নিকোলাস ম্যাকিয়াভেলি বলেছিলেন ‘হাসতে হাসতে যেদিন আমি কাঁদতে শুরু করব, সেদিন অন্তত আমাকে হাসির কারণগুলো আরেকবার বোলো!’
কিছুক্ষন আগেই ও হাসছিল। দুর্দান্ত একটা প্ল্যান শেয়ার করছিল।
তারপর যখন আচমকা ফোনে শুনতে হয় “ও না আমার সাথে ব্রেকআপ করেছে”
তখন বসে থাকলে দাঁড়িয়ে পরেছিলাম না হয় দাঁড়িয়ে থাকলে বসে পরেছিলাম।
ওর কন্ঠে কান্নার সুর। কিছু অপরাধবোধ কাজ করছে। ব্রেকআপের কারন যে কিছু গোপন করা।কিন্তু
হটাৎ হটাৎই যে মানুষের জীবনে গোপন করার মত কিছু এসে যায়।যা তার নিজের নিয়ন্ত্রনে থাকে না। কিন্তু যে গোপনীয়তার জন্য ব্রেকআপ সেটা কিন্তু আসলে ঠিক গোপন করা না। বলা যেতে পারে বিস্তর অবান্তর প্রশ্নকে এড়ানোর জন্য খানিকটা সময়ের জন্য লুকানো। আরও লুকাবেই বা কি? ছেলেটিই যে ওর ডায়রী। আর ডায়রীতে ম্যক্সিমাম জিনিসই যে লেখা থাকে।তারপরও ছেলেটা অনেক রাগ করেছে। মেয়েটি কষ্ট পাচ্ছে। ফোনের পর ফোন, ম্যসেজ আফটার ম্যাসেজ কিন্তু কাজ হচ্ছে না।
শুনছি আর ভাবছি মেয়েটি কেন এত কষ্ট পাচ্ছে।ছেলেটির এত রাগই বা কেন প্রশ্রয় দিচ্ছে?
দিচ্ছে কারন মেয়েটি ইগোকে বিসর্জন দিয়েছে। ছেলেটি যেভাবে চালাতে চায় মেয়েটি সেভাবে চলতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছে। ছেলেটি জানে না, অবহেলার অভিযোগ ছাড়া আর কোন অভিযোগ ওর প্রতি মেয়েটির নেই। ছেলেটির ভাগ্য যে এ যাবত ক্লিক করছে না সেটা নিয়েও মেয়েটি ব্যথিত।
দুঃখ শেয়ারের মাধ্যমে কিছুটা হালকা হয় আবার তা অন্যকে স্পর্শও করে। আমাকেও করেছে। অনেক দিন যে ওদের দেখা হয় না। ওদের দেখা হওয়া দরকার ।
ব্যস্ত ঢাকার কোন এক নির্জন রাস্তায়।
যেদিন চাঁদ উঠবে ফুল ফুটবে আবার লোডশেদিংও থাকবে।
আর যদি ছেলেটিও মেয়েটির মত ইগোকে বিসর্জন দিতে পারে তবে কিছু না থাকলেও চলবে।
সম্পর্ক এত সহজে ছেদ হয় না। অ্যামনেশিয়া হলেও না।
মনে আছে মাধুকরী? বুদধদেব গুহ কি সুন্দর করেই না বলছেন
জীবন মানেই সুখের স্মৃতি বয়ে বেড়ানো---বেঁচে থাকা মানেই দুঃখের সাথে অজান্তে সহবাস করা---
অবিমিশ্র সুখ মানুষের ভাগ্যে কখনোই আসে না--- সুখ বাঁচিয়ে রাখতে সবচেয়ে বেশী অস্বস্তি বোধ করে মানুষ---
সন্দেহ, জ্বালা অথবা নিজেকে বঞ্চিত ভাবার যন্ত্রনা থাকে না---
কোন এক মুহুর্ত বা কিছুদিনের বুকে খুশীর সূচীকর্ম সারাজীবন টাঙ্গিয়ে রাখার নাম জীবন, মানুষ তাতেই অভ্যস্ত।