বৃষ্টি নিয়ে প্রায় প্রতিটি বাঙ্গালীই একটা রোমান্টিসিজম এ ভূগে, আমিও এর বাইরে নই। বর্ষার প্রথম বৃষ্টি নেমেছে আর সেই বৃষ্টিতে ভিজি নাই এমন নজির খুব কমই ঘটেছে আমার জীবনে। হয়ত রাতের বেলায় নেমেছে প্রথম ঝুম বৃষ্টি, আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখছি সেই বৃষ্টি ধারা, বাবা এসে বললো কিরে ভিজতে বার হবি না? কারন সে জানত আমার বৃষ্টি প্রীতির কথা। আর তখনি বের হয়ে যেতাম আমার এক চির বৃষ্টিতে ভেজার সঙ্গীর বাসায়, আর তার মা অবাক দৃষ্টিতে দেখত আর ভাবতো এগুলো মানুষ হবে কবে? মানুষ হয়েছি কিনা বলতে পারবোনা তবে অমানুষ যে হই নাই সেটা বলতে পারি। এরকম আরো অনেক টুকরো টুকরো স্মৃতি আছে, কোনটা ছেড়ে কোনটা বলি............
ভার্সিটি থেকে ফেরার পথে একবার ভিজেছিলাম দারুন উপায়ে! বৃষ্টি পড়ছে রিক্সায় করে বাসায় যাব, বন্ধুটি ভিজতে চাইছে না। কিন্তু আমার মন চাইছে ভিজতে দারুন ভাবে। বুদ্ধি বাতলিয়ে বললাম ঠিক আছে, রেক্সিনের পর্দা নিতে পারি কিন্তু আমি যে মেয়েদের সাথে হুঠ তুলে রিক্সায় যাইনা, অগত্যা রেক্সিনের পর্দা নিয়ে হুঠ খোলা রিক্সায় ভিজতে ভিজতে কিক্সা ভ্রমণ, আহা কি সেই দিন গুলি...............
আরেক বার মোকাররম ভবন থেকে আমরা দুই বন্ধু বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে এনেক্স ভবনের দিকে যাচ্ছি, সাথের বান্ধবীকে বললাম তোর আর আমদের সাথে বের হওয়ার দরকার নেই, সব্বাই হা করে তাকিয়ে থাকবে, তারচেয়ে বরং তুই এইখানেই থাক। কিন্তু বৃষ্টি ভেজা যে একটা সংক্রামক রোগ, এইটা সেইদিন হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। কিছুক্ষন পরেই দেখি আমাদের পিছু পিছু সেও দৌড়াচ্ছে আর সব্বাই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে আর হাসছে। জানতে চাইলাম কিরে অমন করে পিছু নিলি কেন? বন্ধুর সোজা উওরঃ তোদের অমন মজা করে ভিজতে দেখে আমিও আর এইখানে দেড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না............
“দিনগুলো মোর সোনার খাঁচায় রইলোনা, সেই যে আমার নানা রঙ্গের দিনগুলি” .........।এখন আর চাইলেও বৃষ্টিতে ভেজা হয়ে উঠে না, সময় আর সুযোগের অভাব। আর তাছাড়া রয়েছে সেল ফোনের ঝামেলা। নাগরিক জীবনের এত হ্যাপার মাঝে আর সেই পুরোনো রোগ এখন আর নেই। পুরোদস্তুর ভাল মানুষ।
কিন্তু ভাবতে ভালই লাগে হয়তো কোন একদিন কেউ এসে আমাকে আবার সেই পুরোনো রোগের সাথে পরিচিত করে দিবে। বর্ষার প্রথম ঝুম বৃষ্টিতে ভেজবার আকুতি থাকবে। আমি আবার ভিজতে চাই সেই বৃষ্টিতে আর সেই দৃষ্টিতে!!!!!
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।