somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুইবার ফাঁসির খানা ভক্ষনের আনন্দে ভি দেখালেন কসাই কাদের

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিজস্ব মতিবেদক

শেষ মুহুর্তে চেম্বার জজ সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশে ফাঁসি কার্যকর করার ওপর বুধবার সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত স্থগিত করায় পর পর দুইবার ফাঁসির খানা ভক্ষনের সুযোগ পেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল ও আপীল বিভাগের নির্মম বলি, মেধাবী শিক্ষক ও বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর খানকির পোলায়ে নায়েব আবদুল কাদের মোল্লা ওরফে কসাই কাদের।

এ আনন্দে কনডেম সেলের গরাদের ফাক দিয়ে কারা রক্ষীদের উদ্দেশ করে পুনরায় আলচিত ভি চিহ্ন প্রদর্শন করেন আনন্দিত কসাই কাদের।

এ বেপারে কারা মহা পরিদর্শক মাইন উদ্দিন খন্দকারের সংগে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কাদের মোল্লা, কাদের মোল্লার পরিবার, কাদের মোল্লার আইনজীবী ও চেম্বার জজের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উহারা সকলেই অভিশাপ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাইন উদ্দিন খন্দকার বলেন, আইন আদালত মানেই সমস্যা। আমার হাতে লাল সালু পেচান মৃত্যু পরওয়ানা চলে আসার পর আমি গিয়া ফাসির মঞ্চ নির্মান করলাম। হাপ ডজন জল্লাদ আনাইয়া রেডী করলাম। বালুর বস্তা ও ইট ঝুলাইয়া মঞ্চ মাইক্রফুন টেষ্টিং রেডী ওয়ান টু থ্রী করলাম। সব কিছু রেডী করিয়া কসাই কাদেরকে গিয়া বলিলাম, কসাই সাব, সব কিছু রেডী, ফাঁসির খানা লাগাইতে বলব? কাদেরের বাচ্চা কানতে কানতে আমায় বলল, জিন্দেগীর আখেরী খানা আমি একা খাব না, দারা পুত্র পরিবারকে লইয়া খাব। আমায় একা ফাঁসির খানা লাগাইলে মানব না। উহাদেরকেও সংগে খানা লাগাইতে হবে।

আবেগঘন কণ্ঠে কারা মহা পরিদর্শক বলেন, কসাই কাদেরের আবদারে রাজী হওয়ার ইচ্ছা আমার ছিল না, কারন কারাগারে সর্বদাই টেকাটুকার টানাটানি। বাজেটের সল্পতার কথা বলিয়া আমি তারে ভুলানর চেস্টা করলাম। কিন্তু সে বিলাইয়ের বাচ্চার নেয় হাউমাউ কানতে লাগিল। তখন বাধ্য হইয়া আমি রাজী হইলাম। পুরান ঢাকার বাবুর্চীদের দিয়া খানা পাকাইয়া এক ডেগচি কাচ্চি বিরিয়ানী, বোরহানী, শিক কাবাব, মুর্গ মুসল্লম, সালাদ, ফালুদা, প্রভৃতির এন্তেজাম করলাম।

এক পর্যায়ে কেদে ফেলে খন্দকার বলেন, বললে বিশ্বাস করবেন না ভাই সাব, দারা পুত্র পরিবারের কথা বলিয়া সর্বমোট ২৩ জন আত্মীয় কসাই কাদেরের সংগে খানা খাইতে আসিয়া পড়ল। আমি তাহাদের মাইক্রবাস গনিতে গিয়া দিশাহারা। আমি মান ইজ্জত বাচানর জন্য কারা রক্ষীদের আদেশ দিলাম, সকলকে খানা লাগানর জন্য।

কাদতে কাদতে মাইন উদ্দিন খন্দকার বলেন, আত্মীয়দের সংগে এক লাইনে খানায় বসা অবস্থায় আমি কাদের মোল্লার আইনজীবী বেরিষ্টার রাজ্জাক, নায়েবে রাজ্জাক শিশির মুহম্মদ মনির ও উকিলে কসাই তাজুল ইসলামকে আবিস্কার করি। আমি তাদের ধমক দিয়া বললাম, আপনারাও বিরিয়ানী খাইতে বসিয়া পড়লেন কিরুপে? কসাই কাদের তখন হাসতে হাসতে আমায় বলে কি, ইহারাও আমার আত্মীয়। আমি তখন চেলেঞ্জ দিয়া বললাম, ইহারা আপনার কিরুপ আত্মীয়? বেরিষ্টার রাজ্জাক হাসতে হাসতে আমায় বলে কি, আমি কসাই কাদেরের চুদীর ভাই, তাজুল আমার চুদীর ভাই, শিশির তাজুলের চুদীর ভাই।

স্মৃতি চারন করতে গিয়ে শিহরিত হয়ে কারা মহা পরিদর্শক বলেন, তাহারা সকলে পুরা ডেগচি খালি করিয়া চলে গেল। যাওয়ার সময় কাদের মোল্লার পরিবার বেগম সানোয়ারা কসাই সাংবাদিকদের দিকে ভি চিহ্ন দেখাইয়া গেল। আমি ও আমার সহকর্মীরা এক হাতা বিরিয়ানীও ভাগে পাইলাম না।

কাদের মোল্লার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, যখন চেম্বার জজের আদেশ কারাগারে আমার হাতে আসিয়া পৌছাইল, তখন আমি কসাই কাদেরকে গিয়া বললাম, আজ রাত্রে আর ফাঁসি হবে না, আবার পরে আরেক দিন আপনাকে ফাঁসি দিব। সে এই কথা শুনিয়া হাসতে হাসতে ভি চিহ্ন দেখাইয়া বলে কি, ইয়া এলাহী দে দে পানা, দুইবার খাব ফাঁসির খানা।

প্রকৃত ফাঁসির আগে কাদের মোল্লাকে একাকী আখেরী খানা পরিবেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়ে মাইন উদ্দিন খন্দকার বলেন, দুস্টামির একটা সীমা আছে।




Click This Link
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×