somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি। একটি পরিমাপকৃত হিসাব। যা বায়ুমন্ডল ধরে রাখে। এই সুক্ষ সমন্ময়ই বলে দেয় মহাবিশ্ব একটি পরিকল্পিত সৃষ্টি!

১৩ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



Geologist- গন একটি গবেষনায় প্রমান করেছেন যে পৃথিবীর অভ্যন্তরে রয়েছে অত্যধিক ভারী বস্তুতে পরিপূর্ন যেমন নিকেল, লৌহ আর অনেক ধরনের যৌগিক ওজনদার বস্তু। গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণ পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগের কেন্দ্রের নিকেল, লৌহ ভারী বস্তু। আকর্ষণ বল অতীব শক্তিশালী হবার অন্যতম কারন হলো পৃথীবির আভ্যন্তরীক বস্তুগুলো ওজন। ওজন যত ভারী হবে আর্কষন ক্ষমতা ততোধিক শক্তিশালী ও প্রবলতর হবে।ওজন যত কম হবে আকর্সন তত কম হবে। তাদের গবেষনালব্ধ ফলাফল আমাদের বলে- আমরা যত মাটির নিচে নামছি ওজন তত বাড়ছে, বর্তমানে অতি কঠিন সব টেকনোলজী আমাদের নাগালে দিন দিন সহজলভ্য বিজ্ঞানীগন পৃথিবীর গভীরে এক ধরনের ভারী তরল পদার্থ পেয়েছেন যা সেখানে অবিরত পাক খেয়ে স্থান পরিবর্তন করে চলছে। অভ্যন্তরে তার এই চলাচলটা একটা পথে পরিণত হয়েছে, যাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলা হয় Magnetic running root অথবা চুম্বকপথ ।আর পৃথিবীর এই অাকর্ষন শক্তির যথাযথ অনুপাতের কারনে পৃথিবীর বুকে আমাদের প্রাণিী জগত টিকে আছে এবং বায়ুমন্ডলের এই জটিল কম্পোজিশনটাও এই পৃথিবীর চুম্বকত্ব শক্তির কারনে।

পিয় পাঠক একবার গভীর ভাবে ভাবুন তো পৃথিবীর যে ম্যাগনেটিক ফিল্ড আছে সেই ফিল্ড এর চুম্বকত্ব শক্তি যদি যথাযথ ও পরিমাপকৃত না হতো তবে কি আমরা মানুষেরা স্বাচ্ছন্দ্যময় ভাবে পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারতাম। আধুনিক বিজ্ঞানের গননা মতে পৃথিবীর ম্ধ্যাকর্ষন শক্তির উপর ডিপেন্ড করে মহাজাগতিক এবং প্রাণময় হিসেব। এই মধ্যাকর্ষন শক্তির পরিমান নির্ধারিত হয়েছে পৃথিবীর অভ্যান্তরন্থ কঠিন পর্দাথের অনুপাতের উপর। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি যদি নির্ধারিত ধ্রুবকের চেয়ে ০.১% বেশি হতো তবে অত্যাধিক মধ্যাকর্ষন এর চাপের কারনে পৃথিবীর বুকে কোন ভাবেই বায়ুমন্ডল সৃষ্টি হওয়া সম্ভব হতো না আবার যদি পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি যদি নির্ধারিত ধ্রুবকের চেয়ে ০.১% কম হতো তবে পৃথিবীকে ঘিরে বায়ুমন্ডলের বলয় তৈরী না হয়ে বরং তা মহাশুন্যে উড়ে হারিয়ে যেতো। ফলে বায়য়ুমন্ডলের এই অভাবে পৃথিবীর বুকে কখনই ঘটতো না কার্বন ভিত্তিক নান্দনিক প্রাণের মহাযাত্রা। শুধুমাত্র যথাযথ মধ্যাকর্ষন শক্তির কারনে প্রকৃথি নির্মান করতে পেরেছি বার্যমন্ডলের এমন একটি মহান কম্পোজিশন সাজানো প্যাটান ।

পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় এই পৃথিবীর বায়ুমন্ডল। পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ ভাগ বা এর কেন্দ্রের (আইরন কোর) চুম্¦ক ক্ষেত্র তৈরীতে গুরুত্বর্র্পূণ ভূমীকা রাখে। এই চুম্বক ক্ষেত্রটি পৃথিবীর কেন্দ্রের চুম্বকীয় ধাতু লোহা নিকেল দ্বারা সৃষ্টি হয়। এই Iron Core টির দুটি অংশ আছে Outer Core এবং Inner Core । ইনার কোর কঠিন পর্দাথ দ্বারা তৈরী এবং Outer Core তরল পদার্থ। এ দুটি লেয়ার পরস্পর বিপরীত দিকে ঘুরতে থাকে এবং তাদের এই ঘুর্ননের কারনে ভূচুম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরী হয়। আধুনিক বিজ্ঞানের প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে আমরা জানতে পেরেছি The Van Allan Belt পৃথিবী রক্ষাকারী দূর্গ হিসেবে কাজ করে। এই বুহ্য মহাবিশ্ব থেকে আসা সূর্য এবং অন্যান্য নক্ষত্র থেকে আসা ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করে। এই The Van Allan Belt মহাবিশ্ব থেকে আসা মাত্র ০.১ % রেডিয়েশন পৃথিবীতে প্রবেশ করতে দেয় এবং বাকী অংশ রেডিয়েশন তা মহাশুল্যে ফেরত পাঠায়। গামা রে, এক্স রে সহ এমন ভয়াবহ ক্ষতিকর রেডিয়েশন যদি ফেরত না পাঠাতো তবে এই পৃথিবীতে প্রাণীকুল এর আর্বিভাব কোনভাবেই সম্ভব হতো না। The Van Allan Belt নামক এই প্রানীকূল রক্ষাকারী বুহ্যটি পৃথিবী হতে ১০০০ কি:মি: পর্যন্ত বিস্তুত যা এই চুম্বকীয় ক্ষেত্র বায়ুমন্ডলের স্তরকে ধরে রাখে এবং মহাজাগতিক কসমিক রেডিয়েশন হতে পৃথিবীকে প্রাণীকুল এবং বৃক্ষজগতকে রক্ষা করে। পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ ভাগ সুষম তাপীয় ইঞ্জিন ব্যবস্থা Radioactivity দ্বারা পরিচালিত। যদি এই তাপীয় ব্যবস্থা কিছুটা ধীর গতিতে চলতো তবে কোনভাবেই Inner Core সৃষ্টি হতো না। আর যদি এই তাপীয় ব্যবস্থা কিছুটা দ্রুতগতিতে হতো তবে এই পৃথিবীতে প্রতিদিন ভূমীকম্প ও অগ্নুপাত হতো। এবং প্রতিদিনের ভূমীকম্পের ফলে পৃথিবীতে প্রাণীকুলের টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে উঠতো। প্রাণীকূলের বিনাশ ঘটতো।


বিশিষ্ট বিজ্ঞানী Hugh Ross তার একটি গবেষনাপত্রে পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড সম্পকে Earth, an Extraordinary Magnet for Life প্রবন্ধে বলেন-Earth’s magnetosphere deflects charged particles in the solar wind away from Earth (see figure 1). It also acts as a protective bubble shielding life on Earth from both deadly solar and cosmic radiation.


Figure 1: Earth’s Magnetosphere. Exposure to deadly radiation occurs beyond the outer red lines. Image credit: NASA
Earth’s magnetosphere not only protects Earth’s life from deadly radiation, but also prevents solar particles from sputtering away much of Earth’s atmosphere. It is particularly critical for maintaining liquid water on Earth’s surface. Without that liquid water, life cannot survive on Earth.


আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তিতে অনুমিত যে পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ কঠিন পর্দাথ ডিপেন্ড করে পৃথিবীর আয়তনের উপর। প্ৃথিবীর চুম্বকত্ব যেমন সঠিক এবং যথাযথ ঠিক তেমনি পৃথিবীর সঠিক আয়তনই পৃথিবীর সঠিক মধ্যাকর্ষন সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীর আয়তনও একটি সুক্ষসমন্ময়কৃত বিষয়। আমেরিকান ভূতত্ত্ববিদ ফ্রাংক প্রেস এবং সিলভার তাদের গবেষনার মাধ্যমে প্রাপ্ত ডাটার উপর ভিত্তি করে বলেন “পৃথিবীর আয়তন একে জীবনধারনের উপযোগী করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যদি পৃথিবীর আয়তন কিছুটা কম হতো তবে এটি এর বর্তমান বাযূমন্ডল ধরে রাখতে পারত না। কারন এর অভিকর্ষীয় শক্তি গ্যাস সমূহকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট হতো না। আবার যদি এর ভর কিছুটা বেশি হতো তবে এর শক্তিশালী অভিকর্ষীয় আকর্ষন শক্তির দ্বারা এটি বেশি পরিমান গ্যাস (ক্ষতিকর গ্যাস সমূহ) বায়ুমন্ডলে ধারণ করত। পৃথিবীর আকৃতি এবং অভ্যন্তরের পদার্থ সমহের উপরও প্রাণীকুলের অস্তিত্ব নির্ভরশীল। এইগুলো যদি এক বিন্দু এদিক ওদিক হতো তাহলে কোনভাবেই এ পৃথিবীতেই প্রানিকুলের আবির্ভাব ঘটতো না।


প্রিয় পাঠক এই মহাবিশ্বের এমন কিছু কিছু বিষয়বস্তু রয়েছে যার প্যারামিটার এক চুল পরিমান এদিক ওদিক হলে সব এলো মেলো হয়ে যেতো। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী স্টিভেন ওয়েনবাগ “Scientific American”, ম্যাগাজিনের একটি সাক্ষাতকারে বলেন-how surprising it is that the laws of nature and the initial conditions of the universe should allow for the existence of beings who could observe it. Life as we know it would be impossible if any one of several physical quantities had slightly different values. আধুনিক বিজ্ঞানিদের ফাইন টিউনিং আগুমেন্ট আমাদেরকে নতুন করে ভাবতে শেখাচ্ছে।আসলে এই মহাবিশ্বটি সুক্ষসমন্ময়কৃত। প্রৃতিটি বিষয় একটি সুক্ষ পরিমাপ লক্ষ্য করা যায়। আর এই সুক্ষ পরিমাপই প্রমান করে যে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির পুর্বে ব্যপক ভাবনা চিন্তা করেই সৃষ্টি করা হয়েঠিলো । সৃষ্টির পূর্বেই করা হয়েছিলো একটি ডিজাইন একটি পরিকল্পনা।হঠাৎ হয়ে গেছে বলে যারা এই রহস্যময় ফাইন টিউনড ইউনিভার্স হাইপোথিসিস গুলো বিরোধীতা করে আসছেন তারা কোন ভাবেই প্রমান করতে পারছেন না এতগুলো প্যারামিটার রহস্যজনক ভাবে মিলে যায় কিভাবে? আধুনিক বিজ্ঞান কসমোলজিক্যাল বিভিন্ন বিষয়বস্থু তুলে ধরেছে যেই বিষয় গুলোর প্যারামিটার একটি এদিক ওদিক হলে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতো না অথবা মহাবিশ্ব সৃষ্টি হলেও হয়তো মানুষ সৃষ্টি হতো না। এবাং বিজ্ঞানীগন এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি তালিকাও তৈরী করা করেছেন। সেই নির্দীষ্ট বিষয় বস্তুগুলো। JAY W. RICHARDS এর একটি গবেষনা পত্র থেকে আমি নিম্নে উল্লেখ করলাম সেই তালিকা - Cosmic Constants (1) Gravitational force constant (2) Electromagnetic force constant (3) Strong nuclear force constant (4) Weak nuclear force constant (5) Cosmological constant Initial Conditions and “Brute Facts” (6) Initial distribution of mass energy (7) Ratio of masses for protons and electrons (8) Velocity of light (9) Mass excess of neutron over proton “Local” Planetary Conditions 285 (10) Steady plate tectonics with right kind of geological interior (11) Right amount of water in crust (12) Large moon with right rotation period (13) Proper concentration of sulfur (14) Right planetary mass (15) Near inner edge of circumstellar habitable zone (16) Low-eccentricity orbit outside spin-orbit and giant planet resonances (17) A few, large Jupiter-mass planetary neighbors in large circular orbits (18) Outside spiral arm of galaxy (19) Near co-rotation circle of galaxy, in circular orbit around galactic center (20) Within the galactic habitable zone (21) During the cosmic habitable age Effects of Primary Fine-Tuning Parameters (22) The polarity of the water molecule .

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১১
১২টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খালেদার ১টি প্ল্যান ছিলো, মহা-ডাকাতের ১টি প্ল্যান আছে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:২৩



২০১৪ সালের ভোটের আগে খালাদা বলেছিলো যে, তার কাছে ১টা প্ল্যান আছে, যা ১ বছরের মাঝে বেকার সমস্যা ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করে দিবে। তিনি প্ল্যানটি প্রকাশ করেননি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

তোর কথা তুই লিখে সত‍্যতা প্রমান কর।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১



ব্লগ মনে হয় কারো কারো বাপ দাদার জমিদারি হয়ে গেছে। সব পোস্ট দালাল , রাজাকার, জঙ্গিদের অথবা লালবদরদের স্বপক্ষে হোতে হবে। সত‍্যের আগমনে মিথ্যা বিস্মৃতির অবসান হয় ।আদর্শের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে গুমের ঘটনা: শেখ হাসিনার শাসনকালের একটি কালো অধ্যায়

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৯

বাংলাদেশে গুমের ঘটনা: শেখ হাসিনার শাসনকালের একটি কালো অধ্যায়

গুমের শিকার ব্যক্তিদের অতি ক্ষুদ্র কক্ষের ছবিটি বিবিসি ডটকম থেকে নেওয়া।

পরিচিতি

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি'র লাখ লাখ কর্মী অপেক্ষা করছে, সর্দারের ১ম নতুন ডাকাতীর খবরের জন্য।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩১



আওয়ামী লীগের সময়, যারা ১৭ বছর ডাকাতী করে যা জমায়েছিলো, বিএনপি'র কয়েক লাখ লোজজন তাদের থেকে একটা বড় অংশ ছিনিয়ে নিয়েছে; সেই প্রসেস এখনো চলছে। তবে, বস... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামপন্থী রাজনীতির বয়ান এবং জামাতের গাজওয়াতুল হিন্দ-এর প্রস্তুতি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০


গোরা উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ নিজে ব্রাহ্ম হয়েও, ব্রাহ্ম সমাজের আদর্শের বিপরীতে "গোরা" নামে একটি চরিত্র তৈরি করেন। গোরা খুব কট্টরপন্থী হিন্দু যুবক। হিন্দু পরিচয়ে বড় হলেও, আসলে সে আইরিশ দম্পতির... ...বাকিটুকু পড়ুন

×