somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পুরুষ পরিচয় নিয়ে বেশ লজ্জা হচ্ছিল আজ

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছেলে বা পুরুষ পরিচয় নিয়ে মাত্র ১৩/১৪ বছরের একটি মেয়ের সামনে দাড়াতে বেশ লজ্জা পাচ্ছিলাম আজ। গতকাল ২১ ডিসেম্বর সকালে মেয়েটি সম্পর্কে প্রথম জানতে পারি আমি। নাম প্রজাপ্রতি (ছদ্দ নাম)। শুক্রবার (২০ডিসেম্বর)দিবা গত রাতে পুরুষ নামের নর পশুদের পাশবিক নির্যাতনের স্বিকার মেয়েটি।

সে দিন রাত শোয়া দুইটার দিকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে আনা হয় মেয়েটি কে। জ্ঞান শুন্য অবস্থায় বাড়ির পাসের একটি স্থান থেকে উদ্ধারের পর ধর্ষনের বিষয় টি নিশ্চিত হয়ে পরিবারের সদস্যরা নিয়ে আসে বাগেরহাট সদর হাসপাতলে। এখনও এখানেই চিকিৎসাধীন মেয়েটি।
মেয়েটির সম্পার্কে গতকাল প্রথম জানতে পারি বগেরহাট ইনফোর হাসপাতাল করেসপন্ডেন্ট রতন দাদার কাছ থেকে। তিনিই আজ সন্ধায় অনুরোধ করেন মেয়েটিকে দেখতে যাবার জন্য। এর মাঝে তার বাবার সাথেও কথা হয়েছে বেশ কয়েক বার। গতকালই কথা হয় স্থানীয় থানার ওসির সাথেও। গতকাল সারা দিন কম বেশি চেষ্টা করেও কোন কি ছুই পুরো পুরি জানতে পারি না। এক পর্যায় মেয়েটির বাবার সাথে কথা বলতে বলতে মনে হয়েছে তিনিই বোধ হয় প্রভাবিত। কিন্তু আমর কাছে বিষয়টির পরিস্কার হয় আজ সন্ধায়।

হঠাৎ একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন। পরিচয় দিলেন গতকাল ভাই আপনার সাথে কথা হয়েছিল। আপনি ফোন দিয়ে ছিলেন চিনছেন। ... স্থান থেকে। চিনতে পারলাম প্রজাপ্রতির বাবা। জানতে চাইলাম থানায় মামলা করছেন কি না। কান্না ভেজা কন্ঠে জবার না। কি বরবো ভাই বলেন। আসতে আসতে বললেন অনেক কথা। জানালেন অসহায়ত্বের কথা। জানালেন অভাবের কথা। প্রভাব আর টাকার কথা। বললেন মামলা করলে ভিটে-মাটি ছাড়া হতে পারি। মামলা চালাব কি করে। আর মামলা করলে পুলিশ টাকা খেয়ে ছেড়ে দিবে।
আপনারা কি সাহায্য করবেন!

নিজেকে অনেক ছোট মনে হচ্ছিল তখন। একটিু পরে জানাব বলে ফোন রেখে কয়েক জনের সাথে কথা বলি। কথা হয় এটি এনজিও চাকুরিরত এক আইন জীবির সাথেও। এর পর একটু সহস নিয়ে জেলা সদরে চলে আসতে বলি প্রজাপ্রতির বাবাকে। বলি মামলা করতে হবে। এর পর জনতে পরি তাদের বাসায় স্থানীয় চেয়ারম্যান চলে এসেছে। আর কথা বলতে পরিনা। তার পর ফোন ধরা বন্ধ তার।

এর মাঝে রতন দার ফোনে হাসপাতালগামী। পুর পথ ধরে পুরুষ বা ছেলে হবার লজ্জা নিয়ে হাসপাতালের দিকে ...। গেট থেকে দাদাকে নিয়ে সোজা মেয়েটির কাছে। হাসপাতালের বেডে প্রজাপ্রতির সামনে দাড়াতেই কেমন যেন লাগছিল। তাই মাথার পেছনে দাড়াই। খানিক খন পর দেখি মেয়টি লজ্জা আর ভয় নিয়ে আমার দিকে তাকাল। সত্যি নিজের পুরুষ পরিচয় নিয়ে লজ্জা লাগছিল তখন।

কথা হয় মেয়েটির সাথে, কথা হয় তার দাদির সাথে। তিনি জানান পুর ঘটনা। এক পর্যায় কেঁদে ফেলার উপক্রম।
গতকালই জেনে ছিলাম ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। তাই চেষ্টা করলাম সে দিকটা খোঁজ নেবার। একটু আগাম জানার সুযোগ হয় সে রিপোর্ট সম্পর্কে। জানতে পারি রিপোর্ট পজেটিভ না হবার সম্ভাবনার কথা। বুঝলাম মেয়ের পিতার ধারনাই ঠিক। আরও একটু নিশ্চিত হবার জন্য একান্তে কথা বলতে চাই মেয়েটির সাথে। এবং পরে দাদির সাথে।

কথা বলে নিজের মতোন নিশ্চত হই ধর্ষনের ব্যাপারে। তবে রিপোর্ট। ফোন দিতে থাকি তার পিতাকে । কিন্তু আর ফোন রিসিভ করে না তিনি।
অনেক পরে ফোন ধরেন, জানান তিনি এখন থানায়, মামলা করছেন, সাথে আছেন চেয়ারম্যান। জানিনা কি মামলা করছেন?

তবে আগামী কাল দেখা করবেন বলে জানান। জানি না কি করতে পারব। কিন্তু এটা মানা যায় না। এভাবে ধর্ষিত হবে একটি মেয়ে কিন্তু বিচার হবে না।

সুযোগ থাকলে দয়া করে মেয়েটি পাসে দাড়ান.....
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪০
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×