নির্বাচন !
আমর কাছে এখন নির্বাচন মানে অনিয়মই নিয়ম বনে যাওয়া খুব স্বাভাবিক এক ঘটনা।
জন্মের পর থেকে জাতীয়, উপজেলা, পৌরসভা মিলিয়ে বেক কয়েক টি নির্বাচন দেখার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু কোন বার_ই ভোটার হিসাবে বা নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের মত দায়িত্ব নিয়ে সে সুযোগ আসে নি আমার জন্য।
যদিও চলতি বছরের প্রথমে আমার জীবনের প্রথম ভোটাধিকার প্রযোগের কথা / সুযোগ পাবার কথা ছিল। কিন্তু ৫ জানুয়ারি বহু বিতকৃত এক তরফা নির্বাচনের কারনে বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনে এক প্রার্থীর বিপরীতে ছিলনা প্রতিদ্বন্দ্বি। তাই সে সুযোগ পাবার সৌভাগ্য হয়নি।
কিন্তু তাই বলে ভোটের সংবাদ সংগ্রহ থেকে বঞ্চিত হতে হয় নি। করণ এক মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট-৪) থেকেই এক দলের প্রার্থী হয়েছিলেন ৩ জন।
ভোটের সংবাদ সংগ্রহের প্রথম অভিজ্ঞতার এর করো এমন কিনা জানি না। কেন্দ্র কেন্দ্র ঘুরে কোথাও ভোটারের দেখা না মিললেও ভুতের ভোটে ব্যালট বক্স ভরছিল অনেক স্থানে।
অবস্য এমন দৃশ্য দেখবার প্রতাশাই ছিল প্রথম থেকে। করণ টা সম্ভাবত ২০১৩ তে বর্তমান এবং তৎকালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাগেরহাট আগমনের আগে টের পেয়ে ছিলাম। তাই তো সে সময় এই (Click This Link) ছবিটা আমর ফেসবুকে দিয়ে ছিলা।
তবে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে না পারলেও ভোট প্রদানে সুযোগ এসে ছিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। ৪র্থ উপজেলা নির্বাচনের প্র্রথম ধাবে বাগেরহাটের কোন উপজেলাই ছিলনা নির্বাচন।
২য় ধাবে অনুষ্ঠিত হয় কচুয়া এবং ফকিরহাট উপজেলার নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় নিয়ম বনে যাওয়া অনিয়মের মুখো মুখি হই এবারও... দেখ তে হয় ভোটার দের মার পিট/ সহ অনে দুক্ষ জনক ঘটনাই। এমনি চোখের সামনে রক্তাত্ত হতেও দেখতে হয় কোন প্রার্থীর সমর্থককে।
এর পরের ধাপে ভোট প্রদানের মতন বড় সুযোগ আসে আমর জীবনে। এদফার (চতর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে) জেলা ৫ উজেলায় অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন।
কিন্তু নির্বাচনের আগে থেকেই শুরু হওয়া সেই নিয়ম হয়ে ওঠা অনিয়মের কারনে আগের রাতেই মনে মনে সিদ্ধান্ত নেই এমন নির্বাচনে বিরত থাক ভোট প্রদান থেকে। যদিও জানতাম তাদে কোনই লাভ নেই কারন। আমার না দেওয়া ভোট আর না দেওয়া থাকবেনা। কেউ না কেউ ঠিক দিযে দিবে। হয়ও ঠিক তেমটাই।
নির্বচনের প্রথম ঘন্টাই শুনতে এবং দেখতে হয় শুধু মাত্র বোকা পরে এবং না দেখিয়ে ভোট প্রদানের অপরাধে মহিলা ভোটার দের মার ধরে দৃশ্য। আমর বয়সি কোন এক ভোটারের জীবনের প্রথম ভোট প্রদান করতে এসে মারধরের শিকার হতে দেখি। এমকি ইট দিয়ে থেতলে দেবার চেষ্টও হয় তখন। ভোট গ্রহণ শুরু হবার এক ঘন্টা ২০ মিনিটের মধ্যেই কানে আসে নির্বাচনী সহিসতায় সদর উপজেলায় মৃত্যুর ঘটনার।
এমন নানা তিক্ত অভিজ্ঞতাতে সমৃদ্ধ হতে থাকি আমি। পাশাপাশি শুরু করি সব কিছু শয়ে নেওয়া আর মেনে নেবার মানুষিকতা তৈরীতে নিজেকে নিয়জিত করবার চেষ্টা।
আর তার ই শেষ ধাপে চতুর্থ দফা নির্বাচনের (৫ম ধাপে বাগেরহাট কোন নির্বাচন নেই/ সব উপজেলার নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে) সংবাদ সংগ্রহে গত কাল গিছে ছিলাম মোল্লাহাট এবং চিতলমারী উপজেলায়। তুলনা মুলক অনান্য উপজেলা থেকে দৃশ্যমান অনিয়মের পরিমান কম হলেও সেই চাপা আতঙ্ক আর নানা বিধ হুমকি ধামকি বা চাপের কোনাই কমতি চিলা এখানেও।
একদম কিছুনা বলে আলসে কথা গুলোর দু:খ মাখা ভার শইতে পারছিলাম না। ক্ষমা করবেন আমার দেশ বিরধী চক্রান্ত মূলক আর গনতন্ত্র ধ্বাংস করার উদ্যেশ সম্বলিত কথা গুলোর জন্য।
তবুও সামান্য প্রমান না দিলেই বুঝি নয়। তাই ২৩মার্চ বাগেরহাটের মোল্লারহাট উপজেলা নির্বাচনে ড. মুনসুর আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে থেকে আমার মুঠোফোনে ধারণকৃত চিত্রের এই ছোট্ট অংশ আপনাদের জন্য। যদিও এমন চিত্র
ধারনের পর এক প্রকার ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে আসে হয় সেখান থেকে....
http://youtu.be/JDJ8IfY-teg