somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৃহস্পতির ঘটনা !!

২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পত্রিকায় পড়লাম, ২০১০-২০১৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ধর্ষিত হয়েছে ৬০১৯ জন। শিশু, কিশোরী, যুবতী, তরুণী, মধ্য বয়সী, প্রতিবন্ধী সবাই আছে ৬০১৯ জনের মধ্যে। সবচেয়ে ভয়াবহ পরিসংখ্যান হল প্রতি দশটির মধ্যে মাত্র একটি্র ও কম ধর্ষণ/গণধর্ষণের ঘটনা মিডিয়ায় আসে । তাইলে বৃহস্পতির ধর্ষণের ঘটনা নতুন কি ??

হুম্মম্মম্ম............নতুন হচ্ছে, রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার জন্য বাসের অপেক্ষায় থাকার সময় ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড থেকে তুলে এই কর্মজীবী মেয়েটিকে চলন্ত মাইক্রোবাসেই গণদুষ্টামি শেষে তাকে আবার সড়কেই ফেলে যায় অজ্ঞাত দুষ্ট জারজরা । কায়দাটা পরিচিত লাগছে না ! জি , হ্যা !! দিল্লীর সেই কায়দা । মিডিয়ার কল্যানে আমরা সব কিছুতে এখন ভারতকে অনুসরন করি !! কথায় বলে , যায় দিন ভাল আসে দিন খারাপ । তাই যদি হয়, তাইলে ভবিষ্যতে এই দুষ্ট প্রেমিক প্রশাসনে কি নতুন উদাহরণ হবে আমি তা ভাবতেও চাইনা !!

নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষণ চিরন্তন। সমাজ বিজ্ঞানীরা বলন সব মানুষের মধ্যে কিছু পশুত্ব সুপ্ত থাকে এবং মানবিক গুণাবলীর অনুপস্থিতিতে ক্রোধ, হতাশা বা প্রতিশোধ পরায়ণতার কারনে সেই পশুত্বের প্রকাশ ঘটে।

কিন্তু প্রশ্ন হল এই দেশে হঠাত করে পুরুষের মধ্যে তা সেটিরসিয়াস রোগে (অত্যাধিক যৌন আকর্ষণ) কেন পরিনত হল ? কারন নারী ছাড়া আজ করপরেট/ মিডিয়া/ ব্যাবসা কিছুই চলেনা । মাঝে মাঝে ভাবি পুরুষের ভোগপণ্য এবং চিত্ত বিনোদনের উৎকর্ষে পরিনত হবার জন্য চামড়া দেখানোর বায়বীয় স্বাধীনতাই কি মুক্তমনা প্রগতশীলতা?? লাগুক আর না লাগুক নারী ছাড়া কোন বিজ্ঞাপন হয় না । প্রচন্ড শীতের মধ্যে নায়ক জোব্বা জাব্বা পড়লেও মাগার নায়িকা মিনিস্কার্ট ! ক্রিকেট খেলা আজ চিয়ার গার্ল ছাড়া শুনা শুনা লাগে । এমনকি ক্রিকেট পর্যালোচনায় ও গ্লামার আনতে সুন্দরী ললনা লাগে । ডিজিটাল বংলায় গ্রামে শহরে মোবাইলে মোবাইলে পর্ণ ভিডিও এখন খুব সহজল্ভ্য । আর টিভিতে যৌন শিহরন জাগানো ধারাবাহিক স্টার জলসার সিরিয়াল আর বলিউড XX সিনেমাগুলি আমাদের এই প্রজন্মকে আসলে কি শিখায় ??

এই ভোগবাদী, বস্তুবাদী সমাজে নারী আসলে মানুষের মত দেখতে হলেও এক প্রকার যৌন সুড়সুড়ি দেয়া অবলা জীব । তাই যৌন ম্যানিয়াক এলিট অমানুষরা সেই যৌন শিহরন সহ্য করতে না পেরে ক্লাবে / মোটেলে / রেস্ট হাউসে আর প্লেজার ট্রিপে দুস্টামি করেন । আর যাদের জন্য সহজ লভ্য নয় তারা রাস্তায় / মেলায় বাগে পেয়ে নিরীহ শিশু, কিশোরী, যুবতী, তরুণী, মধ্য বয়সী, প্রতিবন্ধী যাকেই পান তার সাথ দুষ্টামি করে যৌন শিহরন কমান ।

তাইলে এই ভোগবাদী, বস্তুবাদী সমাজে এর সমাধান কি ??

১) আমাদের সামাজিক কুপ্রথা আর মৌলবাদীদের ভণ্ড ফতোয়া র পাশাপাশি সামাজিক আর ধমীয় অনুশাসন গুলি হাইলাইট করা । আমাদের সংস্কৃতি হবে আমাদের মতই । মানে কিছু জিনিস রাখ ঢাক গুড় গুড় থাকাই ভাল । আমরা আমেরিকান/ইউরোপিয়ানদের ফ্রি সেক্স আমদানি করতে রাজী থাকব কিন্তু তাদের দেশপ্রেম , আইনের সুশাসন আর ভালো দিক গুলো নিব না ; এইটা প্রগতিশীলতার নামে ভণ্ডামি । এইসব ভণ্ডামি দয়া করে বন্ধ করুন ।
২) শিক্ষার প্রাথমিক স্তরেই যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত আইন সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা ফলপ্রসূ হবে। ছোট বেলা থেকেই পাঠ্য পুস্তকে শিখান ইভটিজিং ধর্ষণ করা মানুষ হত্যার মত এটি একটি জঘন্য এবং অমার্জনীয় অপরাধ । ধর্ষকরা মানসিক বিকৃতির যৌন সিফিলিস রোগী ।
৩) ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড । এবং তা পৃথক, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত সেল, মনিটরিং সেল ও চাঞ্চল্যকর মামলার আওতায় বিশেষ ট্রাইবু্যনালের ব্যবস্থা করে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করা ও রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করা। জনগণকে সচেতন করার লক্ষে বেতার ও টেলিভিশনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মাধ্যম ও প্রিন্টিং মিডিয়াতে ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি সরাসরি প্রচার এবং ধর্ষকের চিত্র বিলবোর্ডে তুলে ধরা।
৪) ধর্ষিতা দের প্রতি আমাদের ছোঁয়া যাবেনা মনোভাব বদলানোর । এটা করাও জঘন্য অপরাধ । অমানুষ নামক কুকুরের কামড়ানোর শাস্তি আমরা তাকে দিতে পারি না । এই শিক্ষাটাও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা ।
৫) পোশাক শালীন না পড়লেই তাকে ধর্ষণ করা জায়েজ -যারা এইটা ভাবেন তাদের ও মানসিক চিকিতসা প্রয়োজন ।

আমার মত করে আমি মোটা দাগে এই সমাধান গুলি বললাম ! এটাই যে একমাত্র কিংবা ঠিক সমাধান -আমি নিজেও তা মনে করিনা ।

শারমিন শামস নামে আমাদের দেশের একজন প্রিভিলাইজড সোসাইটির সাংবাদিক কাম ব্লগার - অ্যাক্টিভিস্ট বলেছেন "এবার তবে নেমে পড়ছি পুরুষাঙ্গ কর্তনে। আর কোন বিকল্প নেই। " কি সাংঘাতিক বেসম্ভব মন্তব্য রে !! আমি নিশ্চিত তিনি ঢালাওভাবে সকল পুরুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনেননি । আর এই মন্তব্য দিয়ে তিনি যে ঝড় তুলেছেন; তাই যদি উনার চাওয়া হয় তবে তাতে তিনি ১০০ % সফল । কারন আমার মত অনেকেই গুগল সার্চ দিয়ে খুঁজছেন "শারমিন শামস তুমি কে ??"

আমি পুরুষ এও বুঝিনা; বাংলাদেশে নারীবাদি আন্দলন করতে হলে সবাইকে কেন পুরুষ বিদ্বেষী এক টা তসলিমা সাজ দিতে হয় ??? নারী বনাম পুরুষ কুতকুত খেলে কি এই সমস্যার আদৌ সমাধান হবে?
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা-২০২৪

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭



ছবি সৌজন্য-https://www.tbsnews.net/bangla




ছবি- মঞ্চে তখন গান চলছে, মধু হই হই আরে বিষ খাওয়াইলা.......... চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী গান।

প্রতি বছরের মত এবার অনুষ্ঠিত হল জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা-২০২৪। গত ২৪/০৪/২৪... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

×