somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুচিত্রা সেনের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে: মকসুদ

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিজস্ব মতিবেদক

ফুসফুসে সংক্রমনে আক্রান্ত হয়ে ইনডিয়ার কলকাতায় বেলভিউ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি সুচিত্রা সেনের কিছু হলে সারা দেশে আগুন লাগানর হুমকি দিয়েছেন উপমহাদেশের বিখ্যেত ইতিহাসবীদ, কলামিষ্ট ও গান্ধীবাদী আন্দোলনের প্রবাদ পুরুষ বাংলার গান্ধী সৈয়দ আবুল মকসুদ ও দেশের প্রবীন সাংবাদিক ও বাকশালের আমীর শেখের বেটীর কাছে টিভি চেনেল চেয়ে প্রত্যাখাত মিডিয়া বেক্তিত্ব আবুল বাশার মনসুর মুসা ওরফে এবিএম মুসা।

আজ সন্ধায় সুচিত্রা সেনের স্বাস্থ্যের তাতক্ষনিক উন্নতির দাবী জানিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে পরস্পরের হাতে হাত ধরে তারা একটি আবুল বন্ধন করেন।

উপস্থিত মতিবেদকের কাছে নিজেদের দাবী তুলে ধরে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আমাদের কালে আমরা যখন খেলেছি পুতুল খেলা, তুমরা এ যুগে সেই বয়েসই ছবি ভিডিও দেখ মেলা। প্রভাবশালী এলাকা কারওয়ানবাজারের সর্দার মতিচুর রহমান আজমীর কল্যানে আজ ঘরে ঘরে সানি লিওনি, পুনম পান্ডে, ভিনা মালিক। তাদের ছবি পুষ্টার চলচিত্রে ঘরের দেওয়াল ফেসবুকের দেওয়াল গিসগিস করছে। একটা পছন্দ না হলে আরেকটা দেখা যায়। কিন্তু এমন স্বর্ন যুগ চিরকাল ছিল না।

আবেগঘন কণ্ঠে মকসুদ বলেন, বিজ্ঞান আমাদের দিছে বেগ, আর কাড়িয়া লইছে আবেগ। পাকিস্তান আমলে আমাদের দেশে প্রচুর গনতন্ত্র ছিল, কিন্তু আমরা বিজ্ঞানে পিছাইয়া রইছিলাম। তাই আমাদের একমাত্র ভরসা ছিল সুচিত্রা সেন।

এ সময় আবেগ সংবরন করতে না পেরে এবিএম মুসা কেদে ফেলেন।


মকসুদের দির্ঘ শ্বাস সুচিত্রা সেন

অশ্রু মুছে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সুচিত্রা সেন আছিল বলেই যৌবন কালটি টানিয়া টুনিয়া পার করতে পারছি। তা না হলে যে কি হত আমি জানি না। মায়ের চোখ রাংগানি, বাবার জুতাপিটা সয়ে সয়ে সুচিত্রা সেনকে মুকাবিলা করেছি। পাড়ার লেপ তুষকের দোকানীর সংগে নিবিড় বন্ধুত্ব হইয়া গেছিল। সপ্তাহে সপ্তাহে নতুন কুলবালিশ অডার করিয়া আনতে হইত। আমার আব্বিজান একদিন বাসার খরচের হিসাব মিলাইয়া দেখতে গিয়া আমায় ডাকিয়া বেদম জুতাপিটা করলেন। বললেন, রাশকেল তুই ছায়া দেখিয়া কায়ার মুল্য ভুলিয়াছিস। সারা ঘরের দেওয়ালে মালাউন নায়িকার পেপার কাটিং লাগাইয়া রাখবি আর সপ্তাহে সপ্তাহে বালিশ নস্ট করবি, তা চলবে না। আভি নিকাল মেরে ঘরসে।

সুচিত্রা সেনকে পাবনার রমা দাশগুপ্ত হিসাবে সনাক্ত করে এবিএম মুসা বলেন, পাবনার রাজনীতীবীদ গনের উচিত কচুগাছে ফাসি খাওয়া। তারা থাকতে কি করিয়া সুচিত্রা সেনের নেয় একটি নধর তারকা পাকিস্তান হতে হিন্দুস্তান চলিয়া গেল? তখন কুথায় আছিল মতিউর রহমান নিজামী? কুথায় আছিল আবু সাইদ? কুথায় আছিল শামছুল হক টুকু?

হুহু করে কেদে ওঠে এবিএম মুসা বলেন, পাকিস্তান আমলে বিজ্ঞান না থাকলেও গনতন্ত্র আছিল। বিজ্ঞানের অভাব গনতন্ত্র দিয়া পুষাইয়া লইছিলাম। একটি গুপন হালখাতায় সিনেমার পতৃকা হতে সুচিত্রা সেনের ছবি কাটিয়া কাটিয়া ভাতের আঠা দিয়া লাগাইয়া রাখিতাম। একাত্তরে গন্ডগলের সময় খাতাটি এক পাকিস্তানী খানসেনা বন্ধু আসিয়া সেই যে ধার লইল, আর ফিরত পাইলাম না। স্বাধীন বাংলাদেশ শুরু করলাম সেই খাতা ছাড়া। তাই আমি বলব, পাকিস্তান আমলই ভাল আছিল।

বাকশালের মহিলা আমীর শেখের বেটীর প্রতি কঠর হুশিয়ারী জারি করে এবিএম মুসা বলেন, বৃহত্তর জামায়াতের আমলে দেশে গনতন্ত্র আছিল। সুচিত্রা সেনও সুস্থ আছিল। এখন দেশে গনতন্ত্র নাই, সুচিত্রা সেনও হাসপাতালে। এতেই প্রমানিত হয়, বাংলাদেশের গনতন্ত্রের সংগে সুচিত্রা সেনের স্বাস্থ্যের নিবিড় সম্পর্ক আছে। সাবধান শেখের বেটী। সুচিত্রা সেনের অবস্থার যদি অবনতি হয়, সারা দেশে আমি আগুন লাগাইয়া দিব।

বক্তব্যের শেষে সৈয়দ আবুল মকসুদ ‘এ জীবনটা কিছু নয় শুদু এক মুঠ ধুলু, চৈতী বালিশে ভরা শিমুলের তুলু’ গান পরিবেশন করে পাকিস্তান আমলের সুচিত্রা সেনকে স্মরন করেন।


Click This Link
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×