প্রতিটি ধর্মগ্রন্থেই আত্মহত্যাকে সীমা সংঘন হিসাবে গণ্য করা হয় কিন্তু তারপরও কেন মানুষ আত্মহত্যা করে? মনোবিজ্ঞানীরা আত্মহত্যার জন্য বেশ কিছু জিনিসের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন।
বিষন্নতা, মানসিক চাপ, ভয়হীনতা ও নির্দিষ্ট জিনকে আত্মহত্যার কারণ হিসাবে দাঁড় করিয়েছেন।
বিষন্নতা- আত্মহত্যার প্রাধান কারণটি হলো এই বিষন্নতা। প্রতিবছর ১০ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করে আরো প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করে! আর এর ভিতর ৮৫ শতাংশই বিষন্নতায় ভোগে। বিষন্নতা মানুষকে জীবনের প্রতি আগ্রহ নষ্ট করে দেয়।
মানসিক চাপ—বিষন্নতা ছাড়া আর যে ব্যাপার মানুষের এই চরম সিধান্তের জন্য দায়ী তা হলো মানসিক চাপ। পুরানো কোন দুঃসহ স্মৃতি অথবা বিভিন্ন চাপ দুঃখ মানুষকে মানসিকভাবে দূর্বল করে ফেলে যা থেকে মুক্তি পেতে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
জিন কি দায়ী আত্মহত্যার জন্য?
মানুষের বিভিন্ন বৈশিষ্টের ধারক বাহক হলো জিন। জন হপকিন্স এর একদল বিজ্ঞানী মানুষের আত্মহত্যার প্রবণতার জন্য জিনকে দায়ী করেন। তাদের গবেষণায় তারা লক্ষ্য করেন নির্দিষ্ট জিন মানুষের এই প্রবণতাকে প্রভাবিত করে। তাই যে মানসিক চাপে এখন অটল থাকে সেই একই চাপে অন্য আরেকজন ভেঙ্গে পড়েন। যা বিষন্নতা ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশের ২ নং ক্রোমোসোমের এই জিনটা কার্যকর ছিল।
ভয়হীনতা—আত্মহত্যার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হলো এই ভয়হীনতা। মনোবিজ্ঞানী কনেস্কি বলেন “স্বভাবগতভাবেই মানুষ শারিরীক যন্ত্রণার মুখোমুখি হতে ভয় পায়। মৃত্যু হলো চরম এক যন্ত্রণা। যারা বিশ্বাস করতে শুরু করে তারা অল্প সময়ের মৃত্যু যন্ত্রণার মাধ্যমে তাদের হতাশা কষ্ট মুছে ফেলতে পারবে তারাই এই পথ বেছে নেয়।
বেশির ভাগ মানুষই পরিকল্পনা করে আত্মহত্যা। অল্প কিছু মানুষ মুহূর্তের আবেগে এই পথ বেছে নেয়। এছাড়া আর টুকিটাকি কিছু কারণ যেমন দারিদ্রতা, ক্ষোভ-রাগ, সিজোফ্রেনিয়া, নেশাকে আত্মহত্যার জন্য দায়ী করেন।
সত্যিকথা বলতে কি আত্মহত্যা কোনো সমাধান না। বেঁচে থাকলে মানুষ অনেক সুযোগ পায় কিন্তু আত্মহত্যা এই সুযোগটাকে নষ্ট করে দেয়।
www.irfanbd.com