লাকসামে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা ছাত্র শিবিরের লাকসাম শহর শাখার সাবেক সভাপতি মো. সহিদ উল্লাহর হাত ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। তাঁদের অতর্কিত হামলায় শিবিরের কুমিল্লা জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীনসহ আরও আট নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। সোমবার উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের দামবাহার গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চৌদ্দগ্রামে জামায়াত নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে ওইদিন সকালে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা জামায়াতের ডাকা অর্ধদিবস হরতালের সময় পিকেটিং ও এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল শেষে শিবিরের কয়েকজন নেতা-কর্মী উপজেলার আজগরা ইউপির দামবাহার গ্রামে শিবিরের সাবেক সভাপতি সোহেল মাহমুদের বাড়ি যান। ওই সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ২৫ থেকে ৩০ জন নেতা-কর্মী ওই বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর এবং শিবিরের নেতাদের বেধড়ক মারধর করে। এতে ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মীসহ নয়জন আহত হয়।
আহতরা হলো-শিবিরের লাকসাম উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি সোহেল মাহমুদ, শহর শাখার সভাপতি সাবেক সভাপতি সহিদ উল্লাহ, বর্তমান সভাপতি মাঈন উদ্দিন মজুমদার, সেক্রেটারী সাহাদাত হোসাইন, শিবিরকর্মী আনোয়ার হোসেন, মাইন উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, জামায়াত নেতা সাহাবুদ্দিন হায়দার।
আহতদের প্রথমে নাঙ্গলকোট এবং পরে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত মো. সহিদ উল্লাহর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
সংবাদ পেয়ে লাকসাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা সটকে পড়ে।
শিবিরের সাবেক সভাপতি সোহেল মাহমুদ জানান, ওইদিন দুপুরে তিনি বাড়িতে কাজ করছিলেন। ওই সময় তাঁর বন্ধু মাইন উদ্দিনসহ ছাত্র শিবিরের আটজন নেতা তাঁর বাড়ি আসেন। তিনি তাঁদেরকে আপ্যায়ন করছিলেন। এ সময় হঠাৎ কয়েকটি মোটর সাইকেল যোগে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের ২৫-৩০ জন নেতা-কর্মী এসে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাঁর ঘর ও আসবাবপত্র ভাংচুর এবং শিবিরের নেতাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। তাঁরা ছাত্র শিবিরের লাকসাম শহর শাখার সাবেক সভাপতি মুহা.সহিদ উল্লাহর হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় এবং মাথা কুপিয়ে জখম করে।
তাঁর অভিযোগ, আজগরা ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি মো. রুহুল আমিন, লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সুমন এবং সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম স্বজল’র নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়।
আজগরা ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি মো. রুহুল আমিন, লাকসাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া সুমন এবং সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম স্বজল’র মুঠোফোনে এ ব্যাপারে জানতে একাধিবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন খাঁন জানান, সামান্য মারামারির ঘটনা শোনেছি। তবে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




