একটি ‘ফেরারী এনজো’ সেকেন্ডে প্রায় ৮ মিটার গতি তুলতে পারে। আর একটি চিতা তুলতে পারে সেকেন্ডে প্রায় ১০ মিটার। প্রথম তিন লাফে এর গতি উঠে যায় ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার এর বেশি! এর বিশেষভাবে তৈরি দেহ নিয়ে এটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ প্রায় ১১২ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে সক্ষম যা সত্যি অবাক করার মত। স্থলচর প্রানীদের মধ্যে চিতা সবচেয়ে বেশি দ্রুতগতি সম্পন্ন। খুব দ্রুত দৌড়াতে পারলেও এটি একটানা খুব বেশি দৌড়াতে পারে না। আর তাই শিকার ধরার ক্ষেত্রে দ্রুতগতিই এর ভরসা। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগতে পারে, চিতা কি কারনে এত দ্রুত দৌড়াতে পারে।
চিতা বিড়াল গোষ্ঠির প্রানী। এটি দেখতে অনেকটা লেপার্ড এর মত তবে আকৃতিতে ছোট। চিতা সাধারনত দৈর্ঘ্যে ৪ ফিট এবং উচ্চতায় ৩ ফিট এর মত হয়। এর লম্বা লেজটি দ্রুত দৌড়ানোর সময় গতি নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে। যে কোন প্রানী যেটি তিন লাফে ৬০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে, তার দেহ অবশ্যই এর জন্য বিশেষায়িত। চিতার ওজন হয় সাধারনত ১২৫ পাউন্ড যা বিড়াল গোষ্ঠীর অন্যান্য শিকারী প্রানী থেকে অনেক কম। এর দেহের আকৃতি ‘এরোডায়নামিক’। অর্থাৎ চোটার সময় এটিকে খুব একটা বাতাসের বাধায় পড়তে হয় না। ‘এরোডায়নামিক’ আকৃতি এর উদাহরন হিসেবে বলা যায় উড়োজাহাজ। এর পাতলা শরীর, ছোট মাথা এবং চিকন লম্বা পা বাতাসের দ্বারা খুব একটা বাধাপ্রাপ্ত হয় না।
চিতার চোখগুলোও একটু চওড়া হয় যাতে এটি দ্রুতগতিতে দৌড়ানোর সময় চারপাশের দৃশ্যপট এটির দৃষ্টিসীমায় থাকে। দ্রুত দৌড়ানোর সময় শরীরে প্রচুর রক্ত পাম্প করার জন্য চিতার রয়েছে একটি শক্তিশালী হৃদপিন্ড। এর বড় আকৃতির ফুসফুস বেশি বাতাস ধারন করতে পারে যা দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয়। এর লম্বা লেজটি দৌড়ানোর সময় দিক নিয়ন্ত্রন এবং ওজনের ভারসাম্য রক্ষা করে। ফলে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে দৌড়ানোর সময় এর শরীর ঘুরে যায় না বা নিয়ন্ত্রন হারায় না।
দ্রুত দৌড়াতে পারলেও এটি খুব বেশিক্ষন ছুটতে পারে না। সর্বোচ্চ গতিতে এটি প্রায় ৩০ সেকেন্ড এর মত দৌড়াতে পারে। এরপর এর শরীর এতটাই গরম এবং ক্লান্ত হয়ে যায় যে, এটিকে কিছুক্ষন বিস্রাম করতে হয় আগের অবস্থায় ফিরে আসার জন্য। অনেক সময় এটি শিকার ধরার পর সাথে সাথে খেতে পারে না ক্লান্তির জন্য। আর তখন সিংহ বা এ জাতীয় বড় শীকারি প্রানি এসে এদের শিকার নিয়ে যায়। আর স্বভাবত সিংহের সাথে লড়াই করার ক্ষমতা চিতার নেই। মূলত দ্রুত দৌড়ানো ছাড়া চিতার আর কোন বিশেষ গুন নেই। এটি মোটেও শক্তিশালী নয় এবং শিকার নিয়ে অন্য প্রানীর সাথে মারামারির চাইতে পালিয়ে যেতেই পছন্দ করে। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় এটি গাছে চড়ে শিংহ জাতীয় প্রানী থেকে রক্ষা পায়। যদিও বলা হয় চিতা একমাত্র বিড়াল গোষ্টীর প্রানী যেটি গাছে চড়তে পারে না। কারন এর পায়ের তালু বিড়ালের মত নয় বরং অনেকটা কুকুর এর মত। তবে ঠেকায় পড়লে বাঘেও ঘাস খায় প্রবাদের মত চিতাও ঠেকায় পড়লে গাছে ওঠে। তবে গাছে চড়ার ক্ষেত্রে ওস্তাদ ‘লেপার্ড’ এর সংগে চিতার গাছে চড়াকে কোনভাবেই তুলনা করা যাবে না। লেপার্ড নিজে তো গাছে উঠেই অনেক সময় বড় আকৃতির শিকার নিয়েও গাছে উঠে যায় যাতে সিংহের মত অলস শিকারিরা তার শিকার ছিনিয়ে নিতে না পারে
পূর্ব প্রকাশিতঃ বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডট কম
আলোচিত ব্লগ
জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না
নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা
সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়
সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।
হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন
আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই
সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন