ করেন নাই। তাই ভুল করেছেন। এই ভুলের মাশুল তো দিতেই হবে। এখন বাপ মা এর ন্যাশনাল আইডি কার্ডে বাপ মা এর নাম যেভাবে লিখা আছে, সেবাবে এসএসসি সার্টিফিকেট, ও নিজের এনআইডি কার্ডেও লিখতে হবে।
০২। আর যার যার ভোটার নিবন্ধন সে সে পূরন করবে।
০৩। বাপ মা এর নাম ন্যাশনাল আইডি কার্ডে যেভাবে লিখা আছে, হুবাহু সব ফরমে একই ভাবে লিখতে হবে।
০৪। সচেতনতা বাড়াতে হবে।
০৫। জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধন ও পাসপোর্ট সব কিছুর ফরম এখন অনলাইন বেইস। এখাসে সব কিছু সাবধানে লিখবেন।
০৬। আপনার প্রতিবেশীর তথ্য কেই চাইলে আপনি তাকে দিবেন না। তথ্য সংগ্রহকারীকে বলবেন “আমি তার ইনফরমেশন ভালো ভাবে জানি না। এই নেন মোবাইল নম্বর তার তথ্য তার কাছে চান”
০৭। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশনের সার্ভাবের মানে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড এর সাথে এনআইডি ও জন্মনিবন্ধন সার্ভারের লিংক থাকতে হবে।
০৮। এখন জন্ম নিবন্ধন নাম্বার বা জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বার দিলেই যাতে আমার বেসিক তথ্য অটোমেটিক ফরম ফিলাপ হয়ে যায় সেই সিস্টেম করতে হবে।