নিজস্ব মতিবেদক
ফুসফুসে সংক্রমনে আক্রান্ত হয়ে ইনডিয়ার কলকাতায় বেলভিউ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি সুচিত্রা সেনের কিছু হলে সারা দেশে আগুন লাগানর হুমকি দিয়েছেন উপমহাদেশের বিখ্যেত ইতিহাসবীদ, কলামিষ্ট ও গান্ধীবাদী আন্দোলনের প্রবাদ পুরুষ বাংলার গান্ধী সৈয়দ আবুল মকসুদ ও দেশের প্রবীন সাংবাদিক ও বাকশালের আমীর শেখের বেটীর কাছে টিভি চেনেল চেয়ে প্রত্যাখাত মিডিয়া বেক্তিত্ব আবুল বাশার মনসুর মুসা ওরফে এবিএম মুসা।
আজ সন্ধায় সুচিত্রা সেনের স্বাস্থ্যের তাতক্ষনিক উন্নতির দাবী জানিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে পরস্পরের হাতে হাত ধরে তারা একটি আবুল বন্ধন করেন।
উপস্থিত মতিবেদকের কাছে নিজেদের দাবী তুলে ধরে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আমাদের কালে আমরা যখন খেলেছি পুতুল খেলা, তুমরা এ যুগে সেই বয়েসই ছবি ভিডিও দেখ মেলা। প্রভাবশালী এলাকা কারওয়ানবাজারের সর্দার মতিচুর রহমান আজমীর কল্যানে আজ ঘরে ঘরে সানি লিওনি, পুনম পান্ডে, ভিনা মালিক। তাদের ছবি পুষ্টার চলচিত্রে ঘরের দেওয়াল ফেসবুকের দেওয়াল গিসগিস করছে। একটা পছন্দ না হলে আরেকটা দেখা যায়। কিন্তু এমন স্বর্ন যুগ চিরকাল ছিল না।
আবেগঘন কণ্ঠে মকসুদ বলেন, বিজ্ঞান আমাদের দিছে বেগ, আর কাড়িয়া লইছে আবেগ। পাকিস্তান আমলে আমাদের দেশে প্রচুর গনতন্ত্র ছিল, কিন্তু আমরা বিজ্ঞানে পিছাইয়া রইছিলাম। তাই আমাদের একমাত্র ভরসা ছিল সুচিত্রা সেন।
এ সময় আবেগ সংবরন করতে না পেরে এবিএম মুসা কেদে ফেলেন।
মকসুদের দির্ঘ শ্বাস সুচিত্রা সেন
অশ্রু মুছে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সুচিত্রা সেন আছিল বলেই যৌবন কালটি টানিয়া টুনিয়া পার করতে পারছি। তা না হলে যে কি হত আমি জানি না। মায়ের চোখ রাংগানি, বাবার জুতাপিটা সয়ে সয়ে সুচিত্রা সেনকে মুকাবিলা করেছি। পাড়ার লেপ তুষকের দোকানীর সংগে নিবিড় বন্ধুত্ব হইয়া গেছিল। সপ্তাহে সপ্তাহে নতুন কুলবালিশ অডার করিয়া আনতে হইত। আমার আব্বিজান একদিন বাসার খরচের হিসাব মিলাইয়া দেখতে গিয়া আমায় ডাকিয়া বেদম জুতাপিটা করলেন। বললেন, রাশকেল তুই ছায়া দেখিয়া কায়ার মুল্য ভুলিয়াছিস। সারা ঘরের দেওয়ালে মালাউন নায়িকার পেপার কাটিং লাগাইয়া রাখবি আর সপ্তাহে সপ্তাহে বালিশ নস্ট করবি, তা চলবে না। আভি নিকাল মেরে ঘরসে।
সুচিত্রা সেনকে পাবনার রমা দাশগুপ্ত হিসাবে সনাক্ত করে এবিএম মুসা বলেন, পাবনার রাজনীতীবীদ গনের উচিত কচুগাছে ফাসি খাওয়া। তারা থাকতে কি করিয়া সুচিত্রা সেনের নেয় একটি নধর তারকা পাকিস্তান হতে হিন্দুস্তান চলিয়া গেল? তখন কুথায় আছিল মতিউর রহমান নিজামী? কুথায় আছিল আবু সাইদ? কুথায় আছিল শামছুল হক টুকু?
হুহু করে কেদে ওঠে এবিএম মুসা বলেন, পাকিস্তান আমলে বিজ্ঞান না থাকলেও গনতন্ত্র আছিল। বিজ্ঞানের অভাব গনতন্ত্র দিয়া পুষাইয়া লইছিলাম। একটি গুপন হালখাতায় সিনেমার পতৃকা হতে সুচিত্রা সেনের ছবি কাটিয়া কাটিয়া ভাতের আঠা দিয়া লাগাইয়া রাখিতাম। একাত্তরে গন্ডগলের সময় খাতাটি এক পাকিস্তানী খানসেনা বন্ধু আসিয়া সেই যে ধার লইল, আর ফিরত পাইলাম না। স্বাধীন বাংলাদেশ শুরু করলাম সেই খাতা ছাড়া। তাই আমি বলব, পাকিস্তান আমলই ভাল আছিল।
বাকশালের মহিলা আমীর শেখের বেটীর প্রতি কঠর হুশিয়ারী জারি করে এবিএম মুসা বলেন, বৃহত্তর জামায়াতের আমলে দেশে গনতন্ত্র আছিল। সুচিত্রা সেনও সুস্থ আছিল। এখন দেশে গনতন্ত্র নাই, সুচিত্রা সেনও হাসপাতালে। এতেই প্রমানিত হয়, বাংলাদেশের গনতন্ত্রের সংগে সুচিত্রা সেনের স্বাস্থ্যের নিবিড় সম্পর্ক আছে। সাবধান শেখের বেটী। সুচিত্রা সেনের অবস্থার যদি অবনতি হয়, সারা দেশে আমি আগুন লাগাইয়া দিব।
বক্তব্যের শেষে সৈয়দ আবুল মকসুদ ‘এ জীবনটা কিছু নয় শুদু এক মুঠ ধুলু, চৈতী বালিশে ভরা শিমুলের তুলু’ গান পরিবেশন করে পাকিস্তান আমলের সুচিত্রা সেনকে স্মরন করেন।
Click This Link