somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটা ছেলের কষ্ট হয় মাগরিবের আজানের জন্য, একটা ছেলের কষ্ট হয় সন্ধ্যার জন্য ...

১০ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১০:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছেলেটার জন্য মাগরিবের আজানটা চিরকালই বেদনার ছিল। মাগরিব মানে, তার যাবতীয় আঁধারের সূচনা। যে ছেলেকে তার মা শেকল দিয়ে বেধেও রাখতে পারেনি কখনো। কোনো বেলাতে। সেই ছেলেই অসহায় হয়ে যেতো মাগরিব সময়।
যখনই ভেসে আসছে মাগরিবের আজান। তখন ছেলেটা যেন মাছ হয়ে যেতো। কেউ দিনভর পেতে রাখা জাল গুটিয়ে নিচ্ছে। আর ছেলেটা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে আত্মসমর্পনের দিকে।
তখন ছেলেটা পাখি হয়ে যেতো। যে পাখির দেয়া হয়েছে ডানা কেটে।
দুনিয়া এই ডানা কাটা পাখির সাথে করতো রসিকতা। নির্মম রসিকতা।
রসিকতা করতো ঘরের একট ওয়াটের বালব। রসিকতা করতো শব্দ করে ঘোরা ফ্যান। ঘরের জাণালায় বাধার দেয়াল তোলা হৃদয়হীন লোহারদণ্ডরা।
তবে সে এই রসিকতায় বিব্রত ছিলনা। সে জানতো তার জন্য কেউ আছে। কারণ, তার জন্য কেউ কেউ তখনও কাঁদতো।
কাদঁতো তার বন্ধুরা। তার ক্রিকেট ব্যাট। বল। খেলার মাঠ। এমনি মাঠের ঘাসও তার জন্য হয়তো কাঁদতো।
সকালে ঘাসের ঘায়ের শিশির সদৃশ জল সেই সাক্ষ্যই দিত।

ছেলেটা সন্ধ্যা হলে শিক্ষকের কঠিন চেহারার অচর্না করতে বইপুস্তক নামের হাবিজাবি নিয়ে বসত। তাকে বসতে হতো। মন না চাইলেও বসতে হতো।
ছেলেটার ওই জীবন দুঃসহ ছিল।
আজ অনেকদিন পর ছেলেটার সেই জীবনের কথা মনে পড়ে। সেই জীবনের প্রতি মায়া হয়। আহা সেই দিন!
আজো মাগরিবের আজান হয়। সন্ধ্যা নামে। ছেলেটা আর পড়তে বসেনা। বসার প্রয়োজন হয় না। ছেলেটার জন্য তার পড়ার টেবিল অসহায়ের মতো অপলক তাকিয়ে থাকে।
ছেলেটার আক্ষেপ হয় সেই জীবনের জন্য। ছেলেটা কষ্ট পায় তার জীবনের দ্রুত চলা দেখে।
ছেলেটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে, আহ জীবন আস্তে যাও।


সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১০:১৮
৩৭টি মন্তব্য ৩৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×